হ্যান্ডকাফসহ পুলিশের হাত থেকে পালাল কিশোর
Published: 11th, September 2025 GMT
গাজীপুরের টঙ্গীতে আটকের পর হ্যান্ডকাফসহ পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়েছে এক কিশোর।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার দিকে টঙ্গীর কেরানীরটেক বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে।
পালিয়ে যাওয়া শান্ত কেরানীরটেক বস্তি এলাকার আলালের ছেলে। ছিনতাই, চুরি, মাদকের কারবারসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ছিনতাই করা একটি মোবাইল ফোন উদ্ধারে টঙ্গীর মাদকের হটস্পট খ্যাত কেরানীরটেক বস্তি এলাকায় অভিযানে যায় টঙ্গী পূর্ব থানা পুলিশ। এ সময় বস্তির একটি ঘর থেকে হৃদয় ও শান্ত নামের দুই কিশোরকে আটক করে হ্যান্ডকাফ পরায় পুলিশ সদস্যরা। বিষয়টি টের পেয়ে বস্তির বাসিন্দা কুলসুমের নেতৃত্বে কয়েকজন নারী পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। সেই সুযোগে আসামি শান্ত হ্যান্ডকাফসহ ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে খোঁজাখুজি করেও শান্তর আর হদিস পাওয়া যায়নি। প্রায় ঘণ্টাখানেক পর ওই বস্তির শীর্ষ মাদক কারবারি কারিমা পুলিশের খোয়া যাওয়া হ্যান্ডকাফটি ফেরত দিয়ে যায়।
ঘটনার বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান বলেছেন, মোবাইল ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে হৃদয় নামে একজনকে গ্রেপ্তার করতে আমরা সেখানে যাই। সেখানে হৃদয়ের ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় শান্ত নামের অপর একজনকে পাওয়া যায়। এ সময় ছিনতাইকারী সন্দেহে তাকেও আটক করা হয়। কিন্তু, কয়েকজন নারী মব সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে শান্ত জানালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে কারিমা নামে বস্তির এক নারী হ্যান্ডকাফটি উদ্ধার করে আমাদের কাছে ফেরত দিয়ে যায়। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলায় গ্রেপ্তার হৃদয়সহ তিন আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.                
      
				
ঢাকা/রেজাউল/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বস ত র ছ নত ই
এছাড়াও পড়ুন:
ফোনে খালেদা জিয়া বললেন, ‘ভাই, জিয়াকে ড্রয়িংরুমে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।’
৭৫-এর উত্তপ্ত নভেম্বর
শেখ মুজিব হত্যার পর বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী ছিল দ্বিধাগ্রস্ত এবং দেশ প্রতিদিন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল। এদিকে খন্দকার মোশতাক ক্ষমতায় এসেই আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতা সর্বজনাব নজরুল ইসলাম তাজউদ্দীন আহমেদ, মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান ও আবদুস সামাদ আজাদকে আটক করেন এবং ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করে রাখেন। বাতাসে প্রতিনিয়ত নানা গুজব উড়ছিল ও সাধারণ নাগরিকগণ ভয়ভীতির মধ্য দিয়ে দিন কাটাচ্ছিলেন। সেনানিবাসেও অস্থিরতা বিরাজ করছিল এবং ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছিল যে, নিজেদের মধ্যে যে-কোনো সময়ে সংঘর্ষ বেঁধে যেতে পারে। এ পরিস্থিতিতে আর্মিতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা খুবই জরুরি ছিল।
পদাতিক বাহিনীর মধ্যে, বিশেষ করে ঢাকা ব্রিগেডের ১ম, ২য় ও ৪র্থ বেঙ্গল রেজিমেন্টের অফিসারগণ মেজর ফারুক, রশিদ ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে উঠছিল এবং আর্মির চেইন অফ কমান্ড পুনঃস্থাপনের জন্য তৎকালীন ব্রিগেড অধিনায়ক কর্নেল শাফায়াত জামিলও অত্যন্ত উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছিলেন। কারণ তাঁর অধীনস্থ অফিসার ও সৈন্যগণই তাঁর সার্বিক কর্তৃত্ব উপেক্ষা করে শেখ মুজিব হত্যায় জড়িত ছিল। এ পরিস্থিতিতে সেনাসদরে ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফও সেনাবাহিনীর জুনিয়র অফিসারদের অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলার অবনতির কথা বলে উত্তেজিত করার চেষ্টায় লিপ্ত ছিলেন।
মেজর জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী (অব.) বীরবিক্রম