১৬ দিন ধরে অচলাবস্থায় উদ্বেগ প্রকাশ বাকৃবি ছাত্রশিবিরের
Published: 16th, September 2025 GMT
গত ৩১ আগস্ট বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি)। দীর্ঘ ১৬ দিন ধরে চলমান অচলাবস্থা ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাকৃবি শাখা ছাত্রশিবির।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাকৃবি শাখা ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ইউনুস বিন হোসাইন খান স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
আরো পড়ুন:
দ্রুত অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম চালুর দাবি বাকৃবি শিক্ষার্থীদের
আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি, ৬ দাবিতে অনঢ় বাকৃবি শিক্ষার্থীরা
যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনটির শাখা সভাপতি আবু নাছির ত্বহা ও সেক্রেটারি আব্দুল্লাহ আল মঈন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীদের কম্বাইন্ড ডিগ্রির দাবিকে কেন্দ্র করে আন্দোলন-পরবর্তী অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাবলীর কারণে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকা অত্যন্ত দুঃখজনক।
তারা বলেন, শিক্ষকদের দীর্ঘ সময় আটকে রাখা এবং শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগত হামলা– উভয়ই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের জন্য আশঙ্কাজনক। শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক উপায়ে উপস্থাপন করা যেমন প্রয়োজন, তেমনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরও দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা। একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে বহিরাগত অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা প্রশাসনের দায়িত্বও।
শিবির নেতারা আশা প্রকাশ করে বলেন, আলোচনার মাধ্যমে এ সংকটের দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ সমাধান বের হবে এবং শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম পুনরায় শুরু হবে।
একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিনের অচলাবস্থা নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং ক্যাম্পাস এলাকায় স্থায়ী নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান তারা।
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’