সীমান্তে বেড়া দেওয়া বন্ধ হলেও, নির্মাণসামগ্রী সরায়নি বিএসএফ
Published: 22nd, January 2025 GMT
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার উচনা সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের সঙ্গে বিজিবি’র পতাকা বৈঠকের পর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া বন্ধ হলেও এখন পর্যন্ত সেখান থেকে নির্মাণসামগ্রী সরানো হয়নি।
মঙ্গলবার ভোরে বিএসএফের সদস্যরা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে উচনা সীমান্তের জিরোপয়েন্ট থেকে ৩০ গজের মধ্যে ভারতীয় অংশে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। এ সময় বিজিবির সদস্যরা বাধা দিলে বিএসএফ সদস্যরা কাজ বন্ধ রেখে পিছু হটে। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীরা পতাকা বৈঠকে বসে। এরপর কাঁটাতারের বেড়া তুলে নির্মাণ সামগ্রী সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বিএসএফ।
জানা যায়, বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া সরালেও এখন পর্যন্ত নির্মাণ সামগ্রী সরায়নি। তবে সীমান্তে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
উচনা এলাকার বাসিন্দা আব্দুল বাছেদ বলেন, গতকাল থেকে আতঙ্কে রাত যাপন করেছি। এ অবস্থায় কখন যে কি হয় তা বলা যায় না। এর আগেও বিএসএফ সদস্যরা দুইবার বেড়া দিতে এসেছিল। তখনও বিজিবির বাধায় বিএসএফের সদস্য সড়ে গেছে। আমরা আতঙ্কে জীবন যাপন করছি। এর একটা সমাধান চাই আমরা।
আরেক বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, এমনিতেই ঠান্ডা, তারপর প্রচণ্ড কুয়াশা। এর মধ্যে বিএসএফ সদস্যরা কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে যা শুরু করেছে, তা আর ভাল লাগছে না। যতসব অশান্তি সীমান্তের লোকজনদের। এভাবে আর কতদিন।
জয়পুরহাট ২০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
১৭ মাস পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয় বাংলাদেশের
প্রায় দেড় বছর পর দেশের মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। চট্টগ্রামে দ্বিতীয় টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ও ১০৬ রানে হারিয়ে সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করল টাইগাররা। ঘরের মাঠে ১৭ মাস ও টানা ছয়টি টেস্টে জয়বিহীন থাকার হতাশা ভুলিয়ে দিল এই দুর্দান্ত সাফল্য।
বাংলাদেশের জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মেহেদী হাসান মিরাজের। প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে তুলে নেন সেঞ্চুরি, এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে শিকার করেন ৫ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স। মিরাজ ছাড়াও ৯ উইকেট শিকার করে ম্যাচে বড় অবদান রাখেন তাইজুল ইসলাম, আর ওপেনার সাদমান ইসলামও তুলে নেন দারুণ এক সেঞ্চুরি।
প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ে করে ২২৭ রান। জবাবে টাইগাররা তোলে ৪৪৪ রান, পায় ২১৭ রানের লিড। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১১১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ফলে মাত্র তিন দিনেই টেস্ট জয়ের উৎসবে মাতে স্বাগতিকরা।
বল হাতে টাইগারদের শুরুটা এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ইনিংসের সপ্তম ওভারে ব্রায়ান বেনেটকে ফেরান স্লিপে সাদমানের হাতে ক্যাচ করিয়ে। একই ওভারে এলবিডব্লিউ করেন নিক ওয়েলচকে, রিভিউ নিয়ে পান উইকেটটি। এরপর উইলিয়ামসকেও বিদায় করেন অফ স্পিনার নাঈম ইসলাম, দ্বিতীয় স্লিপে সাদমানের হাতেই ধরা পড়েন এই অভিজ্ঞ ব্যাটার।
চতুর্থ উইকেটে আরভিন-কারেন জুটি কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, মিরাজ এসে ভেঙে দেন সেই জুটি। এক ওভারেই ফেরান আরভিন ও মাদেভারেকে। এরপর তাফাদওয়া সিগা, মাসাকাদজা ও কারেনকে ফিরিয়ে ইনিংসে নিজের ফাইফার পূর্ণ করেন মিরাজ। তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে এক টেস্টে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি, সাকিব আল হাসান ও সোহাগ গাজীর পাশে নাম লেখান।
শেষ দিকে আবার বল হাতে ফিরে রিচার্ড এনগারাভাকে ফেরান তাইজুল। এরপর রানআউটের মাধ্যমে শেষ হয় জিম্বাবুয়ের ইনিংস। এই জয়ে শুধু সিরিজে সমতায়ই ফিরেনি বাংলাদেশ, বরং দেশের মাটিতে দীর্ঘ দিনের টেস্ট জয়ের অপেক্ষাও ঘুচিয়েছে।