সীমান্তে ফের উত্তেজনা, বিএসএফ সদস্য ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আহত
Published: 5th, February 2025 GMT
ফের উত্তেজনা ছড়াল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বাংলাদেশি গরু পাচারকারীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হিলি সীমান্তের কাছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মল্লিকপুর বিওপি এলাকা। গুলি-পাল্টা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে এক বিএসএফ জওয়ান ও এক বাংলাদেশি নাগরিক। আহতদের বর্তমানে চিকিৎসা চলছে পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গারামপুর সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পুরো ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিএসএফের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় এখনো অফিসিয়াল বিবৃতি না এলেও বিএসএফের স্থানীয় বর্ডার আউটপোস্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের মল্লিকপুর সীমান্তে। গুলিবিদ্ধ ওই বাংলাদেশি পাচারকারীর নাম মুহাম্মদ আলাউদ্দিন (৩২) তিনি বাংলাদেশের দিনাজপুরের বাসিন্দা। আহত বিএসএফ জাওয়ানের নাম ওরফেজ কুমার (২৭) তিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার রামপুরহাট এলাকার বাসিন্দা। আহত ৯১ নম্বর ব্যাটালিয়ানের বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের জওয়ান ওয়াফেজ বুধবার মল্লিকপুর বিওপিতে কর্তব্যরত ছিলেন।
বুধবার ভোররাতে প্রায় পাঁচজন সশস্ত্র বাংলাদেশি পাচারের উদ্দেশে ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে। এ সময় কর্তব্যরত ওই জওয়ান বাধা দিতে গেলে অতর্কিত হামলা চালায় ওই বিএসএফ জওয়ানের ওপর। এ সময় বিএসএফ জাওয়ানের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। বাধা দিলে ধরানো অস্ত্রের কোপ দিয়ে গুরুতর আহত করা হয় তাকে। এরপরেই আত্মরক্ষার্থে পাচারকারীদের উদ্দেশে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ওই বিএসএফ জওয়ান। ঘটনায় মুহাম্মদ আলাউদ্দিন নামে ওই বাংলাদেশি পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হলে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাকিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় সীমান্তবর্তী এলাকায়। সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চলছে দুই আহতের চিকিৎসা। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তে নেমেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
সম্প্রতি গঙ্গারামপুরের সুখদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই মল্লিকপুরের উন্মুক্ত সীমান্ত এলাকায় শুরু হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ। ফলে এই এলাকায় বিএসএফ-বিজিবির পাল্টাপাল্টি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে কয়েক গুণ। তারপরেও পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য থামাতে রীতিমত ঘাম ছুটছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসএফ ব এসএফ জ এল ক য
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে মন্দিরের দেয়াল চাপা পড়ে ৮ জনের মৃত্যু
ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের বিশাখাপত্তনম জেলায় চন্দনোৎসবের অনুষ্ঠান চলাকালে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল আট ভক্তের। মঙ্গলবার গভীর রাতে বিশাখাপত্তনমের প্রসিদ্ধ এক মন্দিরের ভিতরের দেওয়াল আচমকা ভেঙে পড়ে। এতে চাপা পড়ে আট জনের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরো বেশ কয়েক জন।
প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্তও ছিল ভক্তদের ভীড়। ওই সময় আচমকা মন্দিরের প্রায় ২০ ফুট উঁচু একটি দেয়াল ভেঙে পড়ে। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে যান ভক্তদের অনেকেই। আহতদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আট জন প্রাণ হারান। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই মৃত্যু হয় তাঁদের। নিহতদের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ এবং তিন জন মহিলা রয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরো তিন জন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছোয় রাজ্য ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
বুধবার সকালেও চলছে উদ্ধারকাজ। এখনো কেউ ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়ে রয়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী।
ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে মৃতদের পরিবারপিছু দুই লাখ রুপি এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি আর্থিক সাহায্য করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি। শোকপ্রকাশ করেছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু এবং তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মৃতদের পরিবারপিছু ২৫ লাখ রুপি টাকা এবং আহতদের তিন লাখ রুপি আর্থিক ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে।
শাহেদ/সুচরিতা