বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, “ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করেছে। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ভারতে বসে আবারও ষড়যন্ত্র করছে। চোরাগোপ্তা হামলার পরিকল্পনা করছে।”

জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতীকী যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “তারা যদি আবার ষড়যন্ত্র করে, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করে, তাহলে জনগণ আর কোনো ষড়যন্ত্র মেনে নেবে না। সম্মিলিতভাবে আবার তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। বাংলাদেশে বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বড় প্রয়োজন একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। এ নির্বাচনের প্রত্যাশায় দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রামে অনেক তরুণ প্রাণ ঝরে গেছে, লক্ষাধিক নেতা-কর্মীর নামে মামলা হয়েছে এবং গণতন্ত্র রক্ষায় মানুষ নির্বাসিত জীবনযাপন করছে।”

বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, “যদি নির্বাচনের ঘোষণা আসে, তাহলে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বিএনপিকে আবারও ক্ষমতায় আনবে।”

তিনি বলেন, “আগামী দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশের নেতৃত্বে আসবেন এবং জনগণের ওপর নির্ভর করে দেশকে এগিয়ে নেবেন। স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়েই আগামী দিনের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি এম জাহাঙ্গীর আলম এবং সঞ্চালনা করেন সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার মোফাজ্জল হোসেন হৃদয়। আরো বক্তব্য রাখেন—বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মো.

রহমতুল্লাহ, বিলকিস ইসলাম, প্রিন্সিপাল শাহ মোহাম্মদ নেসারুল হক,মৎস্যজীবী দলের নেতা ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কৃষক দলের নেতা আব্দুর রাজী, ছাত্রদলের নেতা শামীম আখন্দ প্রমুখ।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ষড়যন ত র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথে ভাঙল ৩ দশকের অচলায়তন

দীর্ঘ ৩৩ বছরের অচলায়তনের অবসান ঘটিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব নিয়েছে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা।

বৃহস্পতিবার (১৮সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথ বাক্য পাঠ করান উপাচার্য ও জাকসুর সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

আরো পড়ুন:

অব্যবহৃত ও অতিরিক্ত ব্যালট ফেরত নেওয়া হয়েছে: জাকসু নির্বাচন কমিশন

জাকসুর ২৫ পদের ২০টিতেই শিবিরের জয়

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও জাকসু নির্বাচন কমিশনের সদস্য সচিব অধ্যাপক রাশিদুল আলম বলেন, “জাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, তবে প্রচেষ্টা ছিল সুষ্ঠু জাকসু বাস্তবায়নের। যারা বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ করছেন মিডিয়ায়, তাদের চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, আমাদের কাছে ভোটগ্রহণের সব ফুটেজ আছে। আমরা যে কাউকে তা দেখাতে প্রস্তুত।”

তিনি বলেন, “যেকোনো ব্যক্তির সম্মানের চেয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বড়। আমি আশা করব, যদি কেউ ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানির চেষ্টা করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজন মিলে আমরা তা প্রতিহত করব।”

এটাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহসের অন্যতম সুষ্ঠু ছাত্র সংসদ নির্বাচন দাবি করে উপ-উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, “আমরা গণতন্ত্রের জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র চর্চার ধারা তৈরি হয়েছে। আমি আশাবাদী তোমাদের (নির্বাচিত প্রতিনিধিরা) ওপর য়ে দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে, তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে।”

শপথ গ্রহণ পরবর্তী বক্তব্যে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, “এই বিজয়ের দাবিদার আমাদের চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের শহীদেরা। যারা তাদের বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে স্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছে। জাকসু নির্বাচনের পেছনে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থীর অবদান আছে। তারা বিভিন্ন ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে নিজেদের অধিকার ফিরিয়ে এনেছে। আমি এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করছি জাকসুর মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি অংশীজন উপকৃত হবেন।”

এসময় জাকসুর নবনির্বাচিত সহ-সভাপতি আবদুর রশিদ জিতু বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই, তারা সব ধরনের চাপকে মোকাবেলা করে জাকসু নির্বাচন দিতে সক্ষম হয়েছেন। ৩৩ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো নির্বাচন বন্ধ ছিল না। কেবল ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ ছিল। তবে আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ জানাই আসুন আমরা সবাই মিলে জাহাঙ্গীরনগরের স্বার্থে কাজ করি।”

জাবি উপাচার্য ও জাকসুর সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেন, “বাংলাদেশের গণতন্ত্র হারিয়ে গিয়েছিল। তার পুণরুদ্ধার শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে; জাকসু ও ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অংশীজনকে ধন্যবাদ দিতে চাই, যারা এই নির্বাচন বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে।”

ঢাকা/আহসান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পোষ্য কোটা ফেরানোর প্রতিবাদে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ
  • পোষ্য কোটা ফিরিয়ে আনাকে রাকসু বানচালের ষড়যন্ত্র বলছেন প্রার্থীরা
  • জুলাই সনদ প্রশ্নে বিএনপি–জামায়াত মুখোমুখি, সমঝোতার নতুন উদ্যোগ ৯ দলের
  • জাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের শপথে ভাঙল ৩ দশকের অচলায়তন
  • ‘ভোটারদের আস্থা নিশ্চিত করা বিএনপির দায়িত্ব’
  • জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
  • ‘স্বৈরাচারের পতন হলেও ষড়যন্ত্রের অবসান হয়নি’
  • আমেরিকানদের হাতে সময় আছে মাত্র ৪০০ দিন
  • হুংকার দিয়ে জাতীয় নির্বাচন ঠেকান যাবে না: জাহিদ হোসেন