সাতক্ষীরা সীমান্তের বিপরীতে চার রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। 

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভোরের দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ভোমরা সীমান্তের বিপরীতে ঘোজাডাঙ্গার শিবতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।

আরো পড়ুন: ভোমরা সীমান্তে জমি চাষে বিএসএফের বাধা, পতাকা বৈঠক

আরো পড়ুন:

এইচএমপিভি প্রতিরোধে হিলি ইমিগ্রেশনে মেডিকেল টিম

এবার কুমিল্লা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বিএসএফের, গুলির হমকি

বিজিবির সাতক্ষীরা ৩৩ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক মাসুদ রানা গুলিব বর্ষণের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এটা ভারতের অভ্যন্তরের ঘটনা। এর সঙ্গে সাতক্ষীরা সীমান্তের কোনো সম্পর্ক নেই।”

স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান জানান, আজ ফজরের নামাজের সময় কয়েক রাউন্ড গুলির শব্দ শোনেন তারা। বিএসএফ সীমান্তের বিপরীতে ভারতীয় অংশে ঘটেছে। 

আরো পড়ুন: এবার কুমিল্লা সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া বিএসএফের, গুলির হমকি

সীমান্তে টহলে থাকা বিজিবি সদস্যরা জানান, বিএসএফ চার রাউল্ড ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এটি মূলত সাউন্ড গানের গুলি।

প্রসঙ্গত, ভোমরার লক্ষীদাড়ি সীমান্ত এলাকার নজরুল ইসলাম ও নাজমুল হোসেন নামে দুই ব্যক্তি নিজেদের জমি চাষাবাদ করতে গেলে বাঁধা দেয় বিএসএফ। এ নিয়ে গতকাল রবিবার ব্যাটালিয়ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠক করে বিজিবি-বিএসএফ।

ঢাকা/শাহীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান
  • স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা