রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট শেষ হয়েছে।

শেষ দিন সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল পর্যন্ত ৫৭০ জনের স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। এর আগে, গত ২৮ আগস্ট প্রার্থীদের ডোপ টেস্ট শুরু হয়।

আরো পড়ুন:

রাকসু নির্বাচনে সাইবার বুলিং রোধে কমিটি গঠন

নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) টেকনোলজিস্ট আবু সাদাত মাহমুদ সায়েম রাজু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে বিভিন্ন হলের প্রার্থীরা সেখানে জড়ো হয়েছেন ডোপ টেস্টের স্যাম্পল দিতে। টেস্টের স্যাম্পল হিসেবে নেওয়া হচ্ছে ইউরিন। রাবি মেডিকেল থেকে সেগুলো সংগ্রহ করার পর সেগুলো নিয়ে যাওয়া হবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে। সেখানে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা আছে। তারাই সেগুলো পরীক্ষা করবেন। প্রার্থীরা পরীক্ষার রিপোর্ট নির্বাচন কমিশনের অফিস থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।

এ সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজের (রামেক) টেকনোলজিস্ট আবু সাদাত মাহমুদ সায়েম রাজু বলেন, “গতকাল পর্যন্ত আমরা ৪৭০ জনের স্যাম্পল সংগ্রহ করেছি। শেষ দিনে এখন পর্যন্ত ১০০ জন স্যাম্পল দিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭০ জনের স্যাম্পল পাওয়া গেছে।”

তিনি বলেন, “আমাদের একটা মেডিকেল টিম আছে, তারাই সেগুলো পরীক্ষা করেন। আমরা এখান থেকে স্যাম্পলগুলো সংগ্রহ করে নিয়ে যাই। রামেকেই সেগুলো পরীক্ষা করা হচ্ছে।”

এ সময় বিজয়-২৪ হলের এজিএস পদপ্রার্থী আব্দুর রহিম বলেন, “আজ আমাদের হলের প্রার্থীদের ডোপ টেস্টের সময় নির্ধারণ করা ছিল। পরে ভিড় হতে পারে। এজন্য সকাল সকাল এসেই স্যাম্পল দিয়েছি। নির্বাচন কমিশন একটা ভালো সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে মাদকাসক্ত কেউ প্রার্থী হতে পারবে না।”

এর আগে, বুধবার (২৭ আগস্ট) রাতে রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ নজরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের ডোপ টেস্টের কথা জানান। ডোপ টেস্টের সব ধরনের খরচ বহন করবে রাকসু নির্বাচন কমিশন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের প্রার্থীদের জানানো যাচ্ছে, ২৮ আগস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (শুক্রবার ব্যতীত) প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত স্ব স্ব পদের বিপরীতে টাকা জমাদানের ব্যাংক স্লিপ প্রদর্শন করে ডোপ টেস্টের নমুনা প্রদান করার জন্য জানানো যাচ্ছে।

স্লিপের পেছনে প্রার্থীর নাম, শিক্ষার্থী আইডি ও মোবাইল নাম্বার লিখে দিতে হবে। প্রার্থীকে অবশ্যই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার থেকে ডোপ টেস্টের রিপোর্ট সংগ্রহ করে মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র স য ম পল পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুসহ তিন দফা দাবি মেনে নিল প্রশাসন, ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভাঙলেন শিক্ষার্থীরা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও সম্পূরক বৃত্তিসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি মেনে নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের আশ্বাসে ৩২ ঘণ্টা পর অনশন ভেঙে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুধবার রাত দশটার দিকে প্রশাসনের পক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক দাবি মেনে নেওয়ার ঘোষণা দিলে আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় অনশনরত শিক্ষার্থীদের ফলের রস খাইয়ে অনশন ভাঙানো হয়। শিক্ষার্থীদের অনশন ভঙ্গ করান করান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক ও সিন্ডিকেট সদস্য বিলাল হোসাইন।

এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক শেখ গিয়াসউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৭ নভেম্বর জকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই মোতাবেক নির্বাচনের রূপরেখাও ঘোষণা করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগামী জানুয়ারি থেকে আবাসন ভাতা পাবেন শিক্ষার্থীরা। সেই সঙ্গে বৃত্তির জন্য উপযুক্ত শিক্ষার্থীদের নভেম্বরের মধ্যে যাচাই-বাছাই করার কাজ শেষ করা হবে।

অনশনকারী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রক্টর মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী ২৭ নভেম্বরের আগেই কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপন করা হবে। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মানোন্নয়নে প্রশাসন কাজ করবে।

আরও পড়ুনতিন দাবিতে ২৪ ঘণ্টা ধরে ৪ শিক্ষার্থীর অনশন, দুজন অসুস্থ১২ ঘণ্টা আগে

এ সময় অনশনে বসা উদ্ভিদ বিজ্ঞানের বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এ কে এম রাকিব বলেন, আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন। জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আবাসন ভাতার জন্য প্রতিশ্রুত সময়ও দিয়েছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় পাঠাগারে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণযন্ত্র স্থাপনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আমরা অনশন ভেঙে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি।

সতর্ক করে দিয়ে এ কে এম রাকিব আরও বলেন, যদি প্রশাসন ঘোষিত সময়ের মধ্যে আমাদের দাবিগুলো পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সমস্ত দায় মাথায় নিয়ে সম্পূর্ণ প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে।

এর আগে তিন দফা দাবি আদায়ে গত মঙ্গলবার বেলা দুইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ রফিক ভবনের নিচে অনশন শুরু করেন চারজন শিক্ষার্থী। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) পক্ষ থেকে অনশন কর্মসূচি শুরুর কথা জানানো হয়। অনশনে বসা চার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনজন বাগছাসের নেতা।

আরও পড়ুনজকসু নির্বাচনের রূপরেখা ঘোষণা, ভোট ২৭ নভেম্বর২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ