চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জনসচেতনতামূলক সভা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। চোরাচালান রোধ এবং সীমান্তবাসীর মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার চৌকা বিওপির আওয়াতাধীন বাখোরআলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ সভা করে ৫৯ বিজিবি ব্যাটালিয়ন। এতে স্থানীয়দের ছিল স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ। 

উপজেলার চৌকা ও কিরনগঞ্জ সীমান্তে আইন লঙ্ঘন করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) বেড়া দেওয়া নিয়ে গত কিছু দিন ধরেই উত্তপ্ত এই এলাকা। বিষয়টি নিয়ে গত বুধবার বিকেলে বিজিবি-বিএসএফ সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত হয়। এরই অংশ হিসেবে এ সভা করে বিজিবি। 

সভায়  ৫৯ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিএসএফকে সামলাতে বিজিবি একাই যথেষ্ট। তাই অযথা সীমান্তের নো ম্যানস ল্যান্ডে গিয়ে ভিড় করা যাবে না। যখন আপনাদের ডাকা হবে তখন আপনারা এগিয়ে আসবেন। এর আগ পর্যন্ত সীমান্তে যারা অপরাধ ও চোরাচালানে জড়িত তাদের নাম-ঠিকানা দিয়ে সহযোগিতা করেন। আমরা তাদের ধরে পুলিশে দেব এবং সীমান্ত সুরক্ষিত রাখব।

তিনি আরও বলেন, আমাদের হাতে অস্ত্র আছে, ট্রেনিং আছে। আর পেছনে আছে ১৮ কোটি মানুষ। তাই মনোবল চাঙ্গা আছে। শূন্য লাইনে যখন বিজিবি থাকবে তখন আপনারা সীমান্তে শান্তি রক্ষার স্বার্থে আমাদের ওপর ভরসা রাখুন। 

মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আজহার আলী, শিবগঞ্জ থানা ওসি গোলাম কিবরিয়া, ৫৯ বিজিবির সহকারী পরিচালক মো.

বেলাল, শাহবাজপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক, সোনামসজিদ বিওপির কোম্পানি কমান্ডার শাহজাহানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, পেশাজীবী নেতা, শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। 

 

 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ বগঞ জ বগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।

খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।

উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।

সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।

উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।

ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
  • ভুলে সীমানায় পা, বিএসএফ সদস্যকে আটক করল পাকিস্তান
  • স্বাস্থ্য ব্যয়ের চাপ দারিদ্র্য নিরসনে অন্যতম বাধা