এবার ভারতের নাগরিকদের বাধায় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারল না দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গত মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদীয়া জেলার শিকারপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে সমঝোতার ভিত্তিতে বিএসএফ সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া শুরু করে। কিন্তু শিকারপুর বিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকা থেকে মাথাভাঙা নদীর পার পর্যন্ত প্রায় ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতার দিতে গিয়ে তারা গ্রামবাসীর বাধার মুখে পড়েন। গ্রামবাসী বলছেন, এ বেড়া দিলে তারা সীমান্তের আন্তর্জাতিক অংশে থাকা মাথাভাঙ্গা নদীতে যেতে পারবেন না।   

তারা বলছেন, সীমান্তের এ অংশে অন্তত ৩০০ পরিবারের বাস। চৈত্র মাসে গ্রামের টিউবওয়েলগুলো শুকিয়ে যায়; পানি আসে না। ফলে পানির উৎস হিসেবে গ্রামের মানুষের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে জিরো পয়েন্টের মাথাভাঙ্গা নদী। গ্রামবাসীর সৎকারের একমাত্র শ্মশানটিও পড়েছে সীমান্তের জিরো পয়েন্ট এলাকায়। ফলে বিএসএফ কাঁটাতারের বেড়া দিলে নদী ও শ্মশানে তারা যেতে পারছেন না। গ্রামবাসী বলছেন, তারা সীমান্তে কাঁটাতারের বিরোধিতা করছেন না। বিএসএফ যদি গেটের ব্যবস্থা রেখে বেড়া দেয়, তাহলে তারা তা মেনে নেবেন। 

এদিকে বিজিবির সঙ্গে নতুন করে আলোচনা ছাড়া সীমান্তের এ অংশে গেট রাখার একক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি বিএসএফ। স্থানীয় বিওপি সূত্র জানায়, গ্রামবাসীর দাবির কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিজিবির পরবর্তী আলোচনার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী