দেশের  জনপ্রিয় নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরী।। প্রথম বই ‘মায়াঘর’ প্রকাশের ১১ বছর পর এবারের একুশে গ্রন্থ মেলায় নতুন উপন্যাস নিয়ে এলেন তিনি। । তার লেখা উপন্যাসের নাম ‘অনুমতি প্রার্থনা’।

চয়নিকা জানান, বইমেলার মিজান পাবলিশার্সে (২০ নং প্যাভিলিয়ন) বইটি পাওয়া যাচ্ছে।

সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্পে এই উপন্যাসটি তারকা অভিনেতা মাহফুজ আহমেদকে উৎসর্গ করেছেন চয়নিকা চৌধুরী। তিনি মনে করেন, কারও কারও প্রতিদান দিতে হয় না, দেয়াও যায় না। কিছু মানুষের কাছে আজীবন ঋণী হয়ে থাকতেই ভালো লাগে। আমার কাছে তেমনি একজন মানুষ, ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার অভিনেতা মাহফুজ আহমেদ। এজন্য ‘অনুমতি প্রার্থনা’ উপন্যাসটি তাকে উৎসর্গ করলাম।

‘অনুমতি প্রার্থনা’ মূলত রোমান্টিক গল্পের উপন্যাস। চয়নিকা চৌধুরী জানান, অনেকের জীবনের সঙ্গে হয়তো এই গল্প মিলে যাবে। এটি মূলত সম্পর্কের গল্প।

শৈশবে মায়ের সঙ্গে বইমেলায় যেতেন চয়নিকা চৌধুরী। সেইসময় থেকে বইমেলার প্রতি তার প্রেম জন্মায়। তিনি জানান, পরে মায়ের ইচ্ছেতে ২০১৪ সালে প্রথম বই লেখেন। এরপর মাসে একাধিক নাটকের শুটিং থাকায় লেখালিখিতে মনযোগ দিতে পারেননি। পরে ‘বিশ্বসুন্দরী’ ও ‘প্রহেলিকা’ দুটি সিনেমা করায় সেখানে আরও মনযোগী হতে হয়েছিল চয়নিকাকে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চয়ন ক চ ধ র উপন য স চয়ন ক

এছাড়াও পড়ুন:

তাজমহলের আদলে বাড়ি

ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে তাজমহলের আদলে একটি বাড়ি তৈরি করেছেন একজন ব্যবসায়ী। সম্প্রতি বাড়িটির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এটি শুধু নান্দনিক স্থাপত্যের জন্য পরিচিতি পায়নি; বাড়িটি তৈরির উদ্দেশ্য সবার হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

কনটেন্ট ক্রিয়েটর প্রিয়ম সরস্বত ইনস্টাগ্রামে বাড়িটির একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। তাঁর মাধ্যমেই ব্যবসায়ী আনন্দ প্রকাশ চৌকসের মালিকানাধীন বিলাসবহুল মার্বেলের বাড়িটি সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছে।

ভিডিওর শুরুতে সরস্বত বাড়ির মালিকের কাছে জানতে চান, এটি সত্যিই তাঁদের বাসভবন কি না এবং বাড়িটি আদৌ তাজমহলের অনুকরণে তৈরি করা হয়েছে কি না? জবাবে আনন্দ দম্পতি হাসিমুখে তাতে সম্মতি প্রকাশ করেন। এরপর ওই ব্যবসায়ীর কাছে জানতে চান, বাড়িটি তাঁর স্ত্রীকে উৎসর্গ করা হয়েছে? উত্তরে তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে, বাড়িটি তাঁকে (স্ত্রীকে) উৎসর্গ করা হয়েছে, এটা শতভাগ নিশ্চিত।

এরপর ওই ব্যবসায়ী ব্যাখ্যা করেন, মাকরানা মার্বেল দিয়ে বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছে। একই উপাদান দিয়ে আগ্রায় মোগল সম্রাট শাহজাহানের অমর কীর্তি তাজমহল তৈরি করা হয়েছিল।

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে সরস্বত লিখেছেন, মনোমুগ্ধকর এই বাড়ি মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরের কাছাকাছি অবস্থিত। ভালোবাসা

ছড়িয়ে দেওয়ার প্রতীক হিসেবে তৈরি করা হয়েছে বাড়িটি। বাড়িটির ভেতরের মার্বেলের কাজ অনন্য। সবচেয়ে চমৎকার বিষয়, এটি একটি স্কুলের ভেতরে তৈরি করা হয়েছে। স্কুলটি ওই ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠা করেছেন। অসাধারণ বাড়িটি মহৎ উদ্দেশ্যকে ঘিরে তৈরি করা হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাড়িটি নির্মাণে প্রায় ২ কোটি রুপি খরচ হয়েছে। আনন্দ প্রকাশের বাড়ির চারপাশে সব মিলিয়ে ৫০ একর জমি রয়েছে। বাড়িটিতে চারটি শয়নকক্ষ, একটি ধ্যানকক্ষ, একটি গ্রন্থাগার, খোদাই করা স্তম্ভ এবং খিলানযুক্ত দরজা রয়েছে।

ইনস্টাগ্রামে ইতিমধ্যে ১ কোটি ৪৭ লাখের বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছেন। লাইক দিয়েছেন ১৩ লাখের বেশি মানুষ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা নান্দনিক বাড়িটি ও ওই দম্পতির প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

ভিডিওর নিচে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘একটি স্কুল, স্মৃতিসৌধ ও একটি বার্তা—সবকিছু একসঙ্গে। অসাধারণ!’ আরেকজন লিখেছেন, ‘ভাবুন তো, আপনি এমন একটি স্কুলে বড় হচ্ছেন, যেখানকার চত্বরে একটি ছোট তাজমহল আছে।’

আরেকজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘কখনো কখনো কিছু রিল আপনার সামনে চলে আসে আর আপনার দিনটি উজ্জ্বল করে দেয়। এটাই সেই রিল...যেভাবে আংকেল ও তাঁর পরিবার বাড়িটি বর্ণনা করেছেন, সেটা খুবই ভালো লেগেছে। প্রতিটি মুহূর্ত আবেগ জড়ানো ছিল।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • তাজমহলের আদলে বাড়ি