বিএসএএফকে সীমান্তে বেড়া দিতে বাধা ভারতীয়দের
Published: 22nd, January 2025 GMT
এবার ভারতীয়দেরই বাঁধায় সীমান্তে কাঁটাতার দিতে পারল না ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ। এমন ঘটনা ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী নদীয়া জেলার শিকারপুর এলাকায়।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) শিকারপুর বিডিও অফিস-সংলগ্ন এলাকা থেকে মাথাভাঙা নদীর পাড় পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার দিতে গিয়ে গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়ে বিএসএফ।
এ-সংক্রান্ত ভিডিও রয়েছে রাইজিংবিডি ডটকমের হাতে। ভিডিওতে গ্রামবাসীর কথোপকথন থেকে জানা যায়, সীমান্তের এই অংশে অন্তত ৩০০টি হিন্দু পরিবারের বসবাস। কিন্তু চৈত্র মাসে সেখানকার টিউবয়েল থেকে পানি পাওয়া যায় না। ফলে পানির উৎস হিসেবে গ্রামের একমাত্র ভরসা জিরোপয়েন্টের মাথাভাঙ্গা নদী।
নদীয়ার শিকারপুর এলাকার মানুষের মৃত্যু হলে তাদের সৎকারের জন্য রয়েছে একটিমাত্র শ্মশান। সেটিও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের জিরো পয়েন্টে পড়েছে।
ফলে সীমান্তের এই গুরুত্বপূর্ণ অংশে বিএসএফ কাঁটাতার দিয়ে দিলে নদী ও শ্মশান চলে যাবে দুই দেশের কাঁটাতারের মধ্যবর্তী এলাকায়, বলছেন গ্রামবাসী।
যে কারণে তারা সীমান্তের এই এলাকায় কোনোভাবেই কাঁটাতারের বেড়া চাইছেন না। তবে তারা এ-ও বলছে, যদি কাঁটাতারের বেড়া দিতেই হয়, তাহলে যেন বেড়ার সঙ্গে একটি লোহার গেটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।
অবশ্য বিজিবির সঙ্গে নতুন করে আলোচনা ছাড়া সীমান্তের এই অংশে গেট রাখার বিষয়ে একক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিএসএফ। এ অবস্থায় স্থানীয় ভারতীয়দের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে তারা। সেখান থেকে বিজিবির সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
ঢাকা/কংসবনিক/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ম ন ত র এই ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
তেঁতুলিয়া সীমান্তে পুশইনের সময় ভারতীয় নাগরিকসহ আটক ৫
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার পেদিয়াগঞ্জ সীমান্তে পুশইনের সময় পাঁচজনকে আটক করেছে বিজিবি। শনিবার সকালে পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সদস্যরা তাদের আটক করে। তাদের তিনজন বাংলাদেশি ও দুইজন ভারতীয় নাগরিক।
বিজিবি জানায়, তেঁতুলিয়া পেদিয়াগঞ্জ বিওপির সীমান্তের মেইন পিলার ৪৩০/২ এস থেকে প্রায় ৭০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গুচ্ছগ্রাম থেকে ভারতের প্রতিপক্ষ ১৩২/পুরোহিতগঞ্জ বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা চান্দাপাড়া এলাকা থেকে বিএসএফের পুশইন করা দুইজন নারী ও তিনজন পুরুষকে আটক করে বিজিবির টহলদল।
আটক বাংলাদেশিরা হলেন- যশোরের শার্শা থানার বড় কলোনি গ্রামের মারফত আলীর ছেলে কোরবান গাজী (৩৩), অভয়নগর থানার ডাকহিদিয়া শ্যামলনগর গ্রামের মৃত মকবুল শেখের ছেলে তরিকুল শেখ (৪২) ও নড়াইল সদর থানার গোবরা বাজারের বীরগ্রাম গ্রামের মৃত ঈশ্বর গোপাল চন্দ্র বিশ্বাসের মেয়ে শ্রী বন্দনা রানী বিশ্বাস (৩৭)।
ভারতীয় নাগরিকরা হলেন- মোছা. নাজমা (২৭) এবং মোছা. ফারজানা (২৩)। নাজমা পালঘর জেলার বুড়িগুলি থানার কান্দেওয়ালি গ্রামের ইয়াসিন সরকারের মেয়ে এবং ফারজানা পালঘর জেলার ধানিউ থানার পালঘাট ভাসাই গ্রামের মারফত আলী গাজীর মেয়ে।
আটককৃত ব্যক্তিদের তেঁতুলিয়া মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।