নব্বই দশকের বলিউডের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী শিবা আকাশদীপ। সালমান খান, অক্ষয় কুমারের মতো তারকাদের সঙ্গে পর্দায় রোমান্স করেছেন। ১৯৯২ সালে ‘মিস্টার বন্ড’ সিনেমায় জুটি বেঁধে রোমান্স করেন অক্ষয়-শিবা। এ জুটির পর্দার প্রেম বাস্তব জীবনেও গড়ায়। যদিও পরবর্তীতে এ সম্পর্ক ভেঙে যায়।

অতীত ভুলে ১৯৯৬ সালে পরিচালক আকাশদীপকে বিয়ে করেন শিবা। কিন্তু তাকে বিয়ে করার পরামর্শ দেন সালমান খান। পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।

সালমান খানের সঙ্গে বন্ধুত্বের গভীরতা ব্যাখ্যা করে শিবা বলেন, “আমরা খুবই ভালো বন্ধু ছিলাম। এমনকি, আমি আকাশকে তার সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। সালমানকে বলেছিলাম, ‘এই সেই ব্যক্তি যাকে আমি বিয়ে করতে চাই।’ এ কথা শুনে সে খুবই খুশি হয়েছিল।”

আরো পড়ুন:

বক্স অফিসে ‘ছাবা’ সিনেমার ঝড়: কে কত টাকা পারিশ্রমিক নিলেন

ভিকি-রাশমিকার জয়রথ চলছেই

সালমান খান চুপচাপ বিয়ে করার পরামর্শ দেন শিবাকে। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “সে তার সঙ্গে অনেক শো করেছে। সুতরাং সালমান বলল, ঠিক আছে। তুমি তোমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছো, তোমার বর তোমার ‘রঙ্গিলা’, ‘মিস ৪২০’ বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ঠিকমতো কাজ করছে না। এখন চুপচাপ বিয়েটা করে ফেল।”

সালমানের দেওয়া পরামর্শকে ‘নিখুঁত’ বলে মন্তব্য করেন শিবা। তার ভাষায়— “এটা খুবই ভালো পরামর্শ ছিল। তখন আমার বয়স খুবই কম ছিল। কিন্তু এটা ছিল নিখুঁত পরামর্শ।”

২০০৩ সাল পর্যন্ত অভিনয়ে মোটামুটি নিয়মিত ছিলেন শিবা। তারপর দীর্ঘ বিরতি নেন। অর্থাৎ এক যুগ পর ‘হাম বাজা বাজা দেঙ্গে’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এরপর ৮ বছরের বিরতি নিয়ে ‘রকি আউর রানি কি প্রেম কাহানি’ সিনেমায় ‘মোনা সেন’ চরিত্র রূপায়ন করেন। তারপর আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি শিবাকে।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ