নিয়মিত শরীরচর্চা ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়: গবেষণা
Published: 3rd, September 2025 GMT
যারা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে, শরীরচর্চার ফলে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায়। এমনকি যাদের ক্যানসারের চিকিৎসা চলছে, তারাও নিয়মিত শরীরচর্চা করে উপকার পেতে পারেন। শরীরচর্চার ফলে ক্যানসার ফিরে আসার ঝুঁকি কমে যায়।
দ্যা গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনের তথ্য, ‘‘ক্যানসারের চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর নিয়মিত ও নিয়ন্ত্রিত শরীরচর্চা মৃত্যুর ঝুঁকি, ক্যানসার পুনরায় ফিরে আসা এবং নতুন ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়ে দেয়।’’
আরো পড়ুন:
কী কারণে মুখ ফোলে?
ডেঙ্গু: ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু ৪, হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৮
বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন আধাঘণ্টা ব্যায়াম করার পরামর্শ দেন। তারা বলেন, ‘‘প্রতিদিন আধাঘণ্টা ব্যায়াম করে ক্যানসারের ঝুঁকি ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব। ’’
অস্ট্রেলিয়ার এডিথ কোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের এক দল গবেষক জানিয়েছে, ‘‘প্রতিদিন একটি মাত্র ব্যায়ামের সেশন ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ধীর করে দেয়।’’
নিয়মিত ব্যায়াম করার ফলে শরীরে ক্যানসার বিরোধি প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকিও কমে। চিকিৎসকদের মতে, ‘‘স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসারসহ আরও অনেক ধরনের ক্যানসার প্রতিরোধেও নিয়মিত শরীরচর্চা উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, শরীরচর্চার সময় পেশি থেকে একধরনের প্রোটিন (মায়োকাইনস) নিঃসৃত হয়। এর ফলে ক্যানসার প্রতিরোধ সহজ হয়। শুধু একবার ব্যায়ামেই এই প্রোটিন তৈরি হতে শুরু করে, যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি ২০-৩০ শতাংশ কমিয়ে দিতে পারে। ’’
সপ্তাহে অন্তত ৫ দিন, প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট ব্যায়াম করা উচিত। যাদের একটানা ব্যায়াম করতে সমস্যা হয়, তারা সময় ভাগ করে ব্যায়াম করতে পারেন। ব্যায়াম করার পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ, ধূমপান থেকে দূরে থাকাও ক্যানসার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখতে পারে।
ঢাকা/লিপি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ব স থ যকর জ বন ব য য় ম কর
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’