১২ বছরের সংসার ভাঙল জেপি ডুমিনির
Published: 17th, February 2025 GMT
দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক তারকা ক্রিকেটার ও কোচ জেপি ডুমিনি ঘোষণা দিয়েছেন, দীর্ঘ ১২ বছরের বিবাহিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে তিনি ও তার স্ত্রী সু আলাদা হচ্ছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন চলছিল, যা এবার সত্যি হলো।
সোমবার ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টের মাধ্যমে এই খবর নিশ্চিত করেন ডুমিনি। তিনি লেখেন, ‘অনেক চিন্তা-ভাবনার পর আমি ও সু আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের দাম্পত্য জীবনের অসংখ্য স্মরণীয় মুহূর্ত রয়েছে এবং আমরা দুজনেই আমাদের দুই মেয়েকে পেয়ে কৃতজ্ঞ। আমরা চাই, এই পরিবর্তনের সময়ে আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়কে সম্মান জানানো হোক। যদিও আমাদের পথ আলাদা হয়ে যাচ্ছে, আমরা বন্ধুত্ব বজায় রাখছি এবং আমাদের বিচ্ছেদ বন্ধুত্বপূর্ণভাবেই হচ্ছে।’
২০২৪ সালের শেষের দিক থেকেই ডুমিনি ও সু-এর দাম্পত্য কলহের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। একটা সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের একসঙ্গে ছবি কমতে থাকে। ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে ডুমিনির ৪০তম জন্মদিনের অনুষ্ঠানে তাদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। সে সময় দুজনকে হাসিখুশি দেখা গেলেও এরপর থেকে তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে ছবি দেননি। ফলে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। অবশেষে সেই জল্পনার অবসান ঘটালেন ডুমিনি নিজেই।
দক্ষিণ আফ্রিকার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত জেপি ডুমিনি তার ক্যারিয়ারে ৯০০০-এর বেশি আন্তর্জাতিক রান করেছেন। ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি দুর্দান্ত ফিল্ডিং ও কার্যকরী স্পিন বোলিংয়ের জন্যও তিনি বিশেষভাবে পরিচিত ছিলেন।
আইপিএলে ডুমিনি খেলেছেন ডেকান চার্জার্স, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে। ৮৩টি আইপিএল ম্যাচ খেলে ২০২৯ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি, যেখানে তার গড় ছিল ৩৯.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শন করলেন দুই বিদেশি পর্যটক
‘এটি খুবই আনন্দায়ক খবর যে এই স্কুলে আদিবাসী ও বাঙালি শিক্ষার্থীরা একসঙ্গেই বসে শান্তিপূর্ণভাবে পাঠ গ্রহণ করে। যেখানে ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরাও একই আসনে বসে পাঠ নিচ্ছে। সম্প্রীতি-ভালোবাসার এ দৃশ্য আমাদের বিমোহিত করেছে।’
আজ সোমবার দুপুরে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় প্রথম আলো ট্রাস্ট পরিচালিত বাবুডাইং আলোর পাঠশালা পরিদর্শনে এসে জার্মান নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসক মাথিয়াস রিচার্ড এ মন্তব্য করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন সুইজারল্যান্ডের নাগরিক অবসরপ্রাপ্ত রসায়নবিদ সিলভিয়া মাউরিজিও। ‘দেশ ঘুরি’ নামের একটি ট্যুরিস্ট সংস্থার মাধ্যমে তাঁরা এ বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন।
বেলা সাড়ে ১১টায় তাঁরা বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে উপস্থিত হলে ফুলের তোড়া ও মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায় শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাঁদের বিভিন্ন শ্রেণিকক্ষ ঘুরিয়ে দেখান প্রধান শিক্ষক আলী উজ্জামান নূর। তাঁরা শ্রেণিকক্ষগুলোতে গিয়ে পাঠ উপস্থাপন দেখেন। কথা বলেন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে। শিক্ষার্থীরাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁদের সঙ্গে ভাববিনিময় করে।
এ সময় দুই পর্যটক জানতে পারেন, এ বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র জাতিসত্তা ও বাঙালি শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করে। ইসলাম-হিন্দু-খ্রিষ্টধর্মের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ না করে একবেঞ্চে বসে পাঠ গ্রহণ করে। বিষয়টি জানতে পেরে তাঁরা খুবই খুশি হন।
চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মাসুমা খাতুন দুজনকে একটি গান গেয়ে শোনায়। বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক দলের শিক্ষার্থীরা তাঁদের সামনে ঐতিহ্যবাহী নাচ-গান প্রদর্শন করে। সিলভিয়াও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নাচে অংশ নেন। সৃষ্টি হয় একটি আনন্দদায়ক পরিবেশের। এ সময় বাঙালি ও কোল ক্ষুদ্র জাতিসত্তার শিক্ষার্থীদের মধ্যে সম্প্রীতি-ভালোবাসা ও বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ দেখে খুশি হন।
বিদেশি দুই পর্যটকের সামনে আলোর স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা