গ্রাহকদের আরও উন্নত, আধুনিক ও উপভোগ্য ব্যাংকিং সেবা দিতে ঢাকার নিকুঞ্জে নতুন একটি ব্রাঞ্চ উদ্বোধন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক। গত রোববার, ১২ অক্টোবর ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী তারেক রেফাত উল্লাহ খান ঢাকার জোয়ার সাহারা বাণিজ্যিক এলাকার এশিয়ান টাওয়ারে নিকুঞ্জ ব্রাঞ্চের উদ্বোধন করেন

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকটির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব রিটেইল ব্যাংকিং মো.

মাহীয়ুল ইসলাম, হেড অব জেনারেল সার্ভিসেস ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আমিন আকবর, সিনিয়র জোনাল হেড (উত্তর) এ কে এম তারেকসহ ব্যাংকের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বিমানবন্দর, কূটনৈতিক এলাকা এবং প্রধান আবাসিক ও বাণিজ্যিক এলাকার কাছে অবস্থান হওয়ায় নিকুঞ্জ ব্রাঞ্চটি এসএমই, রিটেইল এবং করপোরেট গ্রাহকদের উন্নত ব্যাংকিং সেবা প্রদানে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ঢাকার দ্রুত বর্ধনশীল এলাকাগুলোর একটি হিসেবে নিকুঞ্জ বেশ পরিচিত। ব্র্যাক ব্যাংকের উপস্থিতি এখানকার ব্যবসায়িক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে সহায়ক হবে।

নতুন এই ব্রাঞ্চ চালুর মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক সারা দেশে নিজেদের উপস্থিতি আরও সম্প্রসারিত করেছে, যা গ্রাহকদের আধুনিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও গ্রাহককেন্দ্রিক ব্যাংকিং সেবা প্রদানের ব্যাপারে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংকের ২৯৮টি ব্রাঞ্চ ও সাব-ব্রাঞ্চ, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস এবং ১ হাজার ১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক রয়েছে, যা ব্যাংকটিকে দেশের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কৃষি ও এসএমই ঋণ বাড়াতে নিরাপত্তা সঞ্চিতিতে ছাড় পেল ব্যাংকগুলো

কৃষি ও এসএমই ঋণ বাড়াতে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণে ব্যাংকগুলোকে ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এসব ঋণের বিপরীতে আগের চেয়ে কম নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে।

ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা থেকে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়। ফলে এই ছাড় ব্যাংকগুলোর মুনাফা বাড়াতে সহায়তা করবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল সোমবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে স্ট্যান্ডার্ড ও স্পেশাল মেনশন হিসেবে (এসএমএ) থাকা বকেয়া ঋণের বিপরীতে যথাক্রমে ১ শতাংশ ও ৫ শতাংশ হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হয়। ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণ বিতরণ এবং কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) উদ্যোগ খাতের অধীনে কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র শিল্প উদ্যোগে ঋণ বিতরণে উৎসাহিত করতে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সিএমএসএমই খাতের আওতায় সব অশ্রেণীকৃত (স্ট্যান্ডার্ড এবং এসএমএ) স্বল্পমেয়াদি কৃষিঋণ এবং কুটির, মাইক্রো ও ক্ষুদ্র (সিএমএস) শিল্প উদ্যোগের ঋণের বিপরীতে ১ শতাংশ হারে নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে।

গত মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে অনুষ্ঠিত এক সভায় ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) প্রতিনিধিরা এই দাবি তুলে ধরেন। সভায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এরপরই বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল সোমবার এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কৃষি ও এসএমই ঋণ বাড়াতে নিরাপত্তা সঞ্চিতিতে ছাড় পেল ব্যাংকগুলো