শ্যামনগরে বিএনপির ২ গ্রুপ মুখোমুখি, ১৪৪ ধারা জারি
Published: 22nd, January 2025 GMT
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে চারটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শ্যামনগর পৌর এলাকায় এই আদেশ বলবৎ থাকবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা.
উপজেলা প্রশাসন জানায়, বুধবার বিকালে শ্যামনগর উপজেলা সদরের পৌর এলাকার এম.এম প্লাজা সংলগ্ন কৃষক দলের কার্যালয়ের সামনে উপজেলা ও পৌর বিএনপির একাংশ সমাবেশ আহ্বান করে। অন্যদিকে, দলটির আরেকটি গ্রুপ একই সময়ে ককেই স্থানে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফার কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণের প্রস্তুতি নেয়। এতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় শ্যামনগর পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন উপজেলা প্রশাসন।
বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানান, গত ১৯ জানুয়ারি রাতে দীর্ঘ ১৪ বছর পর শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির ৪৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। একই সাথে ঘোষণা করা হয় শ্যামনগর পৌরসভা বিএনপির ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি। এই কমিটি ঘোষণার পর থেকে পক্ষে-বিপক্ষে পাল্টাপাল্টি মিছিল সমাবেশ হয়ে আসছিল।
এছাড়াও কমিটি গঠনকে ঘিরে টানা কয়েকদিন ধরেই শ্যামনগরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এরই মধ্যে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) শ্যামনগর উপজেলার পূর্ববর্তী ও সদ্য ঘোষিত কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল আলীম। এরপর বুধবার শান্তি সমাবেশের ঘোষণা দেন বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান কবিরের গ্রুপ।
অন্যদিকে, রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের কর্মশালা ও লিফলেট বিতরণের ঘোষণা দেন সাবেক সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদের গ্রুপ। এই কর্মসূচি ঘিরে পৌর এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
শ্যামনগরের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫-২০ জন আহতও হয়েছেন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রনী খাতুন জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মাঠে রয়েছে। একটি রাজনৈতিক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে শ্যামনগর পৌরসভা এলাকায় বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির মোল্লা বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। উপজেলা সদরে ১৪৪ ধারা চলমান রয়েছে। পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঢাকা/শাহীন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প র এল ক পর স থ ত ব এনপ র এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
আগামী সরকারের মন্ত্রীদের জন্য গাড়ি কেনার অতি আগ্রহের কারণ কী, প্রশ্ন টিআইবির
অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাতিল করে দেওয়ার পরও আগামী নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রীদের জন্য বাড়তি দামে বিলাসবহুল গাড়ি কিনতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতি আগ্রহ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে এ ধরনের কেনাকাটায় অতি আগ্রহের কারণ অনুসন্ধানও জরুরি বলে মনে করছে সংস্থাটি।
টিআইবি বলছে, সমালোচনার মুখে প্রথম দফায় গাড়ি কেনার প্রস্তাব নাকচ হওয়ার পর আবারও আগের চেয়ে তুলনামূলক বেশি দামে গাড়ি কেনার অভিনব প্রস্তাব উত্থাপন বিগত কর্তৃত্ববাদী সরকারের আমলের মতোই একশ্রেণির আমলাদের পরবর্তী সরকারের সম্ভাব্য মন্ত্রীদের প্রতি অতি উৎসাহী তোষামোদি আচরণের ন্যক্কারজনক পুনরাবৃত্তি।
আজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলে সংস্থাটি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এক শ্রেণির অতি উৎসাহী স্বার্থান্বেষী তোষণপ্রবণ আমলাদের প্রস্তাব অনুযায়ী গাড়ি কেনার এ সিদ্ধান্ত অনভিপ্রেত ও অগ্রহণযোগ্য। যা সুবিধাবাদী আমলাদের প্রভাববলয় প্রতিষ্ঠার যে চর্চাকে পতিত সরকারের আমলে স্বাভাবিকতায় পরিণত করা হয়েছিল, তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার বিব্রতকর ও আত্মঘাতী উদাহরণ।’ এ ধরনের সিদ্ধান্তকে অবিবেচনাপ্রসূত উল্লেখ করে ভবিষ্যৎ মন্ত্রীদের গাড়ি কেনার প্রস্তাব বাতিল করার দাবিও জানান তিনি।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলেন, আইন অনুযায়ী একজন মন্ত্রী সরকারিভাবে সার্বক্ষণিক একটি গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ পেয়ে থাকেন। বিগত সময়ে মন্ত্রীরা এবং বর্তমানে উপদেষ্টারা গাড়ি ব্যবহার করছেন। হঠাৎ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় আইনবহির্ভূতভাবে ভবিষ্যতের মন্ত্রীদের জন্য বিলাসবহুল টয়োটা ব্র্যান্ডের ল্যান্ড ক্রুজার কেনার জন্য উদ্গ্রীব কেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। সরকারের এ জাতীয় আগ্রহের পেছনের কারণ অনুসন্ধান করা জরুরি।
অন্তর্বর্তী সরকার গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিলেও তা পরবর্তী সরকারের মন্ত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্য না–ও হতে পারে উল্লেখ করে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সরকারের ব্যয় সংকোচনের নিজস্ব সিদ্ধান্তের পরিপন্থী এ ক্রয়ের মাধ্যমে এমন স্ববিরোধী পথে সরকার কেন যাচ্ছে? এটি কি জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থাসহ রাষ্ট্র সংস্কারে অঙ্গীকারবদ্ধ সরকারের স্ববিরোধী আচরণ বলে বিবেচিত হবে না? এর দায়ভার সরকারের পক্ষ থেকে কে বা কারা নেবেন?’
আরও পড়ুনসংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ গাড়ি কেনা হচ্ছে০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫