স্বাধীনতা বিরোধীরা একটি পদেও জয়ী হতে পারবে না: মেঘমল্লার বসু
Published: 7th, September 2025 GMT
স্বাধীনতা বিরোধীরা একটি পদেও জয়ী হতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ২০২৫ এ বামপন্থী ছাত্র সংগঠনগুলোর প্যানেল ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ এর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী মেঘমল্লার বসু। তিনি ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি।
তিনি অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “আপনারা যাকে খুশি তাকে ভোট দিন, কিন্তু দয়া করে ৯ তারিখে ভোট দিতে আসুন। আপনাদের ভোটে গোটা সমীকরণ বদলে যাবে। এখানে স্বাধীনতাবিরোধীরা একটি পদেও জয়ী হতে পারবে না। শুধু উপস্থিতি নিশ্চিত করুন, ভোটটা দিয়ে যান।”
আরো পড়ুন:
ডাকসু: উমামার স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের আচরণবিধি লঙ্ঘন অব্যাহত
ডাকসু: ঢাবি শিক্ষার্থীর নানির বাড়িতে বেরোবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, “আজ প্রচারণার শেষ দিন। আমরা এক অদ্ভুত সময়ের মধ্য দিয়ে প্রচারণা শেষ করছি। যদি আমার এই উপস্থিতি সহযোদ্ধাদের মনে সামান্য প্রেরণাও জোগায়, সেটাই হবে আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, “যারা আমাকে ভোট দেবেন না, তাদের বলার কিছুই নেই। তবে অনেকে আছেন যারা আমাকে পছন্দ করেন, কিন্তু ভাবছেন—যে প্রার্থী আমার দোরগোড়ায় পৌঁছায়নি, সে নির্বাচিত হলে আদৌ আমার কাছে পৌঁছাবে তো? আমি শুধু বলতে চাই, শেষ পাঁচ দিন আমি চেষ্টা করেছি যেন শেষ মানুষটির কাছেও পৌঁছাতে পারি। কিন্তু শারীরিক অক্ষমতার কারণে তা সম্ভব হয়নি। সেই ব্যর্থতার দায় আমি নিচ্ছি।”
মেঘমল্লার বলেন, “যদি মনে করেন আগামী দিনে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমি ও আমার সহপ্রার্থীরাই উপযুক্ত, তাহলে শুধু এই কারণে ভোট দেবেন। তবে আমি আপনাদের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে পারিনি- এই কারণে আমাকে বঞ্চিত করবেন না।”
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
খুলনায় বিএনপি কার্যালয়ে গুলি ও বোমা হামলা, নিহত ১
খুলনা নগরের আড়ংঘাটায় কুয়েট আইটি গেট–সংলগ্ন বিএনপির কার্যালয়ে দুর্বৃত্তরা গুলি ও বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে ইমদাদুল হক (৫৫) নামের এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত সোয়া নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মামুন শেখসহ আরও তিনজন। তাঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা গেছে, রাতে মামুন শেখ স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে ওই কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে আসা দুর্বৃত্তরা অফিস লক্ষ্য করে পরপর দুটি বোমা ও চারটি গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। প্রথম গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে পাশে থাকা শিক্ষক ইমদাদুল হকের শরীরে লাগে। ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। পরে আবার গুলি চালালে মামুন শেখসহ অন্য দুজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে দলীয় নেতা-কর্মী ও স্বজনেরা তাঁদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। এলাকাবাসীর ভাষ্য, তিনি একটি মাহফিলের অনুদান সংগ্রহের জন্য ওই কার্যালয়ে গিয়েছিলেন।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাসার বলেন, মামুন শেখ প্রায়ই স্থানীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে বসে আড্ডা দেন। গতকাল রাতেও তিনি আড্ডা দিচ্ছিলেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাঁকে লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হয়েছিল। তাঁর অবস্থাও আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান চলছে।