সিমেন্ট শিল্পের কাঁচামাল লাইম স্টোনে নতুন করে আরোপিত ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, এতে সিমেন্ট তৈরির খরচ বেড়ে যাবে। বাধাগ্রস্ত হবে উৎপাদন। 

সম্প্রতি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে সিমেন্ট উৎপাদনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমএ)।  চিঠিতে বলা হয়, সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয় সাধারণত বিলাস দ্রব্য ও আমদানি নিরুৎসাহিত করতে। কিন্তু লাইম স্টোন সিমেন্ট শিল্পের একটি অন্যতম কাঁচামাল। পণ্যটির আমদানি মূল্য অন্য কাঁচামালের চেয়ে তুলনামূলক কম। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, সম্প্রতি পণ্যটির ওপর ১০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ধার্য করা হয়েছে, যা সিমেন্ট উৎপাদনকারীদের কাছে অযৌক্তিক মনে হচ্ছে।

চিঠিতে বলা হয়, সিমেন্ট শিল্প বর্তমানে সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। এর কারণ ডলার সংকটে আমদানির ঋণপত্র খুলতে ব্যাংকের অনাগ্রহ, ব্যাংক ঋণে চড়া সুদহার এবং বিদ্যুৎ ও গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ইত্যাদি। এমন পরিস্থিতির মধ্যে যেখানে সরকারের পক্ষ থেকে শুল্ক-সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসা দরকার ছিল, সেখানে উল্টো বিভিন্ন পর্যায়ে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে এ শিল্পের সংকট গভীরতর করছে। এ কারণে লাইম স্টোনের ওপর সম্পূরক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে। 

২০২৩ সালেও লাইম স্টোনের ওপর সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়। পরে এ খাতের উদ্যোক্তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দু-তিন মাস পর তা প্রত্যাহার করা হয়। 

এ বিষয়ে বিসিএমএর নির্বাহী পরিচালক সমকালকে বলেন, ‘এমনিতেই এখন ব্যবসা মন্দা যাচ্ছে। এর মধ্যে লাইম স্টোনে শুল্ক বসাল এনবিআর। এতে উৎপাদন খরচ অনেক বেড়ে যাবে। এ পরিস্থিতিতে আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহারের অনুরোধ করছি।’ 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আমদানি বৃদ্ধি ইতিবাচক, ধারাবাহিকতা থাকতে হবে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে মূলধনি যন্ত্রপাতি ও ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, সেটিকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। তবে তিন মাসের চিত্র দিয়ে সামগ্রিক অবস্থা এখনো মূল্যায়ন করার সময় হয়নি।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে হঠাৎ প্রায় ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ঘটেছে। এটা সুখবর হলেও কোনো বড় প্রকল্পের মালামাল আমদানিতে এত বেশি প্রবৃদ্ধি হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা দরকার। যদি সত্যিকারের নতুন নতুন কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির মাধ্যমে এ প্রবৃদ্ধি ঘটে, তাহলে তা অর্থনীতির জন্য ইতিবাচক।

মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে ধারাবাহিকতা থাকলেই বলা যাবে, দেশে বিনিয়োগ হচ্ছে। বিনিয়োগ হলে সামনে কর্মসংস্থানও বাড়বে। আর তাতে অর্থনীতিতেও গতি সঞ্চার হবে।

মূলধনি যন্ত্রপাতির মতো ভোগ্যপণ্যের ঋণপত্র খোলার হারও বাড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাসের যে তুলনা করে দেখিয়েছে, তাতে ঋণপত্র খোলার হার ২০ শতাংশ বেড়েছে।

সব মিলিয়ে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে যে প্রবৃদ্ধি হয়েছে, তা আগামী কয়েক মাস অব্যাহত থাকলে অর্থনীতিতে কর্মচাঞ্চল্য বাড়বে।

মোহাম্মদ মোস্তফা হায়দার, পরিচালক, টি কে গ্রুপ

সম্পর্কিত নিবন্ধ