ইবির নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর সন্ধান দাবি
Published: 4th, February 2025 GMT
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
নিখোঁজ শিক্ষার্থীরা হলেন- দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী ওয়ালিউল্লাহ এবং আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের আল মুকাদ্দাস।
এ সময় শিক্ষার্থীদের ‘আর কত অপেক্ষার প্রহর গুনতে হবে?’, ‘ওয়ালিউল্লাহ ও মুকাদ্দাস ভাইদের সন্ধান চাই’, ‘ভাইদের উদ্ধারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে’, ‘আমার ভাইদের ফিরিয়ে দিন অথবা তাদের লাশের সন্ধান দিন’, ‘আর কতদিন পথ চেয়ে বসে থাকবো, সন্তানের লাশটাও কি পাব না- তাদের মা’, ‘এখনো অপেক্ষায় আছে আল মুকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্লাহ ভাইয়ের মা’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, আওয়ামী শাসনামলে ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার পথে ওয়ালিউল্লাহ এবং আল মুকাদ্দাসকে গুম করা হয়। দীর্ঘ ১২ বছর বিগত সরকার তাদেরকে ফিরিয়ে দেয়নি। সরকার পতনের পর গুম হওয়া অনেকে ফিরে এলেও তাদের সন্ধান মেলেনি। এ সময় অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে তাদের ফিরিয়ে দিতে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
আল ফিকহ অ্যান্ড লিগাল স্টাডিস বিভাগের ২০১৭-১৮ বর্ষের শিক্ষার্থী রাশিদুল ইসলাম রাফি বলেন, “অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট চলে গেছে। আমরা ভেবেছিলাম, আমাদের ওয়ালিউল্লাহ ও আল মুকাদ্দাস ভাইকে ফিরে পাব। কিন্তু তা না পেয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণতে হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের এই দুইভাই কি কারণে এবং কোথায় গুম করা হয়েছে, সবকিছু উদঘাটন করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। আমাদের দাবি, আমাদের ভাইদের সন্ধান দিন নইতো তাদের কবরের সন্ধান দিন।”
গত ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে কুষ্টিয়াগামী (হানিফ এন্টারপ্রাইজের ৩৭৫০ নম্বর) বাসে যাওয়ার পথে তারা একসঙ্গে নিখোঁজ হয়েছিলেন। বাসটি সাভারের নবীনগর এলাকায় পৌঁছালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে ৮-১০ জন আল মুকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্লাহকে নামিয়ে নিয়ে যান।
মুকাদ্দাস ও ওয়ালিউল্লাহ ক্যাম্পাসে না ফেরায় তাদের বন্ধুরা পরিবারকে জানান। এরপর অনেক খোঁজাখুঁজির করেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। তারা ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা যায়।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আল ম ক দ দ স সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
উদ্যমে উত্তরণে শতকোটি দিবস উপলক্ষে সংস্কৃতিকর্মীদের মানববন্ধন
বিশ্বের শতাধিক দেশের মতো ১৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দেশেও কয়েকটি সাংস্কৃতিক ও মানবাধিকার সংগঠনের কর্মীরা উদ্যমে উত্তরণে শতকোটি দিবস (ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং) উদ্যাপন করেছেন। এ দিবস উদ্যাপনে মানববন্ধনের পাশাপাশি সৃজনশীল আয়োজন ‘হিম্মতি মাই’ আয়োজন করেছে সংগঠনগুলো।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে জাতীয় সংসদ ভবনের সম্মুখে সাংগাত বাংলাদেশ এবং ওবিআর বাংলাদেশের উদ্যোগে এ দিবস পালন করা হয়। এ সময় সংস্কৃতি ও মানবাধিকারকর্মীরা লাঠি মাটিতে ঠুকে আওয়াজ তুলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে সম্মিলিতভাবে প্রতিবাদী স্লোগান দেন। সাংগাতের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আয়োজনে অংশ নিয়ে নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির বলেন, ‘বিশ্বের এক শর বেশি দেশে ওয়ান বিলিয়ন রাইজিং দিবস উদ্যাপন করা হচ্ছে। বাংলাদেশে ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবসও। একই সঙ্গে আজ বিশ্বব্যাপী ভালোবাসা দিবসও উদ্যাপিত হচ্ছে। কিন্তু বছরে এক দিন গোলাপ উপহার দিয়ে ভালোবাসা জানিয়ে বাকি ৩৬৪ দিন নারীর প্রতি সহিংসতা এবং অসম্মান প্রদর্শন করে ভালোবাসা দিবস পালন অর্থহীন। নারীকে ঘরে বন্দী রাখা যাবে না, তারা সম্মানের সঙ্গে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই নারীর ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে যুক্ত হতে হবে।’
প্রাগ্রসরের নির্বাহী পরিচালক ফওজিয়া খোন্দকার বলেন, এই একবিংশ শতাব্দীতে এসেও নারীকে তার প্রাপ্য সম্মানের জন্য প্রতিনিয়ত লড়াই করতে হচ্ছে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজের সব প্রতিষ্ঠান নারীকে দমন করার যন্ত্র হিসেবেই কাজ করে সব সময়। এই অন্যায় ও অন্যায্যতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে আরও জোরালোভাবে।
এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন নারী সংস্কারবিষয়ক কমিশনের সদস্য নীরূপা দেওয়ান, নারীপক্ষের সদস্য কামরুন নাহার, প্রাগ্রসরের নির্বাহী পরিচালক ফওজিয়া খোন্দকার, ডিয়াকোনিয়ার নির্বাহী পরিচালক খোদেজা সুলতানা, কর্মজীবী নারীর প্রকল্প সমন্বয়ক কাজী গুলশান আরা, থিয়েটার অ্যাকটিভিস্ট রিতু সাত্তার, একশনএইড বাংলাদেশের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার নুরুননাহার বেগম, থিয়েটার অ্যাকটিভিস্ট নায়লা আজাদ, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা হকসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে বাদাবন সংঘ, কর্মজীবী নারী, ব্লাস্ট, নারীপক্ষ, বহ্নিশিখা, পথিকৃৎ ফাউন্ডেশন, সম্ভব ফাউন্ডেশন, অবয়ব, খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতি, ডিয়াকোনিয়া, একশনএইড বাংলাদেশ, স্পার্ক (সাপোর্টিং পিপল অ্যান্ড রিবিল্ডিং কমিউটিস), হিম্মতি মাই, ঋদ্ধ ফাউন্ডেশন, সুইস কন্ট্যাক্টের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।