নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ২০২৫-২০২৬ইং সালের কার্যকরী কমিটির নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমর্থিত নীল প্যানেল।  

গত বৃহস্পতিবার (২৮শে আগস্ট) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে এডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবির ও এডভোকেট এইচ.এম. আনোয়ার প্রধান পরিষদ ১৭টি পদের মধ্যে ১৬টি পদে জয়লাভ করে।

এই বিজয়ের পেছনে নেতৃত্ব ও নির্বাচনী ভূমিকা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট মো.

সাখাওয়াত হোসেন খান এবং সদস্য সচিব এডভোকেট মো. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, দিন-রাত নিরলস প্রচেষ্টা এবং কেন্দ্রীয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামসহ নারায়ণগঞ্জ জেলা-মহানগর বিএনপির সব নেতাকর্মীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নীল প্যানেল এ ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করে।

নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর প্রতিক্রিয়ায় এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম নারায়ণগঞ্জ বারের প্রার্থীরা ১৭টি পদের মধ্যে ১৬টি পদে জয়লাভ করার জন্য আমি প্রথমেই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি এবং সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

আমি আনন্দিত—এই বিজয় শুধু আমাদের নয়, বরং সকল আইনজীবীদের। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সকল সদস্যদের পক্ষ থেকে, আমাদের নেতা জনাব তারেক রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে সকল নেতৃবৃন্দ ও আইনজীবীদের ধন্যবাদ জানাই।

তিনি আরও বলেন, এই বিজয়ের পথে কিছু চক্রান্তকারী সক্রিয় ছিল। দলের ভেতর গোপনে থাকা একটি পক্ষ নানা কৌশলে আমাদের হেনস্থা করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা কারো প্রতি ক্ষোভ পোষণ করি না। ফলাফল প্রমাণ করেছে, আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ।

আগামীকাল থেকেই আমরা আইনজীবী পার্কসহ সব জায়গায় একসাথে কাজ করবো। আইনজীবীরা একটি পরিবার, আমরা ভাই ভাই।
এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “আজকের এ বিজয় সত্যের বিজয়, ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে বিজয়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিজয়, জিয়া পরিবারের বিজয়। অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভঙ্গ করে সাধারণ আইনজীবীরা এ বিজয় নিশ্চিত করেছেন। আমি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সকল সদস্যদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাই।”
বিজয়ী ১৬ জন আইনজীবী ফুলেল শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, এই বিজয়ের নেপথ্যে সর্বাধিক অবদান রেখেছেন এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও এডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপু।
হুমায়ূন–আনোয়ার পরিষদ ১৭টি পদের মধ্যে ১৬টি পদে জয়লাভ করেছে। সভাপতি: অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবির (৬০০ ভোট) সাধারণ সম্পাদক: অ্যাডভোকেট এইচএম আনোয়ার প্রধান (৭১৮ ভোট, সর্বোচ্চ) জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি: অ্যাড. কাজী আব্দুল গাফ্ফার (৬৯৭ ভোট) সহসভাপতি: অ্যাড. সাদ্দাম হোসেন (৫৫৫ ভোট) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক: অ্যাড. ওমর ফারুক নয়ন (৬৭৫ ভোট) কোষাধ্যক্ষ: অ্যাড. শাহাজাদা দেওয়ান (৭৫৫ ভোট) আপ্যায়ন সম্পাদক: অ্যাড. মাইন উদ্দিন রেজা (৭৯৭ ভোট) লাইব্রেরি সম্পাদক: অ্যাড. হাবিবুর রহমান (৫৯০ ভোট) ক্রীড়া সম্পাদক: অ্যাড. আমিনুল ইসলাম (৬৪৫ ভোট) সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক: অ্যাড. সারোয়ার জাহান (৫৭২ ভোট) সমাজসেবা সম্পাদক: অ্যাড. রাজিব মন্ডল (৬০০ ভোট) আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক: অ্যাড. মামুন মাহমুদ মিয়া (৫৮৫ ভোট)।
কার্যকরী সদস্য পদে বিজয়ী হয়েছে, অ্যাড. দেওয়ান আশরাফুল ইসলাম (৭৩৪ ভোট) অ্যাড. ফাতেমা আক্তার সুইটি (৬৯৭ ভোট) অ্যাড. আবু রায়হান (৬৯৪ ভোট) অ্যাড. তেহসিন হাসান দিপু (৫৭৪ ভোট) জামায়াত সমর্থিত অ্যাড. আফরোজা জাহান (৫২৩ ভোট)।
এই নির্বাচনী ফলাফলে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে নীল প্যানেলের এক অভূতপূর্ব বিজয় ঘটলো।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ জ ল এই ব জয় এডভ ক ট আইনজ ব ই ব জয় সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার

যশোরে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চার আইনজীবীকে জেলা আইনজীবী সমিতি থেকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

অভিযুক্ত আইনজীবীরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি, রফিকুল ইসলাম এবং তরফদার আব্দুল মুকিত।

জেলা আইনজীবী সমিতি সূত্র জানায়, ওই চার আইনজীবীর মধ্যে আব্দুর রাজ্জাক এক এনজিওর ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা আত্মসাৎ করেন। ওই টাকা ফেরত দিতে তিনি অঙ্গীকার করে ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। কিন্তু পরবর্তীতে ওই চেক ডিজ অনার হয় এবং একই সাথে তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করেন। এ ঘটনায় মক্কেল আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

অন্যদিকে, সৈয়দ কবীর হোসেন জনি একটি জমি ক্রয় করেন। কিন্তু ওই জমির মালিককে পূর্ণাঙ্গ টাকা না দিয়ে তালবাহানা করেন। শেষমেষ আট লাখ টাকা না দেওয়ায় জমির মালিক আইনজীবী সমিতিতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এছাড়া, রফিকুল ইসলাম নিজে আইনজীবী হয়েও আরেক আইনজীবী নুরুল ইসলামকে নির্বাহী আদালতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও লাঞ্ছিত করেন। এ ঘটনায় নুরুল ইসলাম অভিযোগ দেন। অন্যদিকে, তরফদার আব্দুল মুকিত এক মক্কেলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে কাজ করেননি। এছাড়া তিনি ওই মক্কেলের কাগজপত্র আটকে রেখে জিম্মি করে রাখেন। বাধ্য হয়ে তিনি মুকিতের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন সমিতিতে। 

এসব অভিযোগ জেলা আইনজীবী সমিতি পৃথকভাবে তদন্ত করে। একই সাথে চার আইনজীবীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম.এ. গফুর। 

তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার লিখিতভাবে তাদেরকে নোটিশ দিয়ে অবগত করা হবে।”

ঢাকা/রিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার
  • যশোরে ৪ আইনজীবীকে বহিষ্কার
  • ক্ষতিপূরণের বিরুদ্ধে আপিল করতে ২৫ শতাংশ অর্থ জমা দেওয়ার বিধান প্রশ্নে রুল
  • আইনজীবী সোমার মৃত্যুতে আইনজীবী সমিতির শোক সভা ও দোয়া
  • ভাঙ্গা থেকে দুটি ইউনিয়ন বাদ দেওয়া প্রশ্নে রুল
  • বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন রাখতে নির্দেশ কেন নয়: হাইকোর্ট
  • পান্থকুঞ্জ পার্ক ও হাতিরঝিল অংশে নির্মাণকাজে স্থিতাবস্থা আপাতত বহাল, চলবে না কার্যক্রম
  • চারটি আসন বহালের দাবিতে বাগেরহাটে নির্বাচন কার্যালয় ঘেরাও, উচ্চ আদালতে দুটি রিট
  • আন্তর্জাতিক সিডও দিবস উপলক্ষে মতবিনিময় সভা 
  • বরিশালে তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড