চট্টগ্রামে দোকান থেকে তুলে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি, গ্রেপ্তার ৪
Published: 26th, January 2025 GMT
চট্টগ্রামে লন্ড্রি দোকানিসহ তিনজনকে জিম্মি করে মুক্তিপণ দাবির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে নগরের পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদ পলিটেকনিক্যাল মোড়ের শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের পেছনে বাগান থেকে জিম্মিদের উদ্ধার ও আসামীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন- বাছির আহম্মদ রানা (২৭), মো.
পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় রুবেল রুদ্রকে ও দুপুর দেড়টার দিকে সমীর দাশকে নগরের হিলভিউ আবাসিকের নিজ নিজ লন্ড্রি দোকান থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিকেল পাঁচটার দিকে হিলভিউ আবাসিকের ২ নম্বর রোডের মাথা থেকে কেশব মিত্র দাশকেও অপহরণ করে নিয়ে যায় তারা সন্ত্রাসীরা। তাদের হিলভিউ আবাসিকের এক নম্বর রোডের একটি নির্মাণাধীন ভবনে চতুর্থতলায় জিম্মি করে মারধর করে। তাদের পরিবারের কাছে নয় লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। খবর পেয়ে পুলিশ ভবনটিতে অভিযানে নামে। পুলিশ আসার খবর পেয়ে তাদের সেখান থেকে সটকে পড়েন তারা। পরে নগরের পলিটেকনিক্যাল মোড়ের শ্রম কল্যাণ কেন্দ্রের পেছনে বাগান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। অপহৃতদের উদ্ধার করে পুলিশ।
নগর পুলিশের উপ কমিশনার (অপরাধ) রইছ উদ্দিন বলেন, ‘গ্রেপ্তার চারজনই তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী বার্মা সাইফুলের সহযোগী। সাইফুলকে এখনও আটক করতে পারিনি। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এছাড়া গ্রেপ্তার আসিফের বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় দশটি, রানার বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে। জিহাদ ও আরিফের বিরুদ্ধেও একাধিক মামলা রয়েছে। মামলাগুলো বেশিরভাগই চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি এবং চাঁদাবাজির। গ্রেপ্তার আসামিরা পেশাদার অপরাধী। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।