যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েল
Published: 16th, February 2025 GMT
দীর্ঘ ১৫ মাস রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর গত ১৯ জানুয়ারি থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে। তবে এর মধ্যেও থেমে নেই ইসরায়েলি তাণ্ডব। ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চললেও গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরে শত শত ঘরবাড়ি ধ্বংস করছে ইসরায়েল। আল জাজিরার ফ্যাক্ট-চেকিং সংস্থা সানাদ পরিচালিত স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে উঠে এসেছে এ তথ্য।
রাফাহর মিসর-গাজা সীমান্ত, যা বহু দশক ধরে ফিলিস্তিনিদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। ২০২৪ সালের মে মাসে সেটি ইসরায়েল বন্ধ করে দেয়। ১৯৭৯ সালের মিসর-ইসরায়েল শান্তি চুক্তি লঙ্ঘন করে সীমান্ত এলাকার নিয়ন্ত্রণ নেয় ইসরায়েল। এরপর থেকে ইসরায়েল ফিলাদেলফি করিডোরে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করছে। মিসর ও গাজার মধ্যকার ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকা ফিলাদেলফি করিডোর নামে পরিচিত।
সানাদ প্রকাশিত উপগ্রহ চিত্র অনুসারে, ১৯ থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে তোলা ছবিগুলোতে দেখা গেছে, রাফাহ সীমান্তে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বালির দুর্গ নির্মাণ করেছে। সেই সঙ্গে ১.
এছাড়াও সংস্থাটি জানায়, সীমান্তের উত্তরে নতুন একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা হয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী হাজার হাজার রাফাহবাসীকে তাদের ঘরে ফিরতে বাধা দিচ্ছে। যারা নিজেদের ঘরে ফেরার চেষ্টা করছিল, তাদেরকে গুলি করে আহত ও হত্যা করেছে সেনারা।
যুদ্ধবিরতির অংশ হিসেবে ইসরায়েল এই এলাকায় তাদের সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনতে এবং চুক্তির ৫০তম দিনে সম্পূর্ণভাবে সেনা প্রত্যাহার করতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তোলা স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ইসরায়েলি বাহিনী এই এলাকায় নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাফাহ শহরের আস-সালাম, ইদারি এবং তেল জারাব এলাকায় ৬৪টি ভবন বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে।
সানাদ আরও চিহ্নিত করেছে যে রাফাহর পশ্চিমে তাল আস-সুলতান এলাকায় অন্তত ছয়টি ঘর গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যা মিসর সীমান্ত থেকে ৭৫০ মিটার দূরে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল ইসর য় ল এল ক য়
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লা বোর্ডে ৯ কলেজে একজনও পাস করেনি
২০২৫ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের একজন পরীক্ষার্থীও পাস করতে পারেনি। বোর্ডের প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, এসব প্রতিষ্ঠান থেকে অংশ নেওয়া সব পরীক্ষার্থীই অনুত্তীর্ণ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শূন্য পাস পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার চারটি কলেজ- নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, বিজয়নগরের নিদারাবাদ ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চাঁনপুর আদর্শ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের ষাইটশালা আদর্শ স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
লক্ষ্মীপুর জেলায় তিনটি প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করতে পারেনি। সেগুলো হলো- কামালনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ, লক্ষ্মীপুর সদরের ক্যামব্রিজ সিটি কলেজ, এবং রামগতির শীবগ্রাম ফজলুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজ।
এছাড়া কুমিল্লার লালমাই উপজেলার সুরুজ মেমোরিয়াল হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং চাঁদপুরের জীবগাঁও জেনারেল হক হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকেও কেউ পাস করতে পারেনি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. শামসুল ইসলাম বলেন, “শূন্য পাস পাওয়া প্রতিষ্ঠানের বিষয়টি আমরা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান, শিক্ষক উপস্থিতি ও একাডেমিক কার্যক্রমে ঘাটতি রয়েছে। আগামী শিক্ষা বর্ষে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরো বলেন, “বোর্ডের লক্ষ্য শুধু ফল প্রকাশ নয়, শিক্ষা ব্যবস্থার মান উন্নয়ন। যেসব প্রতিষ্ঠান ধারাবাহিকভাবে খারাপ করছে, তাদের নিয়ে আলাদা পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/রুবেল/এস