Samakal:
2025-06-16@17:02:31 GMT

কুষ্টিয়ার সেই ইউএনও বদলি

Published: 19th, February 2025 GMT

কুষ্টিয়ার সেই ইউএনও বদলি

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিবি করিমুন্নেছাকে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে বদলি করা হয়েছে। আজ বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় মাঠ প্রশাসন-২ শাখা উপসচিব আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। 

আদেশে বলা হয়েছে, বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কিছু কর্মকর্তাকে তাদের নামের পাশে উল্লিখিত বিভাগে ইউএনও হিসেবে পদায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কমিশনারের অধীনে ন্যস্ত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ন্যস্ত করা কর্মকর্তাদেরকে পদায়নের পর তাদের নিজ নিজ অধিক্ষেত্রে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব পালনের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

প্রসঙ্গত মিরপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে উপজেলা পরিষদের তিনটি প্রবেশদ্বারের মধ্যে দুটি গেট প্রায় পাঁচ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। এ দুটি প্রবেশদ্বারে একটিতে উপজেলা পরিষদের জামে মসজিদও রয়েছে। এছাড়াও উপজেলা পরিষদের গেটের বাইরে আশপাশে প্রায় অর্ধশতাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। গেট দুটি দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার অভিযোগ তোলেন। তাছাড়া মসজিদের সঙ্গে লাগোয়া গেটটি বন্ধ থাকায় নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিরা ভোগান্তিতে পড়ছেন। ব্যবসায়ীরা বন্ধ গেট দুটির অন্তত একটি খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানালেও ইউএনও এতে কোনো কর্ণপাত করেননি। এ নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে আজ ইউএনও বিবি করিমুন্নেছাকে বদলি করা হয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বদল ইউএনও উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

দুর্নীতির অভিযোগে সহযোদ্ধাদের হাতে অবরুদ্ধ ছাত্র সমন্বয়ক ফাহিম

রংপুরের পীরগাছায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় সমন্বয়ক ফারদিন এহসান মাহিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন তারই সহযোদ্ধারা।

সোমবার (১৬ জুন) দুপুর ১টার দিকে ৪০ থেকে ৫০ জন ছাত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অফিসে তাকে প্রায় ২ ঘণ্টার মতো অবরুদ্ধ রেখে বিচার দাবি করেন। পরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম রাঙ্গার হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

ছাত্ররা অভিযোগ করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তারা সবাই সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। তারা সবাই মাহিমের সহযোদ্ধা ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর আন্দোলনকারী ছাত্রদের প্রতিনিধি বা মুখপাত্র হিসেবে ফারদিন এহসান মাহিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই সুযোগে মাহিম বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, মামলা বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। 

আরো পড়ুন:

রাজবাড়ী‌তে ২ শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ১

মাদারীপুরে মাদক নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি

এছাড়া, পীরগাছা জেএন হাইস্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলার আয়োজন করা হয়। এই খেলাকে কেন্দ্র করে সরকারিভাবে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সেই টাকা বুঝিয়ে পেয়েছে মর্মে কয়েকজন খেলোয়ারের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হলেও কাউকে কোনো টাকা বা খেলাধুলা সামগ্রী দেওয়া হয়নি। পুরো টাকা ফাহিম আত্মসাৎ করেছেন। 

শীতের কম্বল, ঈদের ভিজিএফ স্লিপ নিয়েও তিনি দুর্নীতি করেছেন। এসব অপকর্মের সঙ্গে তার বাবা, বোন ও পরিবারের লোকজন জড়িত। তার বোনের নামে তিনি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ডিলারশিপ নিয়েছেন।

অভিযোগকারীরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে ফাহিম এসব অপকর্ম করছে। আজকে এসবের প্রতিবাদ করতে তারা ইউএনও অফিসে এসেছেন। ইউএনওর নিকট তারা মাহিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। ইউএনও তা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন। 

ছাত্ররা জানান, আজ থেকে পীরগাছা উপজেলায় ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে কেউ পরিচয় দিতে পারবেন না। কোথাও কোনো প্রয়োজন হলে সব ছাত্ররা একসঙ্গে কাজ করবেন।

অভিযোগের বিষয়ে ফারদিন এহসান মাহিম বলেন, “যখন কোনো ব্যক্তি দায়িত্বে থাকে তার বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ থাকবেই। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা লিখিতভাবে তারা দায়ের করুক। সেটা তদন্ত হোক, তা আমিও চাই। আমারও হয়তো কিছু ভুল আছে।” 

তিনি বলেন, “আমি সাংগঠনিকভাবে সবার সঙ্গে প্রথম দিকে যোগাযোগ রাখলেও পরে যোগাযোগ রাখতে পারিনি। এ জন্য ভুল বুঝাবুঝি ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।” 

ফারদিন এহসান মাহিম বলেন, “খেলার টাকার বিষয়ে যাদের স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে, তাদের টাকা দেওয়া হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে করা অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে তদন্ত করা হোক। তদন্তে যদি আমি দোষী হই তাহলে আমি মাথা পেতে নেব।” 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নাজমুল হক সুমন বলেন, “ফারদিন এহসান মাহিমের বিরুদ্ধে ছাত্রদের অভিযোগগুলো লিখিতভাবে দিতে বলা হয়েছে। এবিষয়ে কমিটি গঠনের মাধ্যমে তদন্ত করে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঢাকা/আমিরুল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • দুর্নীতির অভিযোগে সহযোদ্ধাদের হাতে অবরুদ্ধ ছাত্র সমন্বয়ক ফাহিম