এবার কুমিল্লা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
Published: 13th, January 2025 GMT
লালমনিরহাট, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্তের পর এবার কুমিল্লা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বিরুদ্ধে।
সীমান্তের বাসিন্দাদের অভিযোগ, আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের শাহপুর এলাকার সীমান্তঘেঁষা একটি পুকুর পাড়ে বেড়া নির্মাণ করছে বিএসএফ।
তারা জানান, পুকুরটির এক তৃতীয়াংশ ভারতে। বাকী একাংশ বাংলাদেশে পড়েছে। তবে, উভয় দেশের বাসিন্দারা এই পুকুরে গোসলসহ প্রয়োজনীয় পানি সংগ্রহ করে থাকেন।
আরো পড়ুন:
সীমান্তে উত্তেজনা: ভারতীয় হাইকমিশনারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব
‘হাসিনা ভারতের জন্য অনেক করেছেন, যতদিন চান থাকতে দেওয়া উচিত’
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সরেজমিনে শাহপুরের সীমান্ত এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, বিএসএফ সদস্যরা শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করছেন। এ ঘটনায় উভয় দেশের সীমান্তের বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শাহপুর এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘‘সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার নিয়ম নেই। কিন্তু, বিএসএফ সদস্যরা সেই আইন লঙ্ঘন করে বেড়া নির্মাণ করছেন। এ বিষয়ে আমার অভিযোগ করলে, আমাদের গুলি করার হুমকি দেওয়া হয়।’’
এদিকে, এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য না দিলেও কুমিল্লা সীমান্তে টহল বাড়ানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা-১০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.
ঢাকা/রুবেল/রাজীব
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক