কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বাঁশঝানি সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরেখায় অবস্থিত মসজিদের সামনের গাছে সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফ। এর প্রতিবাদ জানিয়ে ক্যামেরাটি খুলে নিতে বিএসএফকে পত্র পাঠিয়েছে বিজিবি।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে বিএসএফ ক্যামেরা স্থাপন করে। এ ঘটনায় ওই সীমান্ত এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। 

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে কয়েক দফায় পতাকা বৈঠক হয়েছে। এতে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। 

স্থানীয়রা জানান, সীমান্ত এলাকায় বিপুলসংখ্যক বিএসএফ সদস্য উপস্থিত রয়েছে, যা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। এলাকাবাসী বিষয়টি নিয়ে সজাগ রয়েছে এবং কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে, সেই বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করছে। সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ বাঁশজানি ঝাকুয়াটারী জামে মসজিদের মোয়াজ্জিন আলমগীর হোসেন বলেন, ‘‘মসজিদটিতে ভারত ও বাংলাদেশের মানুষ নামাজ পড়ে। মসজিদটি আমাদের পূর্বপুরুষরা স্থাপন করেছে। দেশভাগের সময় গ্রামের মাঝ দিয়ে সীমান্তরেখা টানা হলেও আমাদের সম্পর্ক ভাগ হয়নি। তখন থেকে আমরা একসঙ্গে একই মসজিদে নামাজ পড়ি। মসজিদটি পুরাতন হয়ে গেলে নুতুন করে স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে বিএসএসফ বাধা দেয়। তাদের বাধায় দুই বছর থেকে মসজিদের কাজ বন্ধ রয়েছে। এবার রাতের আঁধারে তারা সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে গেছে। এতে আমাদের নিরাপত্তা বিঘ্ন হচ্ছে। বিজিবি ক্যামেরা খুলে নিয়ে যেতে বললেও তা করেনি বিএসএফ।’’ 

কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন ২২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, সীমান্তে নো-ম্যানস ল্যান্ডের একটি মসজিদের সামনে বিএসএফ ক্যামেরা লাগিয়েছে। সিসি ক্যামেরাটি খুলে নিতে বিএসএফ-কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সীমান্তের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/বাদশাহ/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মসজ দ র ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী