গাজার সর্বোচ্চ আবাসিক ভবনটি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিলো ইসরায়েল
Published: 6th, September 2025 GMT
গাজার সবেচেয়ে উঁচু আবাসিক ভবনটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। শনিবার এ হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা অনলাইন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর দাবি, ভবনটি হামাস তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করতো এবং সেখানে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও বিস্ফোরক মজুত রাখা হয়েছিল। তবে গাজা কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজা শহরের তাল আল-হাওয়া এলাকায় ইউএনআরডব্লিউএ ভবনের বিপরীতে আল-সুসির আবাসিক টাওয়ারটি অবস্থিত। এখানে বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, হামাস ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অবস্থান পর্যবেক্ষণের জন্য গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে ভবনটি ব্যবহার করছিল। এছাড়া ইসরায়েলি সেনাদের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে ‘ভবনের কাছে অসংখ্য বিস্ফোরক ডিভাইস পুঁতে রেখেছিল’ হামাস।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই দাবির সমর্থনে কোনো প্রমাণ সরবরাহ করেনি।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরায়েলের দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, “আমরা সম্পূর্ণ এবং বিশদভাবে প্রত্যাখ্যান করছি, ইসরায়েলি দখলদারিত্ব তাদের বর্বর আগ্রাসনকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য মিথ্যাচার এবং অভিযোগ প্রচার করেছে। আমরা এই টাওয়ারগুলোর বাসিন্দাদের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে দ্ব্যর্থহীনভাবে নিশ্চিত করছি যে এগুলো নজরদারিতে ছিল এবং কেবল বেসামরিক নাগরিকদেরই সেখানে প্রবেশের অনুমতি ছিল।”
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে আবারও এক শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে সাভারের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত।
নিহত মো. রাকিব (২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
এর আগে চলতি বছরের ১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন লাইব্রেরি ভবনের চারতলা থেকে পড়ে মো. আরিফুল নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন। এর তিন মাসের মাথায় আবারও এক শ্রমিকের মৃত্যু হলো।
ভবনটির নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন ওই ভবনের ৯ম তলায় আস্তরের কাজ করছিলেন রাকিব। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দিকে ভবনের জানালা দিয়ে তিনি ময়লা-আবর্জনা ফেলতে গিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে ভবনের কর্মচারীরা উদ্ধার করে সাভারের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। রাত আটটার দিকে তিনি সেখানে মারা যান।
ভবনটিতে সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ভবনের ৯ম তলায় আস্তরের কাজ চলছিল। রাকিব ভবনের জানালা দিয়ে ময়লা ফেলতে গিয়ে পড়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই বহুতল ভবনটির কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিন ট্রেডার্স। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ভবনের মধ্যে কাজ চলছিল। ভবনটির বাইরের কাজ শেষ তাই ‘সেফটি নেট’ খুলে ফেলা হয়েছে।
মো. আজিজ জানান, রাকিবের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভবনটিতে কর্মরত ফোরম্যানের তত্ত্বাবধানে তাঁর মরদেহ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। আমরা বারবার তাদেরকে যথাযথ সেফটি (নিরাপত্তা) নিশ্চিত করে তারপর কাজ করতে বলি। কিন্তু অনেক সময় এসব কর্মচারীরা মানে না। এ বিষয়ে প্রকল্প অফিস ও প্রশাসন থেকে বারবার তাদের তাগাদা দেওয়া হয়। এরপরও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেল।’