স্বৈরাশাসকদের মতো কিছু কিছু উপদেষ্টা ভোগবিলাসে ব্যস্ত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, যে সরকার দেশের একটি পরিবর্তনের শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালনের কথা বলেছিল, যারা সংস্কারের দাবি করে, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় যে, আমরা দেখলাম স্বৈরাশাসকরা যেভাবে ভোগবিলাসে ব্যস্ত ছিল বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারের কিছু কিছু উপদেষ্টা সেই বিগত কথিত স্বৈরশাসকের মতো ভোগবিলাসে লিপ্ত হয়েছেন। 

বুধবার টঙ্গীবাড়ি উপজেলার পাচগাঁও বাজার সংলগ্ন বালুর মাঠে শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, কিছু কিছু উপদেষ্টা কোটি কোটি টাকা দামের গাড়ি ব্যবহার করছেন, একাধিক গাড়ি ব্যবহার করছেন। এটা অন্তর্বর্তী সরকারের সদস্যদের কাছে প্রত্যাশিত না। উপদেষ্টারা যদি এভাবে ভোগবিলাসে লিপ্ত হয়ে পড়েন, সংস্কারের যে এজেন্ডা সংস্কারের যে লক্ষ্য সেখান থেকে আমরা পিছিয়ে পড়ব। যে সকল উপদেষ্টা এভাবে ভোগবিলাসে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন সেসব উপদেষ্টাদের অন্তর্বর্তী সরকার থেকে বাদ দেওয়ার জন্য আমরা প্রধান উপদেষ্টা ড.

মোহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানাবো। তা না হলে দেশ গভীর সংকটের মধ্যে পড়ে যাবে। জাতীয় নিরাপত্তা সংকটের মধ্যে পড়বে।

সাবেক ছাত্রদল নেতা কামরুল ইসলাম তপনের আয়োজনে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পাঁচগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল ইসলাম জহির বেপারী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, টঙ্গীবাড়ি উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলী আজগর রিপন মল্লিক, সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন লাকুরিয়া, উপদেষ্টা আলী আহমদ শেখ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইয়ার হোসেন মোল্লা, যুবদলের সদস্য সচিব মহাসিন খান বাবু, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান মল্লিক, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মারুফ ইসলাম সেন্টু প্রমুখ।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র উপদ ষ ট সরক র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ