SunBD 24:
2025-05-01@04:34:24 GMT

রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন আজ

Published: 16th, February 2025 GMT

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আয়কর রিটার্ন দাখিল করার শেষ দিন আজ রোববার। সে হিসাবে আজ বিকেল ৫টা পর্যন্ত জরিমানা ছাড়াই রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন করদাতারা। তিন দফায় সময় বৃদ্ধি করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঘোষণা অনুযায়ী রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় শেষ দিন ১৬ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়।

এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, সারা বছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া যাবে। অনলাইন ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট বন্ধ হবে না। ৩৬৫ দিনই লোকজন দিতে পারবে। নির্ধারিত সময়ে যারা ট্যাক্স রিটার্ন দেবেন, তাদের ট্যাক্স ক্যালকুলেশন এক রকম হবে, আর পরে যারা দিবেন তাদের অটোমেটিক্যালি অতিরিক্ত জরিমানা চলে আসবে। সেটা ধার্যকৃত ট্যাক্সের ওপর প্রতি মাসে ২ শতাংশ। ম্যাক্সিমাম সিলিং ২৪ মাস। আমরা ৪৮ শতাংশের বেশি কারো কাছ থেকে ইন্টারেস্ট নেব না।

গত ৩০ জানুয়ারি আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় তৃতীয় দফায় বৃদ্ধি করে ১৬ ফেব্রুয়ারি করা হয়। একই পৃথক আদেশে কোম্পানি করদাতাদের রিটার্ন দাখিলের সময় ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে বৃদ্ধি করে ১৬ মার্চ করা হয়।

এর আগে রিটার্ন দাখিলের শেষ সময় ছিল ৩১ জানুয়ারি। আয়কর আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, ২০২৪-২০২৫ করবর্ষের জন্য কোম্পানি ব্যতীত সব শ্রেণির করদাতার আয়কর রিটার্ন দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর। গত আগস্ট মাসের পরবর্তীতে পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে দুই দফায় সময় বাড়ানো হয়েছিল।

এ বছর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বিশেষ আদেশের মাধ্যমে ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে অবস্থিত সব সরকারি কর্মচারী, সারা দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সব মোবাইল টেলিকম সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী এবং বহুজাতিক কোম্পানিতে কর্মরতদের আয়কর রিটার্ন অনলাইনে দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়।

২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন দাখিল ও কর পরিপালন সহজীকরণের লক্ষ্যে এনবিআর গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম (ই-রিটার্ন) করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করে। ওই সিস্টেম দিয়ে নির্ধারিত চার্জ দিয়ে অনলাইনেই আয়কর পরিশোধ করতে পারছেন করদাতারা।

দেশে বর্তমানে এক কোটি ১৫ লাখের বেশি কর শনাক্তকারী নম্বরধারী (টিআইএন) করদাতা রয়েছেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রায় ৪৪ লাখ করদাতা রিটার্ন দাখিল করেছেন, যার মধ্যে মাত্র ৫ লাখ রিটার্ন অনলাইনে জমা দেওয়া হয়েছিল। চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন।

প্রসঙ্গত, সাধারণত কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে চার লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে পাঁচ লাখ টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার আয় সাড়ে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।

এ ছাড়া আরও অনেক কারণে ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হয়। শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই হবে না, বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রও দেখাতে হবে।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: র ট র ন দ খ ল কর আয়কর র ট র ন

এছাড়াও পড়ুন:

পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর হার ০.৫০% করার প্রস্তাব এফবিসিসিআইয়ের

ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা এক লাখ টাকা বাড়িয়ে সাড়ে চার লাখ টাকার প্রস্তাব করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। এ ছাড়া রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পসহ সকল রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর হার ১ শতাংশ হতে কমিয়ে করে পূর্বের ন্যায় ০.৫০% নির্ধারণ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

আজ বুধবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের পরামর্শক কমিটির ৪৫তম সভায় এ প্রস্তাব তুলে ধরেন এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান।

তিনি বলেন, শিল্প পরিচালনার ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে উৎপাদনকারীদের জন্য আমদানি পর্যায়ে প্রদেয় অগ্রিম আয়করের (এআইটি) হার ধাপে ধাপে কমিয়ে আনার প্রস্তাব করছি। বর্তমান আইনে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য সামগ্রী (যেমন- ধান, চাল, গম, আটা, মাছ, মাংস, পিয়াজ, রসুন, মটর, ছোলা, মসুর, আদা, হলুদ, শুকনা মরিচ, ডাল, ভূট্টা, আটার, ময়দা, লবণ, ভোজ্যতেল, চিনি, গোলমরিচ, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, জিরা, তেজপাতা, পাট, তুলা, সুতা) সরবরাহের ক্ষেত্রে উৎসে ১% হারে কর কর্তনের বিধান আছে। পাট কাঠি, বীজ, চা পাতাসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্য পণ্যকে এবং তৈরি পোশাক শিল্পের সাব-কন্ট্রাক্টটিং-কে এই বিধানের আওতায় আনার প্রস্তাব করছি।

তিনি আরও বলেন, উৎসে কর কর্তনের হার প্রকৃত মুনাফার উপর প্রদেয় আয়করের তুলনায় অনেক বেশি। তাই উৎসে কর কর্তনের হার যৌক্তিকীকরন করার প্রস্তাব করছি।

এফবিসিসিআই প্রশাসক বলেন, উৎসে কর কর্তনের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি পিএসআর (রিটার্নের প্রাপ্তি স্বীকারপত্র) সংগ্রহ না করলে ১০ লাখ টাকার জরিমানার বিধান এবং খরচ অননুমোদিত হওয়ার বিধান অযৌক্তিক। তাই এ বিধান বাতিল করার প্রস্তাব করছি।

তিনি বলেন, রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্পসহ সকল রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে কর হার ১.০০% হতে হ্রাস করে পূর্বের ন্যায় ০.৫০% নির্ধারণ করা এবং তা আগামী ৫ বছর পর্যন্ত কার্যকর রাখার প্রস্তাব করছি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শক্তিশালী ব্যালান্স শিট প্রবৃদ্ধিসহ ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংকের উল্লেখযোগ্য সাফল্য
  • ২০২৪ সালে রেকর্ড হারে বেড়েছে বিশ্বের সামরিক ব্যয়: সিপ্রির প্রতিবেদন
  • তৃতীয় প্রান্তিকে মুনাফা কমেছে স্কয়ার ফার্মার
  • পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর হার ০.৫০% করার প্রস্তাব এফবিসিসিআইয়ের
  • ৭৮০ কোটি টাকা মুনাফা করেছে পূবালী ব্যাংক
  • রেকর্ড ১৪৩২ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন ব্র্যাক ব্যাংকের
  • রেকর্ড ১৪৩২ কোটি টাকা নিট মুনাফা অর্জন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক
  • হাজার কোটি টাকা নিট মুনাফার মাইলফলকে সিটি ব্যাংক
  • রেকর্ড ১৪৩২ কোটি টাকা মুনাফা ব্র্যাক ব্যাংকের
  • বিশ্বে সামরিক ব্যয় রেকর্ড বেড়ে ২.৭ ট্রিলিয়ন ডলার