আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে চিরতরে বিদায় বলে দেওয়া তামিম ভবিষ্যতে কি করবেন সেটা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। ক্রিকেট প্রশাসন, ধারাভাষ্যসহ আরও কিছু দুয়ার তার খোলা রয়েছে। তামিম হাঁটবেন কোন পথে?

ক্রিকেট প্রশাসনে তামিম আসছেন এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও এই মুহূর্তে কোনো কিছু বলার অবস্থায় নেই তা স্পষ্ট করেই জানালেন। নির্দিষ্ট করে ক্রিকেট প্রশাসনের কথা জিজ্ঞেস করা হলে তামিম উত্তর দিয়েছেন, ‘‘এই মুহূর্তে বলার মতো অবস্থায় নেই…।’’

খেলার মাঠে তামিমকে দেখা যাবে সেই ধারনা দিয়ে রাখলেন, ‘‘আমি চেষ্টা করবো যতদিন (ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট খেলা যায়)। এখন তো রিটায়ার্ড সো লেজেন্ড লিগের জন্যও কোয়ালিফাই করবো। ওই সব খেলবো। যদি প্রিমিয়ার লিগটা হয় সময়মত ওটা খেলবো। ইনশাআল্লাহ যদি ফিট থাকি যতদূর পারি খেলতে থাকবো।  আমার ফোকাসটা খেলা নিয়ে এখানে দুটা টুর্নামেন্ট (বিপিএল ও ঢাকা লিগ) আছে এটা নিয়েই।’’

আরো পড়ুন:

‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’ নাহিদ নিজের প্রতি যত্নশীল

ঢাকাকে তলানিতে ঠেলে দুইয়ে বরিশাল

সিলেটের মাঠে প্রচুর রান হয়েছে। চার-ছক্কার বৃষ্টি নেমেছিল। সেখানে সীমানা ছোট থাকায় প্রবল সমালোচনা হয়েছিল। চট্টগ্রামের সীমানা বড় থাকায় খুশি তামিম, ‘‘ভালো লাগার বিষয় বাউন্ডারি বেড়েছে বাউন্ডারির সাইজ আগের চেয়ে, এটাই যেটা আপনি চান। কারণ, আজকে দেখছেন যে অনেকগুলো ক্যাচ হয়েছে বাউন্ডারিতে। এই জিনিসটা থাকা উচিত। আমার কাছে মনে হয় এটাই সঠিক সাইজ। এই সাইজে খেলা উচিত, অন্যথায় ৫২-৫৩ মিটার…।’’

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল ত ম ম ইকব ল

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ