পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত
Published: 12th, January 2025 GMT
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন; যাকে চোরাকারবারি বলছে বিজিবি। আহত শহিদুল ইসলাম (৪২) পাটগ্রাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের কাশিরডাঙ্গা গ্রামের জবেদ আলীর ছেলে। শনিবার দিবাগত রাতে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিজিবি ও স্থানীয়রা জানায়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের প্রধান পিলার ৮৫৯ নম্বরের ৪ নম্বর উপপিলার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশি গরু পারাপারকারীদের চার থেকে পাঁচজনের একটি দল ভারতের কোচবিহারের ময়নাতলী গ্রামে গরু আনতে যায়। এ সময় সে দেশের কয়েকজনের সহায়তায় গরু নিয়ে ফেরার পথে ১৬৯ রাণীনগর বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বুড়াবুড়ি ক্যাম্পের সদস্যরা পাঁচটিগুলি ছোড়ে। এতে শহিদুল ইসলামের পায়ে গুলি লাগে। সঙ্গীরা তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই রংপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। বর্তমানে সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক মানিক বলেন, গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে শহিদুল আহত হয়েছে লোকজনের মুখে শুনেছি। পায়ে গুলি লাগায় রংপুরে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ৬১ (তিস্তা-২) ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আহত ব্যক্তি গরু পারাপারকারী (ডাঙ্গোয়াল)। এ ঘটনায় রোববার সকালে ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে মীররাপা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার ও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক