ইসরায়েলি হামলায় গাজা সিটিতে বহুতল ভবন ধ্বংস, নিহত ৬৫
Published: 8th, September 2025 GMT
গাজা সিটির বহুতল ভবনগুলো একে একে ধ্বংস করছে ইসরায়েলি বাহিনী। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সর্বশেষ আল-রুয়া টাওয়ারে বিমান হামলা চালিয়ে সেটিকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়েছে। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, চলমান অভিযানে শহরের অন্তত ৫০টি উঁচু ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল।
এই হামলায় গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় কমপক্ষে ৬৫ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে শুধু উত্তরাঞ্চলেই প্রাণ হারিয়েছেন ৪৯ জন।
আরো পড়ুন:
আমি আ.
নুরের ওপর হামলা উদ্দেশ্যমূলক: মির্জা আব্বাস
ইসরায়েলি সেনারা দাবি করেছে, হামলার আগে আল-রুয়া টাওয়ার খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এতে ভবনের ভেতরে থাকা মানুষজনের পাশাপাশি আশপাশের তাঁবুতে থাকা বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোও পালিয়ে যায়।
ফিলিস্তিনি এনজিও নেটওয়ার্কের প্রধান আমজাদ শাওয়া আলজাজিরাকে বলেন, “পরিস্থিতি ভয়াবহ এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।”
তিনি বলেন, “আজ শত শত পরিবার আশ্রয় হারিয়েছে। ইসরায়েল এই বিস্ফোরণের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের দক্ষিণে ঠেলে দিতে চাইছে। কিন্তু সবাই জানে দক্ষিণে বা কোনো তথাকথিত মানবিক অঞ্চলেও নিরাপদ জায়গা নেই।”
পাঁচতলা বিশিষ্ট আল-রুয়া টাওয়ারে ২৪টি ফ্ল্যাট ছাড়াও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, একটি ক্লিনিক ও একটি জিম ছিল। এর আগে ইসরায়েল মধ্য গাজার আলজাজিরা ক্লাবে হামলা চালায়, যেখানে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলো তাঁবুতে আশ্রয় নিয়েছিল।
শুক্রবার ১২তলা মুস্তাহা টাওয়ার এবং শনিবার ১৫ তলা সউসি টাওয়ারেও একই ধরনের বিমান হামলা চালানো হয়। সেসব ভবনের আশপাশে তাঁবুতে থাকা বহু ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
সউসি টাওয়ার ধ্বংসের ঘটনায় আশ্রয় হারানো এক ফিলিস্তিনি বলেন, “আমরা দ্রুত ভবন ছেড়ে বেরিয়ে আসি, কিছুই সঙ্গে আনতে পারিনি। আধা ঘণ্টার মধ্যে ভবনটি বোমায় উড়িয়ে দেওয়া হয়। এখন কাপড়-চাদর জোড়া দিয়ে নতুন আশ্রয় তৈরির চেষ্টা করছি।”
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় গুলিতে ৩ পুলিশ নিহত
যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যে গুলিতে অন্তত তিনজন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও দুজন পুলিশ সদস্য।
অঙ্গরাজ্যটির পুলিশ কমিশনার ক্রিস্টোফার প্যারিস বুধবার সংবাদমাধ্যমকে হতাহতের এ তথ্য জানান।
ক্রিস্টোফার প্যারিসের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার দুপুরের এ ঘটনায় সন্দেহভাজন বন্দুকধারীও পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আহত দুই পুলিশ সদস্যের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পেনসিলভানিয়ার গভর্নর জশ শাপিরো ফিলাডেলফিয়া থেকে প্রায় ১৮৫ কিলোমিটার বা প্রায় ১১৫ মাইল পশ্চিমে নর্থ কোডোরাস টাউনশিপে ঘটনাস্থলে গেছেন।
কে বা কারা এ গুলিবর্ষণের পেছনে জড়িত, সে সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে পুলিশ কোনো তথ্য দেয়নি।
অ্যাটর্নি জেনারেল পামেলা বন্ডি পুলিশের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে ‘আমাদের সমাজের জন্য একটি অভিশাপ’ বলে অভিহিত করেছেন।
পামেলা বন্ডি আরও বলেন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য ফেডারেল এজেন্টরা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন।