বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ‘এল’ গ্রুপে নিজেদের শতভাগ জয়রথ অক্ষুণ্ন রাখল ক্রোয়েশিয়া। শুক্রবার রাতে ফারো দ্বীপপুঞ্জের মাঠে অ্যান্ড্রেজ ক্রামারিচের একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতেছে তারা। ম্যাচের ৩১ মিনিটে গোলটি এনে দেন এই ফরোয়ার্ড।

এই জয়ের পর তিন ম্যাচে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ক্রোয়েশিয়া। শীর্ষে আছে চেক প্রজাতন্ত্র। যারা ১২ পয়েন্ট নিয়ে এগিয়ে থাকলেও খেলেছে দুই ম্যাচ বেশি।

আরো পড়ুন:

দারুণ গোলে অঁরির রেকর্ড ছুঁলেন এমবাপ্পে, ফ্রান্সের স্বস্তির জয়

ইতালির গোলবন্যায় বিধ্বস্ত এস্তোনিয়া

ম্যাচের মাত্র ৫ মিনিটেই অঘটনের ইঙ্গিত দেয় স্বাগতিকরা। হানুস সোরেনসেন একক প্রচেষ্টায় গিয়ে শট নেন। তবে গোলরক্ষক লিভাকোভিচ অসাধারণ সেভ করেন। আর পাসালিচ গোললাইন থেকে বল সরিয়ে দেন।

ধীরে ধীরে ম্যাচে ছন্দ খুঁজে পায় ক্রোয়েশিয়া। ১২ মিনিটে কর্নার থেকে ফ্রুকের হেড দুর্দান্তভাবে রুখে দেন ফারোর গোলরক্ষক লামহাউগে। এরপর ইয়াকিচও কাছাকাছি সুযোগ পান। কিন্তু তাকেও আটকান লামহাউগে।

২০ মিনিটে আবারও হুমকি দেন সোরেনসেন। তবে শটটি চলে যায় পোস্টের বাইরে। উল্টো ২৮ মিনিটে ক্রোয়েশিয়ার পেটার সুচিচের দুর্দান্ত দূরপাল্লার শট পোস্ট কাঁপিয়ে ফিরে আসে।

তিন মিনিট পর আসে কাঙ্ক্ষিত গোল। ডান দিক দিয়ে দারুণ ক্রস পাঠান ইয়াকিচ, সেটি হেড করেন বুডিমির। তার সেটআপ থেকে বল জালে জড়ান ক্রামারিচ। তাতে ক্রোয়েশিয়া এগিয়ে যায় ১–০ গোলে।

প্রথমার্ধেই ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত ক্রোয়েশিয়া। তবে ক্রামারিচের শট বাঁচান গোলরক্ষক, আর রিবাউন্ডে ইয়াকিচ মিস করেন।

বিরতির পর খেলার গতি কিছুটা কমে যায়। ৭১ মিনিটে ক্রামারিচের সামনে সেরা সুযোগ এলেও গোল করতে ব্যর্থ হন। কয়েক মিনিট পর পেরিসিচের ক্রস থেকেও বল পাঠান সাইড নেটে।

শেষ দিকে ফারো দ্বীপপুঞ্জ কর্নার ও ফ্রি-কিক থেকে গোলের চেষ্টা চালালেও সফল হয়নি। উল্টো লামহাউগেই আবারও নজর কাড়েন। যোগ করা সময়ে দুটি দুর্দান্ত সেভ করে স্মলচিচ ও কালেতা-কারকে গোলবঞ্চিত করেন।

এই জয়ে আত্মবিশ্বাসী ক্রোয়েশিয়া সোমবার মুখোমুখি হবে মন্টেনেগ্রোর। যা দুই দলের মধ্যে ইতিহাসের প্রথম মুখোমুখি। অন্যদিকে ফারো দ্বীপপুঞ্জ একই দিনে খেলবে জিব্রালটারের মাঠে। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল দ ব পপ ঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব

বায়ার্ন মিউনিখ ৩–১ চেলসি

২০১২ সালে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ইতিহাস গড়েছিল চেলসি। ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে টাইব্রেকারে হারিয়ে প্রথমবারের মতো পরেছিল ইউরোপসেরার মুকুট।

 তবে এরপর থেকে বায়ার্নের সঙ্গে মুখোমুখি সব ম্যাচেই হেরেছে চেলসি। লন্ডনের ক্লাবটি পারল না আজও। হ্যারি কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে ৩–১ ব্যবধানে হারিয়েছে বায়ার্ন।

আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় ম্যাচের ২০ মিনিটে বায়ার্ন প্রথম গোলটা পেয়েছে উপহারসূচক। চেলসির সেন্টার–ব্যাক ট্রেভোহ চালোবাহ নিজেদের জালে বল জড়ালে এগিয়ে যায় বাভারিয়ানরা।

কিছুক্ষণ পরেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কেইন। এবার ভুল করে বসেন চেলসির মইসেস কাইসেদো। নিজেদের বক্সে কেইনকে কাইসেদো অযথা ট্যাকল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি।

নতুন মৌসুমে গোলের পর গোল করেই চলেছেন হ্যারি কেইন

সম্পর্কিত নিবন্ধ