‘বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের সম্মেলন নিয়ে গোপনীয়তার কিছু নেই’
Published: 25th, January 2025 GMT
১৭ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি ভারতের নয়া দিল্লিতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ের যে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে তা নিয়ে গোপনীয়তার কিছু নেই। বিজিবির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কথা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সম্মেলন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে। এই সম্মেনে বিজিবি ছাড়াও দেশের অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করবেন। এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই। বিজিবির পক্ষ থেকে কোনো গোপনীয়তার চেষ্টাও করা হয়নি।
২৪ জানুয়ারি দৈনিক ইনকিলাবে ‘বিজিবি প্রধানের ভারত সফর নিয়ে গোপনীয়তা, সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড়’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এ ধরনের প্রতিবেদন বিজিবির ভাবমূর্তি বিনষ্টের পাশাপাশি জনমনেও বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে বলে মন্তব্য করা হয় ওই পোস্টে।
বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষায় নিয়োজিত এ বাহিনী আরও জানিয়েছে, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে যে মহাপরিচালক পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন হতে যাচ্ছে তা গত ২৭ ডিসেম্বর ফেসবুক পোস্টে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই পোস্টের ওপর ভিত্তি করে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত সম্মেলনের বিষয়টি তুলে ধরেছে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ‘বিভ্রান্তিমূলক পোস্ট করা কিংবা বিভ্রান্ত হওয়া থেকে থেকে বিরত থাকার জন্য’ সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বিজিবি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী
অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।
বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়। ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়।
আরো পড়ুন:
কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির
অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প
বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।
বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ