চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে বামধারার ছাত্রসংগঠন গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট–সমর্থিত প্যানেল ঘোষণা হয়েছে। ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ নামের এ প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে লড়বেন শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সংগঠক ধ্রুব বড়ুয়া। সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে লড়বেন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (ইউপিডিএফ–সমর্থিত) সাধারণ সম্পাদক সুদর্শন চাকমা। তিনিসহ ২৬ পদের এ প্যানেলে ১১ জন পাহাড়ি শিক্ষার্থী রয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটায় ক্যাম্পাসের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ঝুপড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্যানেল ঘোষণা করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সাবেক সভাপতি রোনাল চাকমা। এই প্যানেল  সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়বেন শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি জাকিরুল ইসলাম। তিনি জশদ জাকির নামে পরিচিত।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভিপি প্রার্থী ধ্রুব বড়ুয়া। তিনি বলেন, ‘চাকসু বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা, গবেষণা, স্বাস্থ্য, আবাসন, পরিবহনসহ সব ক্ষেত্রে চলমান সংকটের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ঐক্যবদ্ধ করব। সব ধরনের নিপীড়িত অংশের কণ্ঠস্বর হব। পরিচয়বাদী বিভাজন দূর করে, অধিকারের পক্ষে সমস্ত বৈচিত্র্যকে ধারণ করে বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলব।’

ধ্রুব বড়ুয়া বলেন, ‘সেই ঐক্যের বার্তা নিয়ে আমাদের প্যানেলের নাম ‘বৈচিত্র্যের ঐক্য’ করা হয়েছে।  আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, জাতিভিত্তিক সংগঠন ও সাধারণ শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে ঐক্যবদ্ধ প্যানেল গঠন করেছি।’

আরও পড়ুনচাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবিরের প্যানেল ঘোষণা, আছেন হিন্দুধর্মাবলম্বী প্রার্থীও৩ ঘণ্টা আগে

সংবাদ সম্মেলনে রোনাল চাকমা বলেন, প্যানেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ, মারমা ছাত্র কাউন্সিল, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর, ছাত্র যুব আন্দোলনের, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী), ত্রিপুরা ছাত্র ফোরাম, সাংস্কৃতিক সংগঠন কলতান ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

প্যানেলে আরও তাঁরা

প্যানেলে খেলাধুলা ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদে লড়বেন লালতান সাং বম, সাহিত্য,সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে এমদাদ উল্লাহ, সহ সাহিত্য, সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদকে শামসুন্নাহার রুমী, দপ্তর সম্পাদকে রাম্রা সাইন মারমা, সহ দপ্তর সম্পাদকে সজিব চন্দ্র দাস, ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদকে সুমাইয়া শিকদার (মোসা.

সুমাইয়া), সহ ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদকে উম্মে সাবাহ্ তাবাসসুম, গবেষণা ও উন্নয়ন সম্পাদকে ধন রঞ্জন ত্রিপুরা, সমাজসেবা ও পরিবেশ সম্পাদকে সাথোয়াঅং মারমা, স্বাস্থ্য সম্পাদকে রিশাদ আমীন, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদকে নিত্যানন্দ কুমার, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ও আন্তর্জাতিক সম্পাদকে মাহিদুল ইসলাম, যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদকে মোশরেফুল হক , সহ যোগাযোগ ও আবাসন সম্পাদকে শর্ত খীসা, পাঠাগার ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদকে মোহাম্মদ আকিব। এ ছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে সোমা চাকমা, তিষ্য চাকমা, শিউলি ত্রিপুরা, সিংয়ইপ্রু মারমা, অংক্য চিং মারমা লড়বেন।

আরও পড়ুনচাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণা, ভিপি পদে লড়বেন দর্শন বিভাগের সাজ্জাদ হোসেন৪ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গণত ন ত র ক

এছাড়াও পড়ুন:

ফতুল্লায় ডাইং কারখানা ও বাসা-বাড়ির ৩ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা

ফতুল্লায় শাসনগাঁও চাঁদনী হাউজিং এলাকায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এক বিশেষ মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন মন্ত্রণালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মিল্টন রায়।

অভিযানে প্রথমে শাসনগাঁও এলাকার শিল্পপ্রতিষ্ঠান মেসার্স এম. আর. ইয়ার্ণ ডাইং এ অভিযান চালানো হয়। সেখানে ১ টন ক্ষমতাসম্পন্ন একটি এবং ৩০০ কেজি ক্ষমতাসম্পন্ন আরেকটি মোট দুটি বয়লারে অবৈধভাবে পূর্বে বিচ্ছিন্নকৃত গ্যাস সংযোগ ব্যবহার করা হচ্ছিল। 

কর্তৃপক্ষ দ্রুত সংযোগগুলো পুনরায় বিচ্ছিন্ন করে কিল (স্থায়ীভাবে বন্ধ) করে দেয়। এসময় অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করার অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ৮০ হাজার টাকা নগদ জরিমানা আদায় করা হয়।

শুধু শিল্পপ্রতিষ্ঠানই নয়, আশপাশের আবাসিক এলাকা চাঁদনী হাউজিং ও শাসনগাঁওয়ের প্রায় ৫০টি বাড়িতে ৩০০টিরও বেশি গ্যাসচুলা অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে চালানো হচ্ছিল। অভিযান চলাকালে এসব সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে কিল করা হয়। ফলে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৭৬০০ ঘনফুট গ্যাস সাশ্রয় হবে, যা মাসিক হিসাবে প্রায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার সমমূল্যের গ্যাস অপচয় রোধ করবে।

অভিযান শেষে জোবিঅ-এনায়েতনগর-কাশিপুর ফতুল্লা শাখার ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মো: আতিকুল ইসলাম বলেন, আমরা নিয়মিতভাবেই এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করছি এবং ভবিষ্যতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে। অবৈধ সংযোগের কারণে রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষতি হচ্ছে, তাই কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

এই অভিযানের ফলে এলাকায় গ্যাস ব্যবহারে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করেছেন।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ