এবার আরবেল ইয়েহুদের মুক্তি চায় ইসরায়েল
Published: 23rd, January 2025 GMT
গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রথম ধাপে হামাসের হাতে বন্দি ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এর মধ্যে প্রথম দিন মুক্তি পেয়েছেন তিন নারী। দ্বিতীয় পর্যায় অর্থাৎ সপ্তম দিনে হামাস আরো চারজনকে মুক্তি দেবে। সেই সময় আরবেল ইয়েহুদ নামে এক তরুণীর মুক্তি চেয়েছে ইসরায়েল।
বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরায়েল।
এতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল হামাসকে জানিয়েছে যে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে আগামী শনিবার গাজা উপত্যকা থেকে যে চার জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে, তাদের মধ্যে যেন আরবেল ইয়েহুদ থাকে।
আরো পড়ুন:
৩ দিনে গাজায় ঢুকেছে আড়াই হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক
৯০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিল ইসরায়েল
ইয়েহুদ গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠীদের হাতে আটক বেসামরিক জিম্মিদের মধ্যে একজন। একজন বেসামরিক নারী হিসেবে মুক্তিপ্রাপ্ত পরবর্তী দলে তার থাকা উচিত বলে মনে করে ইসরায়েল।
তবে, তাকে হামাস নয় বরং ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর হাতে আটক বলে মনে করা হচ্ছে। এটি জেরুজালেমের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, হামাস তার মুক্তি পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে পারে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায়, হামাস পরবর্তী চারজনের নির্ধারিত মুক্তির একদিন আগে শুক্রবারের মধ্যে তাদের নামের তালিকা পাঠাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
২৯ বছর বয়সী ইয়েহুদ তার প্রেমিক এরিয়েল কুনিওর সাথে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর তাদের নিজ বাড়ি কিবুতজ নির ওজ থেকে জিম্মি হয়েছিলেন। তার ভাই ডলেভ ইহুদ নিজেদের বাড়ি রক্ষা করার সময় নিহত হন এবং পরবর্তীতে ৩ জুন তার দেহাবশেষ শনাক্ত করা হয়।
যুদ্ধবিরতে চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ৩৩ জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। এর মধ্যে প্রথম দিন মুক্তি পেয়েছেন তিন নারী। বাকি ৭ নারী জিম্মির মধ্যে ইয়েহুদ একজন। অন্যরা হলেন- শিরি সিলবারম্যান বিবাস, ৩৩; লিরি আলবাগ, ১৯; করিনা আরিভ, ২০; আগাম বার্গার, ২১; ড্যানিয়েল গিলবোয়া, ২০ এবং নামা লেভি, ২০।
দীর্ঘ ১৫ মাস পর গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। গত রবিবার (১৯ জানুয়ারি) থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইসর য় ল ইসর য় ল প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।