কুড়িগ্রাম সীমান্তে লাগানো সিসি ক্যামেরা সরিয়ে ফেলেছে বিএসএফ
Published: 12th, February 2025 GMT
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের শূন্য রেখায় অবস্থিত ঝাকুয়াটারি মসজিদের পাশের গাছে লাগানো সিসি ক্যামেরাটি সরিয়ে ফেলেছে বিএসএফ।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাতে ক্যামেরাটি খুলে ফেলে তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান।
এর আগে, মঙ্গলবার দক্ষিণ বাঁশজানি সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে আলমগীর হোসেনের বাড়ির আঙ্গিনায় সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত দেড় ঘণ্টা ধরে বিজিবির সঙ্গে বিএসএফের পতাকা বৈঠক হয়। বৈঠকে সিসি ক্যামেরা খুলে নিতে সম্মতি জানায় বিএসএফ।
আরো পড়ুন:
কুড়িগ্রাম সীমান্তে সিসি ক্যামেরা খুলে নিতে রাজি বিএসএফ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
মঙ্গলবারের পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান এবং বিএসএফের পক্ষে ১৬২ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট অনিল কুমার মনোজ নেতৃত্ব দেন।
গত রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে অতি সঙ্গোপনে (গোপনে) বাংলাদেশ-ভারতের আন্তর্জাতিক সীমানা পিলার ৯৭৮ এর ৯ এস সাব পিলারের পাশের একটি মসজিদের পাশে নো-ম্যানস ল্যান্ডে গাছের ওপর সিসি ক্যামেরা লাগায় বিএসএফ। দেশ ভাগের আগে স্থাপন করা মসজিদটি দুই দেশের শূন্য রেখায়। মসজিদটিতে বাংলাদেশ ও ভারতের নাগরিকরা নামাজ পড়েন।
সিসি ক্যামেরা লাগানোকে কেন্দ্র করে গত সোমবার দিনভর বিজিবি এবং বিএসএফের ক্যাম্প এবং কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক হয়। তবে তাতে কোনো সুরাহা না হওয়ায় মঙ্গলবার ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান জানান, পতাকা বৈঠকে মসজিদের পাশে লাগানো সিসি ক্যামেরাটি খুলে নিতে সম্মতি জানানোর পর তা খুলে নিয়েছে বিএসএফ।
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।