বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপস্ অ্যালার্ট’ জারি বিএসএফের
Published: 24th, January 2025 GMT
বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপস্ অ্যালার্ট’ জারি করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে বলে শুক্রবার জানিয়েছে আনন্দবাজার অনলাইন।
অপারেশনস অ্যালার্ট বা অপস অ্যালার্ট সাধারণত বিএসএফের মতো বাহিনী জারি করে প্রধানত আগাম সতর্কতা হিসাবে। ভারতের স্বাধীনতা দিবস, সাধারণতন্ত্র দিবসের মতো জাতীয় ছুটির দিনের আগে জারি হয় এই ধরনের সতর্কতা। এই অ্যালার্ট জারির অর্থ হচ্ছে, উত্তর-পূর্ব এবং পশ্চিমবঙ্গের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মহড়া চালানো হবে। এ ছাড়া সীমান্তের অরক্ষিত এলাকায় বাড়তি নজরদারি ও সতর্কতার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ সীমান্তে ‘অপস অ্যালার্ট’ জারি থাকবে।
বৃহস্পতিবার বিএসএফের জারি করা বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়েছে, প্রজাতন্ত্র দিবস উদ্যাপনের আগে কঠোর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১০ দিনের ‘অপস অ্যালার্ট’ মহড়া শুরু হয়েছে। বাংলাদেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতি বিবেচনা করে ৭৬তম প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় কয়েকটি রাজ্য এবং পশ্চিমবঙ্গ মিলিয়ে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের মোট চার হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার পুরোটিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে।
আরো পড়ুন:
সুপার সিক্সে বাংলাদেশের লড়াই ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে
‘পুষ্পা থ্রি’ সিনেমার আইটেম কন্যা সাই পল্লবী নাকি জাহ্নবী?
এতে আরো জানানো হয়েছে, সীমান্তের দায়িত্বে থাকা সব কয়টি বর্ডার আউট পোস্টগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি থেকে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বিএসএফকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। এই কয়েক দিন সীমান্ত বারবার মহড়া চালাবেন জওয়ানেরা। প্রয়োজনে রাতে অতিরিক্ত জওয়ান মোতায়েন করা হবে।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ সতর ক
এছাড়াও পড়ুন:
সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হাকিমপুর সীমান্ত থেকে আটক ১৫ বাংলাদেশিকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সাতক্ষীরার তলুইগাছা সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনা হয়।
আরো পড়ুন:
কক্সবাজারে ৮০ শতাংশ মাদক আসে সাগরপথে: বিজিবি
অবৈধ অস্ত্রের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তথ্য সহায়তার আহ্বান বিজিবির
ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশিদের মধ্যে আটজন নারী, দুইজন পুরুষ ও পাঁচজন শিশু। তারা সাতক্ষীরা সদর, শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বাসিন্দা। তাদের রাতে সাতক্ষীরা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার হাকিমপুর সীমান্ত পার হওয়ার সময় বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের কাছে আটক হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন- সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ভেটখালী গ্রামের মো. শাহীন সানা, তার স্ত্রী নিলুফা ও কন্যা শাহিনা সুলতানা, একই উপজেলার নওয়াবেকি গ্রামের মিস সুরাইয়া ইয়াসমিন, মোছা. রাবিয়া বেগম, বড়কুপট গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম, লিপিকা খাতুন, নাজমা খাতুন, জিম তরফদার, বয়ারসিং গ্রামের মোছা. ফারহানা আক্তার ও তার ছেলে ফারহান ঢালী, উত্তর আটুলিয়া গ্রামের সেমিনা খাতুন, আশাশুনি উপজেলার হিজলিয়া গ্রামের রাবিয়া খাতুন ও রিয়াদ হাসান এবং সদর উপজেলার পায়রাডাঙ্গা গ্রামের ফুলমতি খাতুন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শামিনুল হক বলেন, “ভারতের হাকিমপুর সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকরা বিএসএফের হাতে আটক হন। পরবর্তীতে বিএসএফের আমুদিয়া কোম্পানি কমান্ডার বিকাশ কুমার সাতক্ষীরার তলুইগাছা কোম্পানি কমান্ডার আবুল কাশেমের নিকট পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে এসব বাংলাদেশিদের হন্তান্তর করেন।”
তিনি আরো বলেন, “বিজিবি ফেরত আনা নারী-পুরুষ ও শিশুদের সাতক্ষীরা থানায় হন্তান্তর করেছে। পরিচয় যাচাই শেষে তাদের পরিবারের কাছে হন্তান্তর করা হবে।”
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ