প্রধান নির্বাচন কমিশনার ডিএইচ বাবুল বলেছেন, দীর্ঘ ১৬ বছর চৌধুরীবাড়ী ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহারের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের ডিসি এসপি, যৌথ বাহিনী র‌্যাব পুলিশের সাথে যোগাযোগ সম্পূর্ণ করা হয়েছে, তারা আশ্বাস দিয়েছেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আদলে ব্যবসায়ীদের এই এসোসিয়েশনের নির্বাচন ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতীকের ছবি ও নাম সহ সম্বলিত প্রার্থীদের নামের ব্যালট দেয়া হবে। শুধু ভোটাররা নির্বাচনের বুথে সামনে আসতে পারবেন।

প্রার্থীরা একবার আসতে পারবেন, বার বার নয়। প্রার্থীদের ফেস্টুন সাইজ ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে, সেই মাপে ফেষ্টুন ব্যানার করতে হবে। ভোটারদের নাম সম্বলিত সিলিপ পৌছানো হবে, সেটা নিয়ে আসলে ভোট দিতে পারবেন।

সকাল ৯টা থেকে ৪টা পর্যন্ত ভোট প্রয়োগ করতে পারবেন, শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সকলের কাছে কাম্য। আগামীকাল নির্বাচনে সকলের উৎসাহ নিয়ে ভোট দিন অতিবাহিত করতে চাই। প্রতিনিয়ত প্রার্থীদের নামে মিছিল নিয়ে প্রচারণা আমি আবেদ আপ্লুত হয়েছি।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গোদনাইল একটি কমিউনিটি সেন্টারে চৌধুরীবাড়ী ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন-২০২৫ নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থী ও ভোটারদের সাথে নির্বাচন কমিশনাদের মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামীকাল ২০ সেপ্টেম্বর চৌধুরীবাড়ী ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের নির্বাচন সফলতা লক্ষ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন, সাগর প্রধান, সামসুদ্দিন শেখ, আবুল কাশেম মেম্বার, নাজিমউদ্দিন মেম্বার, আমির হোসেন প্রধান ও শেখ অপু। কমিটির ১৭টি পদে ৫টি পদে (সভাপতি, সহ-সভাপতি তিনজন, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক দুইজন ও দপ্তর সম্পাদক) ১৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন।

নির্বাচন কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাধীন বলেছেন, চৌধুরী বাড়ী ব্যবসায়ী এসোসিয়েশন কমিটি সব সময় আলোচিত সংগঠন। কিন্তু বিগত সময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্বে আসেনি। এবার আনন্দময় পরিবেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। নির্বাচন মানে ভোটারদের চাহিদা পূরণে একটি কমিটি গঠন করা।

নির্বাচন কমিশনার সাগর প্রধান বলেছেন, আজকের মতবিনিময়টি ছিলো প্রার্থী ও ভোটারদের মিলন মেলা। প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিলো নির্বাচনের প্রধান চিত্র। আমি গত নাসিকের নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলাম। জয় পরাজয়ের মাধ্যমে নির্বাচন পরিস্থিতি সমাপ্ত ঘটে।

এতে পরাজিতরা পিছিয়ে যাবেন না, আপনারা আগামী জয়ের অপেক্ষা আছেন। নির্বাচনে যারা আইন লঙ্ঘন করেছেন তারা সমস্যা পড়েছেন। ১৬ বছর নির্বাচনের ব্যবস্থা কিছু ক্রটি থাকতে পারেন, সেগুলো সমাধান করা হবে আগামী নির্বাচনে।

এমন কোন প্রভাব বিস্তার করলে ভোটাররা প্রবাহিত হতে পারে। তাই কৌশলী নির্বাচনে জয়ী হলেও তিনি সম্মানিত হতে পারবেন না। ইতোমধ্যে ভোটারদের দোকানে দোকানে ঘিয়ে প্রচারণা বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেছি, তারা সন্তোষ্ট প্রকাশ করেছেন। যোগ্য প্রার্থী জয়ী হলে আগামী উন্নয়নে কোন বাধা পড়বে না। অন্যায় ভাবে নির্বাচিত হলে আপনারা আগামী আসতে দিবে না ব্যবসায়ীরা।

নির্বাচন কমিশনার শেখ অপু বলেছেন, ব্যবসায়ীদের নির্বাচনে ইতোমধ্যে এলাকায় আলোচনা সৃষ্টি হয়েছে। বিগত ১৬ বছর নির্বাচনের কোন ব্যবস্থা ছিলো না। যারা দায়িত্ব ছিলো তাদের হুংকারে অনেক ব্যবসায়ীরা চুপসে বসে ছিলো। আজ ব্যবসায়ীরা আনন্দময় পরিবেশে নির্বাচনের ভোট প্রয়োগে প্রহর গুনছে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব যবস য় ১৬ বছর প রব ন বল ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক