দুবাইয়ে ৮ ঘণ্টা চিকিৎসা শেষে সৌদি আরবের উদ্দেশে রওনা দিলেন বাবর
Published: 31st, January 2025 GMT
ওমরাহ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে যাওয়ার পথে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন সদ্য কারামুক্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। তাঁকে বহনকারী ফ্লাইট দুবাই অবতরণ করলে সেখানে প্রায় আট ঘণ্টা চিকিৎসা নেন তিনি। পরে শুক্রবার বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে দুবাই টার্মিনাল থ্রি থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ইকে ৮০৩ ফ্লাইটে জেদ্দার উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি।
এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন ছেলে লাবিব বিন জামান ও মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবদুর রহিম রিপন। সৌদি আরবের স্থানীয় সময় ৫টা ৫০ মিনিটে জেদ্দা পৌঁছার কথা রয়েছে তাঁর। জেদ্দা বিমানবন্দরে পরিবারের সদস্যরা তাঁর অপেক্ষায় রয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্বপরিবারে ঢাকা থেকে জেদ্দা যাওয়ার পথে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে হঠাৎ তার প্রচণ্ড শ্বাসকষ্ট হয়। পরে দুবাইয়ে বিমান অবতরণের পর বিমানবন্দরের কাছে একটি ক্লিনিকে তাঁকে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। স্থানীয় সময় রাত তিনটায় তাঁকে দুবাই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। এ সময় তাঁকে দেখতে যান সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক জাকির হোসেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহবায়ক জাকির হোসেন জানান, দুবাই হাসপাতালে জরুরি বিভাগে প্রায় ৮ ঘণ্টা চিকিৎসা নেন লুৎফুজ্জামান বাবর। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে নিবিড় পরিচর্যায় রাখেন। শুক্রবার দুপুরে তিনি সুস্থতা অনুভব করলে তাঁকে সৌদি আরবে যাবার অনুমিত দেওয়া হয়। পরে বিকালে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তিনি দুবাই থেকে জেদ্দার উদ্দেশ্য রওনা দেন।
  
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুই মাস ফ্রিজে রাখার পর মামুনের মাথায় খুলি পুনঃস্থাপন
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার মাথায় খুলি প্রায় দুই মাস ফ্রিজে সংরক্ষণ করার পর সফলভাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম পার্কভিউ হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে খুলি পুনঃস্থাপন করেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মামুন মিয়ার মাথায় সফলভাবে অপারেশন করা হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন।
গত ৩০ আগস্ট চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন মামুন মিয়া।
চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. এ টি এম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, চবিতে সংঘর্ষের দিন গুরুতর আহত অবস্থায় মামুন মিয়াকে পার্কভিউ হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সেই থেকে তিনি এখানে চিকিৎসাধীন আছেন। অপারেশনের সময় তার মাখার খুলি খুলে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। দীর্ঘ প্রায় দুই মাস পর সফল অপারেশনের মাধ্যমে শনিবার মামুনের মাথার খুলি প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
গত ৩০ আগস্ট তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চবি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষ হয়। এতে মামুনসহ চবির অন্তত ৫০০ শিক্ষার্থী আহত হন। মাথায় মারাত্মক আঘাতের কারণে মামুনের মাথার খুলি খুলে রেখে দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক