সরকার হামলা-ভাঙচুরের দায় এড়াতে পারে না
Published: 7th, February 2025 GMT
রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা-ভাঙচুরের দায় অন্তর্বর্তী সরকার এড়াতে পারে না। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাবেক সভাপতি ও শ্রমিকনেতা সহিদুল্লাহ চৌধুরীর শোকসভায় বক্তারা এ কথা বলেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে এই সভার আয়োজন করে সিপিবি। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি সহিদুল্লাহ চৌধুরী ঢাকার নিজ বাসভবনে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন।
শোকসভার সভাপতিত্ব করেন সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম। তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের আস্তানা তো আরও বহু, হাসিনার আস্তানা তো বহু জায়গায় ছিল। এটা (৩২ নম্বর) তো হাসিনার আস্তানা না। এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের বাসা।’
হাসিনা পুলিশি রাষ্ট্র কায়েম করেছিল, সেটা অনস্বীকার্য উল্লেখ করে মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, ৫ আগস্ট পর্যন্ত শত্রু ছিল গণতন্ত্রবিরোধী সরকার।
দেশের পরিস্থিতি প্রতিদিন জটিল হচ্ছে বলে মনে করেন সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। ‘কতসব খেলা চলছে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আক্রমণ আসছে, বুর্জুয়া দলের ওপর নির্ভর করে সেই আক্রমণ মোকাবিলা করা যাবে না।
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি এবং দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা-ভাঙচুরের দায় সরকার এড়াতে পারে না মন্তব্য করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন। ‘গণ–অভ্যুত্থানের চেতনা কোনো গোষ্ঠীর কাছে ইজারা দেননি’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটা কিছু বললেই মব তৈরি করবে। দেশ–বিদেশ থেকে উসকানি দেওয়া হবে। সরকার সহযোগিতা করছে না বললেও প্রকারান্তরে তাঁদের প্রশ্রয় ছাড়া এই ঘটনা ঘটতে পারে না।’
বামজোটের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা ভাঙচুরের কথা উল্লেখ করে বলেন, যারা ঘোষণা দিয়ে সারা দেশেই এ রকম ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের স্লোগান থেকে পরিষ্কার তারা আসলে কারা।
সহিদুল্লাহ চৌধুরী শিক্ষায় সব সময় গুরুত্ব দিতেন বলে উল্লেখ করেন তাঁর সন্তান তারেকুজ্জামান চৌধুরী।
শোকসভায় আরও বক্তব্য দেন বাসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি আবদুস সবুর, নারীনেত্রী লক্ষ্মী চক্রবর্তী, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মালেক, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির, ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা প্রমুখ।
সিপিবির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ শোকসভাটি সঞ্চালনা করেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
‘দাগি’ সিনেমা দেখতে টাঙ্গাইলে অস্থায়ী হল তৈরি করছেন নিশো ভক্তরা
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নেই কোনো সিনেমা হল। তাই প্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো অভিনীত সিনেমা দেখার তীব্র আগ্রহ ও ভালোবাসায় আবারো অস্থায়ী সিনেমা হল তৈরি করছেন তার স্থানীয় ভক্তরা। সেখানে এবার প্রদর্শিত হবে নিশো অভিনীত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘দাগি’। ভক্তদের ভালোবাসার টানে নিজ এলাকায় যাবেন আফরান নিশো।
শুক্রবার (২ মে) থেকে ভূঞাপুর স্বাধীনতা কমপ্লেক্সের দোতলায় ৭ দিনব্যাপী প্রদর্শিত হবে আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমা। প্রতি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ১০০ টাকা। প্রতিদিন ৪টি করে শো চলবে। প্রথম শো শুরু হবে বিকেল ৪টা থেকে।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার স্বাধীনতা কমপ্লেক্সে অস্থায়ী সিনেমা হল নির্মাণে কাজ করছেন একদল যুবক। জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোকে ভালোবেসে গত বছর ‘সুরঙ্গ’ সিনেমার জন্য অস্থায়ী হল নির্মাণ করেছিলেন তারা। এবারো সেই ভালোবাসা থেকেই ‘দাগি’ সিনেমা প্রদর্শনের জন্য নির্মাণ করছেন প্রেক্ষাগৃহ।
আরো পড়ুন:
প্রযোজক তার সঙ্গে রাত কাটাতে বলেন: অঞ্জনা
নায়ক রুবেলের মৃত্যু গুজব: সোহেল রানার হুঁশিয়ারি
নিশো ভক্ত তন্ময় বলেন, “আফরান নিশো আমাদের এলাকার সন্তান। তার জন্য আমাদের অগাধ ভালোবাসা। তার অভিনীত সিনেমা ‘দাগি’ দেখার জন্য এখানে যে কর্মযজ্ঞ চলছে, সেটা সেই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। ভূঞাপুরের মানুষ যেন নিশো ভাইয়ের সিনেমা দেখতে পারেন, তার জন্যই এই আয়োজন। আমরা অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছি সিনেমাটি দেখার জন্য।”
বিশেষ চমক হলো— এই আয়োজনে অংশ নিতে নিজ এলাকাতেই যাবেন আফরান নিশো। প্রিয় নায়কের আগমন আর সিনেমা প্রদর্শনকে ঘিরে ইতোমধ্যে উৎসাহের জোয়ার বইছে ভূঞাপুরে।
ভক্তদের আয়োজনে নির্মিত অস্থায়ী এই সিনেমা হলটি তৈরি হচ্ছে ভূঞাপুর স্বাধীনতা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে। বিশাল স্ক্রিন ও উন্নত সাউন্ড সিস্টেমসহ আধুনিক সুবিধার এই আয়োজন স্থানীয়দের মাঝে এক ভিন্ন আবেগ সৃষ্টি করেছে।
আয়োজক কমিটির সদস্য হাদী চকদার বলেন, “ভূঞাপুরে স্থায়ী হল না থাকলেও আমরা চেয়েছি নিশো ভাইয়ের ‘দাগি’ সিনেমাটি সবাই মিলে একসঙ্গে দেখতে। তিনি আমাদের গর্ব, আমাদের এলাকার সন্তান। তাই এবারো আমরা তাকে দাওয়াত দিয়েছি এবং তিনি আসছেন। এটা আমাদের জন্য বড় প্রাপ্তি।”
ভক্তদের আয়োজনে একজন অভিনয়শিল্পীর সরাসরি অংশগ্রহণ, অস্থায়ী হলেও একটি হল নির্মাণ এবং সিনেমা দেখার এই উৎসব— ভূঞাপুরে যেন নতুন করে সিনেমাপ্রেমের আলো জ্বেলে দিচ্ছে।
গত কয়েক বছর ধরে ঈদকে কেন্দ্র করে নির্মিত সিনেমাগুলো নিয়েই অধিক আলোচনা ও সমালোচনা দেখা যাচ্ছে। ঈদুল ফিতরে বেশ কটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম আফরান নিশো অভিনীত ‘দাগি’ সিনেমা। শিহাব শাহীন পরিচালিত এ সিনেমায় নিশোর বিপরীতে অভিনয় করেছেন তমা মির্জা।
ঢাকা/কাওছার/শান্ত