‘বিএসএফকে সামলাতে বিজিবি যথেষ্ট, আপনার নিশ্চিন্ত থাকেন’
Published: 23rd, January 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জনসচেতনতামূলক সভা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। চোরাচালান রোধ এবং সীমান্তবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চৌকা বিওপির আওয়াতাধীন বাখোরআলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সভা করে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এতে স্থানীয়দের ছিল স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।
উপজেলার চৌকা ও কিরনগঞ্জ সীমান্তে আইন লঙ্ঘন করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বেড়া দেওয়া নিয়ে গত কিছু দিন ধরেই উত্তপ্ত এই এলাকা। বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার বিকেলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়। এরই অংশ হিসেবে এ সভা করে বিজিবি।
সভায় ৫৯ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিএসএফকে সামলাতে বিজিবি একাই যথেষ্ট। তাই অযথা সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে গিয়ে ভিড় করা যাবে না। যখন আপনাদের ডাকা হবে তখন আপনারা এগিয়ে আসবেন। এর আগ পর্যন্ত সীমান্তে যারা অপরাধ ও চোরাচালানে জড়িত তাদের নাম-ঠিকানা দিয়ে সহযোগিতা করেন। আমরা তাদের ধরে পুলিশে দেব এবং সীমান্ত সুরক্ষিত রাখব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের হাতে অস্ত্র আছে, ট্রেনিং আছে। আর পেছনে আছে ১৮ কোটি মানুষ। তাই মনোবল চাঙ্গা আছে। শূন্য লাইনে যখন বিজিবি থাকবে তখন আপনারা সীমান্তে শান্তি রক্ষার স্বার্থে আমাদের ওপর ভরসা রাখুন।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজহার আলী, শিবগঞ্জ থানা ওসি গোলাম কিবরিয়া, ৫৯ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক