ভোজপুরি তারকা অভিনেতা পবন সিংয়ের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে তার সহ-অভিনেত্রী অঞ্জলি রাঘবকে একটি অনুষ্ঠানে অশালীনভাবে স্পর্শ করতে দেখা যায়। ঘটনাটি লখনৌতে ঘটেছে। এ ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর, অঞ্জলি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও বার্তা দেন। তারপর থেকে জোর চর্চায় রয়েছেন এই অভিনেতা। 

এরই মাঝে দাম্পত্য কলহ প্রকাশ্যে আনলেন বিজেপির সংসদ সদস্য পবন সিংয়ের স্ত্রী জ্যোতি সিং। ইনস্টাগ্রামে দেওয়া পোস্টে তিনি দাবি করেন—বহুবার চেষ্টা করেও স্বামী পবনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেছেন না তিনি। 

আরো পড়ুন:

আল্লু অর্জুনের দাদি, রাম চরণের নানি মারা গেছেন

অভিনেত্রীকে অশালীন স্পর্শ, ইন্ডাস্ট্রি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা, অভিনেতার ক্ষমা প্রার্থনা

ইনস্টাগ্রাম পোস্টে জ্যোতি সিং লেখেন, “প্রিয় স্বামী, শ্রী পবন সিংজি, কয়েক মাস ধরে আমি আপনার সঙ্গে পারিবারিক ও রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাচ্ছি। কিন্তু আপনি বা আপনার আশপাশের লোকেরা হয়তো আমার ফোন কল ও মেসেজের জবাব দেওয়া উপযুক্ত মনে করেননি।” 

লখনৌতে ও করাকাটে ছট পূজার সময় দেখা করার চেষ্টা করলেও, তাকে দেখা করার সুযোগ দেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেন জ্যোতি সিং। 

চাপা আবেগ প্রকাশ করে জ্যোতি সিং লেখেন, “আমি এমন কী পাপ করেছি যে, এত বড় শাস্তি দেওয়া হচ্ছে? আমার মা-বাবার সম্মান নিয়ে খেলা হচ্ছে। আপনার সঙ্গে পথ চলে, একজন বিশ্বস্ত স্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছি। এখন আপনার দায়িত্ব পালনের পালা। খুব খারাপ লাগে, যখন আপনি তাদেরকে গ্রহণ করেন, যারা আপনাকে অপমান করেছে এবং পরে আবার ফিরে আসেন।” 

ইনস্টাগ্রামে এই পোস্ট দেওয়ার পর জ্যোতি সিংয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআই। এ আলাপচারিতায় জ্যোতি সিং বলেন, “আমরা বহুদিন ধরে তাকে মেসেজ ও ফোন করছি। কিন্তু কোনো জবাব পাচ্ছি না। তাই বাধ্য হয়ে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করতে হলো। তিনি যেন আমার মেসেজের উত্তর দেন ও ফোন রিসিভ করেন।” 

২০১৪ সালে নীলম সিংকে বিয়ে করেন পবন সিং। ২০১৫ সালে মারা যান তিনি। ২০১৮ সালে জ্যোতি সিংয়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন এই জুটি। জানা যায়, ২০২২ সালে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন পবন সিং। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো তাদের বিচ্ছেদ হয়নি। 

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র আপন র পবন স

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১

খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।

নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।

আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ