অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত এলেনর স্যান্ডার্সের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে তার অফিসকক্ষে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফরমে সহযোগিতা জোরদারের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত জানান, পারস্পরিক সম্পর্ক, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ব্যাবসায়িক স্বার্থে দুই দেশের সহযোগিতা জোরদার করতে কাজ করবে তার সরকার।

মানবাধিকার, গণতন্ত্র, জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, কর্মসংস্থান, যুব ও ক্রীড়া, তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা ও নেতৃত্ব, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, লিঙ্গ সমতা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং শ্রম অধিকারের মতো বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক বিষয়ে আলোচনা হয়।

দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে ফ্যাসিস্ট রেজিমের চালানো প্রপাগান্ডা জনসমক্ষে আসা উচিত।”

এছাড়া বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যা এবং রাজনৈতিক স্বৈরতন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন তিনি। বেকার যুবক, নারী এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।

এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের এজেন্ডাকে সমর্থন করেছে।” ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক অটুট রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

এছাড়া কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে, মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকার বিষয়ে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত।

সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/এএএম/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু

কোনও মহামানবকে বাংলাদেশের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দেশের মানুষ আন্দোলন-সংগ্রাম করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

সোমবার রাজধানীর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, কোনও মহামানব কোনও দেশের গণতন্ত্রের সমাধান দেবে তার জন্য দেশের জনগণকে অপেক্ষা করতে হবে, এটা বিশ্বাস করার কারণ নেই।

এদিন বিকেল সাড়ে ৩টায় ন্যাপ ভাসানীর সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি। ন্যাপ ভাসানীর চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আজহারুল ইসলামের নেতৃত্বে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিকাল ৪টা ২০ মিনিটে আমজনতার দলের সঙ্গে বৈঠকে করে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটি। আমজনতার দলের আহ্বায়ক কর্নেল অব. মিয়া মশিউজ্জামানের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বৈঠক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে বাংলাদেশ পিপলস পার্টির সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির নেতারা।

বিএনপির পক্ষে বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু উপস্থিত ছিলেন।

আল জাজিরাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আমির খসরু বলেন, মানুষ বলতে কারা? আমার বুঝতে একটু অসুবিধা হচ্ছে। বাংলাদেশে প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি, যারা জনগণকে প্রতিনিধিত্ব করছে। যারা রাজনৈতিক দল হিসেবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাস্তায় লড়াই করেছে, আমাদের সঙ্গে যারা রাস্তায় ছিল, ইতোমধ্যে প্রায় ৫০টি দল, পরিষ্কারভাবে ব্যক্ত করেছে ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচনের জন্য।

তিনি আরও বলেন, সংস্কারের জন্য যে কথাগুলো বলা হয়, সংস্কারের ব্যাপারে যেখানে ঐকমত্য হবে- সেই সংস্কারগুলো দ্রুত করে নির্বাচন কমিশনকে বলা হোক, নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করে রোডম্যাপ দিয়ে ভোটের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য। তো জনগণ বলতে কারা? 

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এখন জনগণ বলতে যদি কোনও একটি বিশেষ গোষ্ঠী, সুবিধাভোগী- যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে গিয়ে, জনগণের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে গিয়ে গণতন্ত্রকে সংস্কারের মুখোমুখি করছে! এটা তো কারও বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কারণ নেই। ১৬ বছরের যুদ্ধটা ছিল গণতন্ত্রের জন্য, দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, জনগণের মালিকানা ফিরিয়ে আনার জন্য। যে সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত হবে, তারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে। সেটা যে সরকারই হোক।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মিয়ানমারকে মানবিক করিডোর দেওয়া স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সংকট’
  • মিয়ানমারকে মানবিক করিডর দেওয়ার অধিকার অন্তর্বর্তী সরকারের নেই: সিপিবি
  • সাবেক বিচারপতি খায়রুল হককে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ 
  • কোনো মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমীর খসরু
  • কোনও মহামানবকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য মানুষ আন্দোলন করেনি: আমির খসরু
  • জনগণ গণতন্ত্রের জন‍্য রক্ত দিয়েছে, কোনো মহামানবের প্রতিষ্ঠার জন্য নয়: আমীর খসরু
  • নতুন কর্মসূচি দিল যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদল