স্থানীয় সরকার উপদেষ্টার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
Published: 5th, February 2025 GMT
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত এলেনর স্যান্ডার্সের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে তার অফিসকক্ষে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বৃদ্ধির পাশাপাশি বহুপক্ষীয় প্ল্যাটফরমে সহযোগিতা জোরদারের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেন।
এ প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত জানান, পারস্পরিক সম্পর্ক, মানবাধিকার, আইনের শাসন ও ব্যাবসায়িক স্বার্থে দুই দেশের সহযোগিতা জোরদার করতে কাজ করবে তার সরকার।
মানবাধিকার, গণতন্ত্র, জবাবদিহি ও ন্যায়বিচার, ধর্ম বা বিশ্বাসের স্বাধীনতা, কর্মসংস্থান, যুব ও ক্রীড়া, তারুণ্যের রাজনৈতিক ভাবনা ও নেতৃত্ব, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, লিঙ্গ সমতা, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি এবং শ্রম অধিকারের মতো বিভিন্ন অগ্রাধিকারমূলক বিষয়ে আলোচনা হয়।
দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে ফ্যাসিস্ট রেজিমের চালানো প্রপাগান্ডা জনসমক্ষে আসা উচিত।”
এছাড়া বিগত ফ্যাসিস্ট আমলে গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যা এবং রাজনৈতিক স্বৈরতন্ত্রের কথা উল্লেখ করেন তিনি। বেকার যুবক, নারী এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান সংক্রান্ত গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।
এ প্রসঙ্গে যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পর থেকে যুক্তরাজ্য সরকার বাংলাদেশের আইন-শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার, গণতন্ত্র, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের এজেন্ডাকে সমর্থন করেছে।” ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ক অটুট রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এছাড়া কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে, মানবাধিকার এবং শ্রম অধিকার বিষয়ে বাংলাদেশকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক রাষ্ট্রদূত।
সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এএএম/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।