সিটি ব্যাংকের প্রয়াত উদ্যোক্তা পরিচালকের শেয়ার স্থানান্তর
Published: 16th, February 2025 GMT
সিটি ব্যাংকের প্রয়াত উদ্যোক্তা পরিচালক মো. আলী হোসেনের শেয়ার মনোনীতকদের নামে স্থানান্তর করা হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটের ঘোষণায় এই শেয়ার স্থানান্তরের তথ্য দেওয়া হয়েছে।
ওয়েবসাইটের ঘোষণায় বলা হয়েছে, আলী হোসেনের মনোনীতক সাকিবা শবনম ও ফারিয়া শবনমের নামে ২ কোটি ৫৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫৬৬টি শেয়ার স্থানান্তর করা হয়েছে। সিটি ব্রোকারেজ লিমিটেড এই শেয়ার স্থানান্তরের তথ্য নিশ্চিত করেছে।
সিটি ব্যাংক পিএলসির উদ্যোক্তা মো.
দেশের ব্যাংক খাতের কোম্পানিগুলোর মধ্যে সিটি ব্যাংকের আর্থিক অবস্থান শক্তিশালী। সম্প্রতি মূলধন ভিত্তি শক্তিশালী ও ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি চলমান রাখতে ৮০০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিটি ব্যাংক।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে সিটি ব্যাংকের সমন্বিত পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় পরিচালনা মুনাফা বেড়েছে ৭৭ শতাংশ।
২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে সিটি ব্যাংক মুনাফা করেছিল ৯৩২ কোটি টাকা; ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৬৫৩ কোটি টাকা। সতর্কতার সঙ্গে ঋণের বিপরীতে বেশি প্রভিশন সংরক্ষণের কারণে কর-পরবর্তী মুনাফা বেড়েছে ১৯ শতাংশ। ২০২৩ সালে প্রথম ৯ মাসে মুনাফা ছিল ৩৭৯ কোটি টাকা, ২০২৪ সালে যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫১ কোটি টাকা।
গত এক বছরে সিটি ব্যাংকের শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ২৬ টাকা ৭০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ১৭ টাকা ৩০ পয়সা। এ ছাড়া কোম্পানিটি ২০২৩ সালে ১৫ শতাংশ নগদ ও ১০ শতাংশ বোনাস; ২০২২ সালে ১০ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস; ২০২১ সালে ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ বোনাস; ২০২০ সালে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দিয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: শ নগদ ও
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৪ সালে মেটার কাছে ৩৭৭১ অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছে সরকার
বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে ২০২৪ সালে ৩ হাজার ৭৭১টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়ে অনুরোধ পেয়েছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। তবে বছরের প্রথম ৬ মাসের চেয়ে শেষ ৬ মাসে অনুরোধের সংখ্যা কমেছে। একই বছর গুগলের কাছে সরকার ৫ হাজার ৮২৭টি কন্টেন্ট সরানোর অনুরোধ করেছিল।
প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা (ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ) ও গুগলের (ইউটিউব) স্বচ্ছতা প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। মেটা ও গুগল বছরে দু’বার স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
সম্প্রতি প্রকাশিত সর্বশেষ স্বচ্ছতা প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালের প্রথম ছয় মাসে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের কাছ থেকে তথ্য চাওয়া ও কন্টেন্ট সরানোর অনুরোধ বেশি ছিল। পরের ছয় মাসে বিশেষ করে ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এসব অনুরোধের পরিমাণ কমে আসে। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে এসব অনুরোধ জানিয়ে থাকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
মেটা বলছে, ২০২৪ সালে ৩ হাজার ৭৭১টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়। এর মধ্যে জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ১ হাজার ৫০১টি অনুরোধের মাধ্যমে ২ হাজার ২৮৫টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল সরকার। এ সময় ৬৮ দশমিক ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দেয় মেটা। প্রথম ছয় মাসে মেটা ২ হাজার ৯৪০টির বেশি কন্টেন্টে প্রবেশ সীমিত করে দেয়। এর মধ্যে রয়েছে ২ হাজার ৬০০টির বেশি ফেসবুক মন্তব্য, পোস্ট ৩১৭টি, পেজ ও গ্রুপ ১টি এবং প্রোফাইল ৫টি।
সে বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার ৯২৬টি অনুরোধের মাধ্যমে সরকার মেটার কাছে ১ হাজার ৪৮৬টি অ্যাকাউন্টের বিষয়ে তথ্য চেয়েছিল। এর মধ্যে ৬৪ শতাংশ ক্ষেত্রে মেটা তথ্য দিয়েছে। শেষ ছয় মাসে মেটা বাংলাদেশে ১ হাজার ২৮০টির মতো কন্টেন্টে প্রবেশ সীমিত করে দেয়। এর মধ্যে ফেসবুকে মন্তব্য (কমেন্ট) ১ হাজার ১৪০টি, ১২৩টি পোস্ট, ৮টি প্রোফাইল।
সাইবার নিরাপত্তা আইনের অধীন বিভিন্ন অপরাধের জন্য স্থানীয় আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিটিআরসি যেসব রিপোর্ট করেছে, মেটা সেসব কন্টেন্টে প্রবেশ সীমিত করা হয়। এর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত পণ্য, ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আক্রমণ, সাম্প্রদায়িক সহিংসতা উসকে দেওয়া ও আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ।
এদিকে বাংলাদেশ সরকার গুগলের কাছে এক বছরে ৫ হাজার ৮২৭টি কন্টেন্ট সরানোর অনুরোধ করেছিল। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৩৩৭টি অনুরোধে ৪ হাজার ৪৭০টি কন্টেন্ট সরাতে বলে সরকার। জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি অনুরোধ জানায় সরকার। এসব অনুরোধের মাধ্যমে ১ হাজার ৩৫৭টি কন্টেন্ট সরাতে বলা হয়। এসব অনুরোধের ৪৫ দশমিক ৮ শতাংশ ক্ষেত্রে গুগল কোনো পদক্ষেপ নেয়নি এবং ৩৭ শতাংশ ক্ষেত্রে যথেষ্ট তথ্য ছিল না। বাকিগুলো সরানো হয়।
সরকারের অনুরোধের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিল মানহানি, নিয়ন্ত্রিত পণ্য ও সেবা এবং সরকারের সমালোচনার বিষয়বস্তু। ইউটিউবের বিষয়বস্তু সরানোর অনুরোধ ছিল বেশি।
২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার গুগলকে ২৮টি অনুরোধ জানায়। এর মধ্য ৩০টি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। গুগল ১৪ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দিয়েছে।