গাজার সবেচেয়ে উঁচু আবাসিক ভবনটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা অনলাইন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ভবনটি হামাস তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করতো এবং সেখানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুত রাখা হয়েছিল। তবে গাজা কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজা শহরের তাল আল-হাওয়া এলাকায় ইউএনআরডব্লিউএ ভবনের বিপরীতে আল-সুসির আবাসিক টাওয়ারটি অবস্থিত। এখানে বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, হামাস ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অবস্থান পর্যবেক্ষণের জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে ভবনটি ব্যবহার করছিল। এছাড়া ইসরায়েলি সেনাদের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ‘ভবনের কাছে অসংখ্য বিস্ফোরক ডিভাইস পুঁতে রেখেছিল’ হামাস।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেনি।

গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরায়েলের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, “আমরা সম্পূর্ণ এবং বিশদভাবে প্রত্যাখ্যান করছি, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব তাদের বর্বর আগ্রাসনকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য মিথ্যাচার এবং অভিযোগ প্রচার করেছে। আমরা এই টাওয়ারগুলোর বাসিন্দাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দ্ব্যর্থহীনভাবে নিশ্চিত করছি যে এগুলো নজরদারিতে ছিল এবং কেবল বেসামরিক নাগরিকদেরই সেখানে প্রবেশের অনুমতি ছিল।”
 

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরের সেই বিদ্যালয়টি অবশেষে ভেঙেই পড়ল পদ্মা নদীতে

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়নের ১৫১ নম্বর উত্তর মাথাভাঙা মান্নান সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি পদ্মা নদীতে ভেঙে পড়েছে। বিলীন হয়ে গেছে বিদ্যালয়ের ৩০ শতাংশ জমি। বিদ্যালয়ের একমাত্র ভবন নদীতে বিলীন হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সোমবার বিকেলে ভবনটির একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়ে।

ভেদরগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার কাচিকাটা ইউনিয়ন পদ্মা নদীর চরে অবস্থিত। ইউনিয়নটির একদিকে মুন্সিগঞ্জ ও আরেক দিকে চাঁদপুর জেলা। ওই এলাকাটির চার দিক দিয়ে পদ্মা নদী প্রবাহিত হয়েছে। ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মাথাভাঙা চরবানিয়াল গ্রামে ৪০০ পরিবারের বসবাস। ওই গ্রামের বাসিন্দারা নদীতে মাছ শিকার ও কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁদের মধ্যে পড়ালেখার আগ্রহ কম। এ ছাড়া গ্রামটিতে কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল না। ২০১৭ সালে ওই গ্রামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করে সরকার। পরের বছর ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়। একতলা একটি পাকা ভবনের চারটি কক্ষে পাঠদান কার্যক্রম চলছিল। সোমবার বিকেলে বিদ্যালয় ভবনের একটি অংশ নদীতে ভেঙে পড়েছে।

আরও পড়ুনযেকোনো সময় পদ্মায় বিলীন হতে পারে শরীয়তপুরের বিদ্যালয়টি১৯ ঘণ্টা আগে

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও শিক্ষকেরা জানান, ২০২৩ সালে বিদ্যালয়টি পদ্মার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ে। তখন পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করে। এ বছরের জুন মাসে সেই বালুর বস্তা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। তখন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ভবনটি রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে চিঠি দেন। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন ভাঙনের কবল থেকে বিদ্যালয় ভবনটি রক্ষার কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বিদ্যালয় ভবনটি ভাঙনের মুখে পড়লে ৪ সেপ্টেম্বরের থেকে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। রোববার বিদ্যালয়ের আসবাব ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।

শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলে উত্তর মাথঅভাঙা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পদ্মা নদীতে বিলীন হয়ে গেছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরের সেই বিদ্যালয়টি অবশেষে ভেঙেই পড়ল পদ্মা নদীতে
  • তিন ভবনেই ১৫টি, রাজনৈতিক দলের কার্যালয় কেন পল্টনকেন্দ্রিক