রাজনৈতিক পরিচয় নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করার অধিকার থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব জাহিদ আহসান।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) নিজের ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আরো পড়ুন:

বিজয়ী হলে কালচারাল ফ্যাসিবাদের কবর রচনা করবেন সাদিক কায়েম

ডাকসু: মধ্যরাতে আবাসিক হলে ভিপি প্রার্থী আবিদের নির্বাচনী প্রচার

স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, “বরং আলোচনা করতে হবে, যে শিক্ষার্থী প্রশ্ন করেছে, সে শিবিরের কর্মী হলেও সমস্যা কী? শিবির করলে সে আপনাকে-আমাকে বা আমাদের রাজনীতি নিয়ে প্রশ্ন করতে পারবে না?”

তিনি আরো বলেন, “শিবিরের রাজনীতির সংকট নিয়েও আমরা বিস্তর আলোচনা করবো, কিন্তু প্রশ্ন করার অধিকার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে ঢেকে দেওয়া যাবে না। রাজনৈতিক আলোচনাকে এভাবে নিরীহ অ্যাপলিটিক্যাল বানানোর ফসল ভালো না।”

এর আগে, বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে সব প্যানেলের এজিএস প্রার্থীদেরকে আমন্ত্রণ করা হয়। এ সময় দর্শক সারিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে আরবি বিভাগের ২৪-২৫ সেশনের সাদিকুল ইসলাম মাসুম প্রশ্ন করে বলেন, “ডাকসু প্রতি বছর হওয়াটা আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকার। দেখা যাচ্ছে, আপনারা ৯০-এর ডাকসুতে ফিরে যেতে চাচ্ছেন। অথচ শিক্ষার্থীরা সে সময় ডাকসুকে ডাকাতের কবলে সুশাসন বলে অভিহিত করেছিল।”

প্রশ্নে তিনি আরো বলেন, “৯০-এর ডাকসু নির্বাচনের পর দীর্ঘ ২৮ বছর আপনারা কৌশলে ডাকসু নির্বাচন আর হতে দেননি। এবারো ডাকসু নির্বাচনে আপনারা জয়ী হলে কি ২৮ বছরের জন্য ডাকসু বন্ধ থাকবে? বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণরুম ও গেস্টরুম প্রথা আপনারাই চালু করেছিলেন। জয়ী হলে কি ফের গণরুম ও গেস্টরুম চালু করবেন?”

এ প্রশ্ন শুনে ক্ষেপে যান তানভীর আল হাদী মায়েদ। তিনি বলেন, “আপনি যদি সাধারণ শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন, তাহলে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। কিন্তু আমার মনে হয় আপনি একজন শিবির কর্মী। আর শিবির কর্মী হওয়ার কারণে আপনি শিবিরের ন্যারেটিভ ব্যবহার করেছেন।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রদল শ ব র কর র র জন র জন ত র কর ম আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

মুন্সীগঞ্জে ড্রেনের ভেতরে মিলল ২৩টি ককটেল, আটক ১

মুন্সীগঞ্জে ড্রেনের ভেতর তিনটি প্লাস্টিকের বালতিতে লুকিয়ে রাখা ২৩টি ককটেল উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় ঘটনাস্থলের পাশে আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি চেয়ারম্যানের বোনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ককটেল তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করে তারা। পাশাপাশি মোহাম্মদ হাসান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।

রবিবার (২ অক্টোবর) বিকেলে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার বৈখর অনির্বাণ প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকার ড্রেন থেকে ককটেলগুলো উদ্ধার হয়। মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এম সাইফুল আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

অভয়নগরে দুই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ককটেল হামলা, আহত ৩

দিনাজপুরে পুকুর পাড় থেকে গ্রেনেড উদ্ধার 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনের ঢাকনা খোলেন স্থানীয়রা। এ সময় তারা প্লাস্টিকের বালতিতে তুষ দিয়ে ঢেকে রাখা অবস্থায় কিছু বস্তু দেখতে পান। পাশাপাশি তিনটি ড্রেনের ঢাকনা খুলে তারা একই চিত্র দেখেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ড্রেনের ভেতর থেকে তিনটি বালতিতে রাখা ২৩টি তাজা ককটেল উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাসানকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

আটক হাসান মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লাকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিপন হোসেন পাটোয়ারীর ভাগ্নি জামাই বলে জানিয়েছে পুলিশ।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি এম সাইফুল আলম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ককটেলগুলো উদ্ধার করে। এ সময় মোল্লাকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন পাটোয়ারির বোন সেলিনা বেগমের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ককটেল তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে হাসান নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/রতন/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ