তারুণ্যের উৎসবে দুই পক্ষের মারামারিতে পণ্ড কাবাডি খেলা
Published: 14th, January 2025 GMT
তারুণ্যের উৎসবের সমাপনী দিনে কাবাডি খেলার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। খেলা শুরুর পর এক পক্ষের খেলোয়াড় ও সমর্থকেরা রেফারির প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন। বিষয়টি নিয়ে একপর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বী দুটি দলের খেলোয়াড় ও সমর্থকেরা হাতাহাতি, মারামারি এবং চেয়ার ছোড়াছুড়িতে লিপ্ত হন। এতে পণ্ড হয়ে যায় খেলা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ীতে এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মারামারিতে কয়েকজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারুণ্যের উৎসবের সমাপনী দিনে উপজেলা কমপ্লেক্স চত্বরে কাবাডি খেলার আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। খেলায় চাষিরহাট নুরুল হক উচ্চবিদ্যালয়ের সঙ্গে সোনাইমুড়ী মডেল উচ্চবিদ্যালয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সোনাইমুড়ী মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও সমর্থকেরা অভিযোগ তোলেন রেফারি চাষিরহাট নুরুল হক উচ্চবিদ্যালয়ের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করছেন। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা মারামারি ও চেয়ার ছোড়াছুড়িতে গড়ায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুরুতে আনসার সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী থানা-পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মারামারির কারণে খেলাটি পণ্ড হয়ে যায়। পুলিশি পাহারায় চাষিরহাট নুরুল হক উচ্চবিদ্যালয়ের খেলোয়াড়, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এলাকায় পাঠানো হয়। মারামারির সময় ক্রীড়া সংস্থার এক সদস্যের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাগ্বিতণ্ডা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য শহিদ উল্লা প্রথম আলোকে বলেন, খেলায় যাঁদের রেফারি হিসেবে রাখা হয়েছে, তাঁরা সবাই চাষিরহাট নুরুল হক উচ্চবিদ্যালয়ের পক্ষের। তাঁরা খেলায় ওই দলের পক্ষে পক্ষপাতিত্ব করছিলেন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিপক্ষ প্রতিবাদ করলে প্রথম দুই পক্ষের মধ্যে তর্কাতর্কি এবং পরে মারামারি লাগে। এ সময় তিনি এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতারা পরিস্থিতির সামাল দেন, না হলে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল মারামারি লাগত।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোরশেদ আলম উপজেলা পরিষদ মাঠে কাবাডি খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারির ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। প্রথম আলোকে তিনি বলেন, খেলায় রেফারির পক্ষপাতিত্বমূলক সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে চাষিরহাট নুরুল হক উচ্চবিদ্যালয় ও সোনাইমুড়ী মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের খেলোয়াড় ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারি বাধে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে দুই দিকে সরিয়ে দেয়। ঘটনার বিষয়ে জানতে ইউএনও নাসরিন আকতারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডাইনির সাজে শাবনূর!
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবনূর এখন অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। মাঝেমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে নিজের খবর জানান দেন তিনি। এবার সেই পর্দার প্রিয় নায়িকা হাজির হয়েছেন এক ভিন্ন সাজে—ডাইনির রূপে!
প্রতি বছর ৩১ অক্টোবর বিশ্বের নানা প্রান্তে পালিত হয় ঐতিহ্যবাহী হ্যালোইন উৎসব। পশ্চিমা বিশ্বে এটি এক জনপ্রিয় দিন, যেখানে মানুষ নানা ভুতুড়ে সাজে নিজেদের উপস্থাপন করে। যদিও অনেকেই মনে করেন এটি কেবল ভূতের সাজের উৎসব, আসলে মৃত আত্মাদের স্মরণেই হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী এ দিনটি উদযাপিত হয়।
আরো পড়ুন:
পর্দায় ‘মহল্লা’র ভালো-মন্দ
বাবা হওয়ার কোনো বয়স আছে? সত্তরে কেলসির চমক
সেই উৎসবের আমেজে এবার শামিল হয়েছেন শাবনূরও। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা এক ছবিতে দেখা গেছে, ছেলে আইজানকে সঙ্গে নিয়ে তিনি সেজেছেন ভয়ংকর এক ডাইনির সাজে—চোখের কোণ বেয়ে নেমে আসছে লাল রক্তের রেখা, সঙ্গে এক ‘ভূতুড়ে’ চেহারার চরিত্র।
ছবির ক্যাপশনে শাবনূর লিখেছেন, “আমি সাধারণ মা নই, আমি একজন দুর্দান্ত মা—যিনি একজন ডাইনিও! হ্যালোইনের শুভেচ্ছা, বাচ্চারা!”
পোস্টের শেষে তিনি যোগ করেছেন, “এটা শুধু মজা করার জন্য।”
ভক্তরা কমেন্টে ভরিয়ে দিয়েছেন শুভেচ্ছা ও প্রশংসায়। কেউ লিখেছেন, “শাবনূর মানেই চমক,’ কেউ আবার জানিয়েছেন, ‘হ্যালোইনেও আপনি আমাদের শাবনূরই—ভালোবাসা রইল।”
ঢাকা/রাহাত/লিপি