শহীদ আবু সাঈদ হত্যায় দায়সারা ব্যবস্থা, প্রতিবাদে বেরোবিতে মানবব
Published: 21st, January 2025 GMT
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদ হত্যায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দায়সারা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিবাদে ও অপরাধীদের কঠিন শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া চত্বরে এ দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধন থেকে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রলীগ, শিক্ষক এবং কর্মকর্তারা শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায়। এসব ঘটনায় দীর্ঘ সময় ধরে কালক্ষেপণ করে কর্তৃপক্ষ দায়সারা তদন্ত করছেন।
মানববন্ধনে তারা হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের চিহ্নিত করে পুনরায় উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হবে।
আশিক নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আবু সাঈদকে হত্যা করে আন্দোলন স্তব্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দায়সারা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা খুবই হতাশাজনক।”
শহীদ আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচারের দাবিতে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/আমিরুল/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে তিতুমীরে মানববন্ধন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ জসিমের মেয়ে লামিয়াকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে সরকারি তিতুমীর কলেজের পটুয়াখালী জেলা ছাত্রকল্যাণ পরিষদ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন সংগঠনটির সদস্যরা।
এতে বক্তব্য দেন, সংগঠনটির অন্যতম উপদেষ্টা খান মুহাম্মদ ইউছুফ আলী, সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিয়ান মাসুম প্রমুখ।
আরো পড়ুন:
সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ
বাদ পড়া বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের দাবি
বক্তারা বলেন, লামিয়া হত্যার বিচারপ্রক্রিয়া আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর করতে হবে এবং ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দিতে হবে। আছিয়া থেকে শুরু করে লামিয়া পর্যন্ত যত ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, সবগুলোর বিচার অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
সংগঠনটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, “গত ৫ আগস্টের পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু ভুক্তভোগীদের কেউ ন্যায়বিচার পাননি। লামিয়ার পিতা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন, তা সত্ত্বেও ন্যায়বিচার পায়নি। ফলে সে আত্মহত্যা করেছে।”
তিনি বলেন, “আমরা চাই, এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার কার্য পরিচালনা এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। যাতে করে ভবিষ্যতে কেউ ধর্ষণ করার কথা চিন্তাতেও না আনতে পারে।”
গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলায় লামিয়াকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার পরদিন সাকিব মুন্সী নামের অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সাকিব জামিন পাওয়ার সংবাদে মর্মাহত হয়ে ওই কিশোরী আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা স্বজনদের।
ঢাকা/হাফছা/মেহেদী