এবার ভারতীয়দের বাধায় বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া
Published: 23rd, January 2025 GMT
এবার ভারতের নাগরিকদের বাধায় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারল না দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গত মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার শিকারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে সমঝোতার ভিত্তিতে বিএসএফ সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া শুরু করে। কিন্তু শিকারপুর বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে মাথাভাঙা নদীর পার পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার দিতে গিয়ে তারা গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়েন। গ্রামবাসী বলছেন, এ বেড়া দিলে তারা সীমান্তের আন্তর্জাতিক অংশে থাকা মাথাভাঙ্গা নদীতে যেতে পারবেন না।
তারা বলছেন, সীমান্তের এ অংশে অন্তত ৩০০ পরিবারের বাস। চৈত্র মাসে গ্রামের টিউবওয়েলগুলো শুকিয়ে যায়; পানি আসে না। ফলে পানির উৎস হিসেবে গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে জিরো পয়েন্টের মাথাভাঙ্গা নদী। গ্রামবাসীর সৎকারের একমাত্র শ্মশানটিও পড়েছে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায়। ফলে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিলে নদী ও শ্মশানে তারা যেতে পারছেন না। গ্রামবাসী বলছেন, তারা সীমান্তে কাঁটাতারের বিরোধিতা করছেন না। বিএসএফ যদি গেটের ব্যবস্থা রেখে বেড়া দেয়, তাহলে তারা তা মেনে নেবেন।
এদিকে বিজিবির সঙ্গে নতুন করে আলোচনা ছাড়া সীমান্তের এ অংশে গেট রাখার একক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিএসএফ। স্থানীয় বিওপি সূত্র জানায়, গ্রামবাসীর দাবির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিজিবির পরবর্তী আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক