Risingbd:
2025-11-03@05:14:03 GMT

‘জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করুন’

Published: 12th, February 2025 GMT

‘জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করুন’

দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী ত্রয়োদশ সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘‘জনগণের পাশে খাকুন, ভালো আচারণ করুন, তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করুন। জনগণের সমস্যা সমাধান করতে না পারলে পতিত ফ্যাসিস্ট ফিরে আসবে।’’

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজনে ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘বিএনপির নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী নির্বাচনে আর কারো চান্স নেই। বেগম খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেল খেটেছেন গণতন্ত্রের জন্য। বিগত ১৬ বছরে দেশের অনেক মানুষ গুম হয়েছে, খুন হয়েছে; তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’’

আরো পড়ুন:

ইউএনও, আ.

লীগ ও বিএনপি নেতা একই অনুষ্ঠানে, মিশ্র প্রতিক্রিয়া

বাগেরহাটে বিএনপির দু’ গ্রুপের পৃথক সংঘর্ষে আহত ২৫

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা এবং দেশ দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি করেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি রোমানা মাহমুদ।

জনসভায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষ বার বার জীবন দিয়েছে কিন্তু পতিত ফ্যাশিস সরকার বার বার তাদের বঞ্চিত করেছে। আমরা লড়াই করে, সংগ্রাম করে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। দেশের এ পরিবর্তন মানুষ স্বাগত জানিয়েছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা জাতীয় বেঈমান। বার বার দেশে গণতন্ত্র হরণ করেছেন। আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে বিএনপি। জুলাই-আগস্ট আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। দেশের মানুষ ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৩১ দফা হলো রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের দফা।’’

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম খান আলিম।

জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আব্দুল মান্নান তালুকদার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এম আকবর আলী, জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য কণ্ঠশিল্পী কনকচাপা, জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, অমর কৃষ্ণ দাস, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম খান প্রমুখ। এর আগে বিভিন্ন উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হয়। 

ঢাকা/অদিত্য/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র ল ইসল ম খ ন স র জগঞ জ জ ল গণতন ত র ন ত কর ম র সদস য ব এনপ র কম ট র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম

বন্দর উপজেলা বিএনপি নেতা তাওলাদ মাহমুদকে প্রকাশ্য দিবালোকে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসরা হামলা চালিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে।

সে ঘটনা মামলা করা হলো এখনো বন্দর থানা পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত মূল হোতাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ঘটনার সাথে জড়িত হামলাকারীদের আগামী ৭২ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়েছে বন্দর উপজেলা বিএনপি।

‎শনিবার ( ১ নভেম্বর) সকালে মদনপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ লিটন তাওলাদ মাহমুদের উপর নৃশংস হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে হামলার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসরদের গ্রেপ্তারের এই দাবি জানান।

‎সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ফ্যাসিস শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেল কিন্তু তার দোসরা এখনো রয়ে গেছে। মুছাপুর ইউনিয়ন তথা বন্দর উপজেলার বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা দীর্ঘ ১৭টি বছর  আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির দোসর দ্বারা নির্যাতিত হয়েছিল। 

এখনো আওয়ামী লীগের দোষরদের দ্বারা বিএনপি নেতা কর্মীরা নির্যাতিত হবে এটা খুবই দুঃখজনক। ৫ তারিখের পরও কিন্তু তারা আত্মগোপনে ছিল। কিন্তু কতিপয় কিছু নেতা ও প্রশাসনের কারণে তারা এখনো আবারো প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

তারা আবারও নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের জন্য বিএনপি নেতাকর্মী ও নিরীহ জনগণের উপর হামলা চালাচ্ছে।

‎তারা আরও বলেন, তাওলাদ মাহমুদ উপর হামলার ঘটনায় মামলাআওয়ামী লীগে ও জাতীয় পার্টির দোসরদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন ঘটনায় মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক মামলা রয়েছে। কিন্তু বন্দর থানা পুলিশ প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপে নিচ্ছে না। 

ফলে প্রতিনিয়ত তারা হামলা মামলা নির্যাতন সহকারে বিভিন্ন অপরাধ করে বেড়াচ্ছ । মুছাপুরের জনগণ তাদের হাত থেকে মুক্তি চায়। অবিলম্বে বিএনপি নেতা তাওলাত মাহমুদের ঘটনার সাথে জড়িত সকল আসামীদের গ্রেপ্তারের ৭২ ঘণ্টার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে সব সময় বেঁধে দিলাম আমরা উপজেলা বিএনপি।

যদি আগামী ৭২ ঘণ্টার মাধ্যমে তাওলাদ মাহমুদের উপর হামলাকারী মূল হোতাদেরকে গ্রেফতার করা না হয় তাহলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো। তার জন্য কিন্তু সকল দায়ভার পুলিশ প্রশাসনকেই নিতে হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উজানে বাঁধ ও জলবিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে মারাত্মক সংকটে তিস্তা নদী
  • ভুল শুধরে জনগণের আস্থা ফেরানোর সুযোগ এই নির্বাচন: আইজিপি
  • ৩০০ আসনে প্রার্থী বাছাই প্রায় চূড়ান্ত: তারেক রহমান
  • গণতন্ত্রের পথে সংকট দেখছেন তারেক
  • এমন তো হবার কথা ছিল না: তারেক রহমান
  • ইরান পারমাণবিক স্থাপনাগুলো আরো শক্তিশালী করে পুনর্নির্মাণ করবে
  • জ্বালানি সুবিচার নিশ্চিতে সংগ্রাম, শপথ যুব সংসদের সদস্যদের
  • বন্দরে বিএনপি নেতা তাওলাদের উপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
  • সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠাই এখন জাতির দাবি
  • জনগণের বৃহত্তর ঐক্য ছাড়া এই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার পতন হবে না: সাকি