Risingbd:
2025-07-31@21:57:03 GMT

‘জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করুন’

Published: 12th, February 2025 GMT

‘জনগণের মধ্যে আস্থা তৈরি করুন’

দলের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী ত্রয়োদশ সাধারণ নির্বাচনে বিএনপি জয়ী হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, ‘‘জনগণের পাশে খাকুন, ভালো আচারণ করুন, তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করুন। জনগণের সমস্যা সমাধান করতে না পারলে পতিত ফ্যাসিস্ট ফিরে আসবে।’’

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির আয়োজনে ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে জনসভায় তিনি এ কথা বলেন।

বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘বিএনপির নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে আগামী নির্বাচনে আর কারো চান্স নেই। বেগম খালেদা জিয়া বছরের পর বছর জেল খেটেছেন গণতন্ত্রের জন্য। বিগত ১৬ বছরে দেশের অনেক মানুষ গুম হয়েছে, খুন হয়েছে; তাদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা আছে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’’

আরো পড়ুন:

ইউএনও, আ.

লীগ ও বিএনপি নেতা একই অনুষ্ঠানে, মিশ্র প্রতিক্রিয়া

বাগেরহাটে বিএনপির দু’ গ্রুপের পৃথক সংঘর্ষে আহত ২৫

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করা এবং দেশ দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতি করেন সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি সভাপতি রোমানা মাহমুদ।

জনসভায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘‘গণতন্ত্রের জন্য দেশের মানুষ বার বার জীবন দিয়েছে কিন্তু পতিত ফ্যাশিস সরকার বার বার তাদের বঞ্চিত করেছে। আমরা লড়াই করে, সংগ্রাম করে অন্তর্বর্তী সরকারকে ক্ষমতায় বসিয়েছি। দেশের এ পরিবর্তন মানুষ স্বাগত জানিয়েছে।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘শেখ হাসিনা জাতীয় বেঈমান। বার বার দেশে গণতন্ত্র হরণ করেছেন। আন্দোলন সংগ্রাম করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে বিএনপি। জুলাই-আগস্ট আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। দেশের মানুষ ভোটের মাধ্যমে সরকার গঠন করবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৩১ দফা হলো রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের দফা।’’

সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি রাজশাহী বিভাগের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম খান আলিম।

জনসভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য আব্দুল মান্নান তালুকদার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এম আকবর আলী, জেলা বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য কণ্ঠশিল্পী কনকচাপা, জেলা বিএনপি সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, অমর কৃষ্ণ দাস, জেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শামীম খান প্রমুখ। এর আগে বিভিন্ন উপজেলা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে এসে উপস্থিত হয়। 

ঢাকা/অদিত্য/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ র ল ইসল ম খ ন স র জগঞ জ জ ল গণতন ত র ন ত কর ম র সদস য ব এনপ র কম ট র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে

দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগের মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে পুলিশ তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

২০২৪ সালের ২৭ অগাস্ট শাহবাগ থানায় দুর্নীতি ও রায় জালিয়াতির অভিযোগের মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন। 

গত ২৪ জুলাই সকালে ঢাকার ধানমন্ডির বাসা থেকে সাবেক এ প্রধান বিচারপতিকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।  

সম্প্রতি তার গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। সংগঠনটি দাবি করেছে, ‘বিচার বিভাগ ও গণতন্ত্র ধ্বংসের মূল কারিগর’ তিনি।

খায়রুল হক ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন এবং ২০১১ সালের ১৭ মে বয়স অনুযায়ী অবসর গ্রহণ করেন। বিচারপতি হিসেবে তার সবচেয়ে আলোচিত এবং বিতর্কিত রায় ছিল সংবিধানের ১৩তম সংশোধনী, অর্থাৎ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে। ওই রায়ের পর দেশে আর কোনো নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হয়নি।

বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ ২০১১ সালে এই রায় ঘোষণা করে। এতে বলা হয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অসাংবিধানিক এবং গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার পরিপন্থি। এরপর থেকে নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই সরকারে থেকে নির্বাচন পরিচালনা করছে। বিরোধী দলগুলোর দাবি, এই রায়ের মধ্য দিয়েই দেশে একতরফা নির্বাচন ও গণতন্ত্রহীনতার ভিত্তি তৈরি হয়।

২০১৩ সালের ২৩ জুলাই তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তাকে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয়। সেখানে তিনি আইন সংস্কার সংক্রান্ত নানা প্রস্তাব ও গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। বিভিন্ন সময় আইনি সেমিনার, বক্তৃতা এবং পরামর্শমূলক কাজে অংশ নিয়েছেন তিনি।

আওয়ামী লীগপন্থি আইনজীবী ও মহলগুলো তাকে ‘সংবিধান রক্ষার সাহসী রূপকার’ হিসেবে অভিহিত করলেও, বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোর মতে তিনি ‘বিচার বিভাগের রাজনৈতিকীকরণের পথপ্রদর্শক’। 

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম বলেছে, ‘তত্ত্বাবধায়ক বাতিল করে তিনি দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন।’

ঢাকা/কেএন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এক-এগারোর মতো ঘটনা ঘটা এখানে অস্বাভাবিক কিছু নয়
  • কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যেভাবে সুষ্ঠু ভোটে বাধা হতে পারে
  • মিয়ানমারে ডিসেম্বরে নির্বাচনের ঘোষণা জান্তা সরকারের, জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার
  • বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী সরাসরি ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পক্ষে
  • ট্রাম্পের বিরুদ্ধে লুলার প্রতিবাদে অন্যরাও শামিল হোক
  • এমন কিছু করবেন না যাতে গণতন্ত্র ব্যাহত হয়: মির্জা ফখরুল
  • আশুলিয়ায় বিএনপির জনসভা ও এনসিপির পদযাত্রা আজ, নিরাপত্তা জোরদার
  • সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক ৭ দিনের রিমান্ডে
  • বিতর্কমুক্ত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব‍্যবস্থা না হলে গণতন্ত্র আবার হুমকিতে পড়বে: এবি পার্টি
  • মানুষ ঠিকমতো ইভিএম বোঝে না, পিআর বুঝবে কী করে: মির্জা ফখরুল