বাংলাদেশিরা তাঁদের জমিতে ধানের চারা রোপণকালে ভারতের ঘোজাডাঙ্গা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্য ও কয়েকজন ভারতীয় নাগরিক আপত্তি ও জমি তাঁদের বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় বিজিবি ও বিএসএফ ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রোববার বেলা একটা থেকে দুইটা পর্যন্ত সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আজ রোববার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্যাটালিয়ন পর্যায়ের এ পতাকা বৈঠকে বিজিবির চার সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো.

আশরাফুল হক। অপর দিকে বিএসএফের চার সদস্যদের নেতৃত্বে ছিলেন ১০২ বিএসএফের ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট শ্রী রমেশ কুমার।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে ভোমরা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ৩ /২-এস ও ৩ /৩-এসের মধ্যবর্তী স্থানে সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বাংলাদেশি নাগরিক ধানের চারা রোপণকালে ১০২ ব্যাটালিয়ন বিএসএফের ঘোজাডাঙ্গা ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্য ও ভারতীয় স্থানীয় কয়েকজন ধানের চারা রোপণে আপত্তি জানানোর পাশাপাশি ওই জমি ভারতীয়দের বলে দাবি করেন। জানার পরপরই বিজিবি তাৎক্ষণিক বিএসএফ উত্থাপিত দাবি ও আপত্তি নাকচ করে দেয়। এ ব্যাপারে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার আপত্তিকৃত দুটি অংশ ছাড়া অন্য জায়গায় চাষাবাদ অব্যাহত রাখা ও ২০ জানুয়ারি উভয় দেশের সার্ভে বিভাগ কর্তৃক যৌথ পরিমাপের পর বিষয়টির চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে বলে একমত পোষণ করে।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী