বসন্ত এসে গেছে। গাছে গাছে নতুন কুশি। রঙিন পাতা হবে একসময়। পাশেই তাদের জায়গা করে দেওয়ার প্রস্তুতি। রং ফুরিয়ে বেশ ধূসর হয়ে পড়া দুটি পাতা দিন গুনছে ঝরে পড়ার। একটির নাম রোহিত শর্মা, অন্যটির বিরাট কোহলি!

পাতা দুটিকে আঁকড়ে ধরে রাখা গাছটি প্রকাণ্ড। এর বীজ কে বা কারা কবে রোপণ করেছিল, অজানা থাকায় লোকের মুখে বয়সের গাছপাথর নেই। একটু ডাগর হয়ে ওঠা থেকে ধরলে ১৪৮ বছর চলছে।

আরও পড়ুনভারতের ৪০ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে দিল যুক্তরাষ্ট্র১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিবিধ বিবর্তন ও অভিযোজনে টিকে থাকা এই গাছের পাতাদের রং বাহারি, ফারাক উজ্জ্বলতায় ও টিকে থাকায়। সবাই ইচ্ছেমতো থাকতে পারে না। সামর্থ্য, প্রকৃতির খেয়াল ও মানুষের সিদ্ধান্তের প্রভাব তো থাকেই। কিন্তু যেসব পাতা এসব বাধা ডিঙিয়ে, সৌন্দর্যে ও নান্দনিকতা ছড়িয়ে টিকেছে নতুন কুশির উঁকি দেওয়া পর্যন্ত, তারপর একদিন ঝরে পড়েছে আপন ইচ্ছায়; তারা আসলে ওই গাছেরই স্পন্দন।

লোকে সেসব স্পন্দনের নাম রেখেছে ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান, গ্যারি সোবার্স, শেন ওয়ার্ন, ওয়াসিম আকরাম, শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা…রোহিত ও কোহলি।

পথিকের ফিসফাস, ঝরে পড়ার আগে শেষ দুটির স্পন্দন থেমে যাবে গাছের একটি বিশেষ অলিন্দে—নাম তার ওয়ানডে!

তারপর একদিন থামবে মূল স্পন্দনও। গাছ ও শাখার সঙ্গে বন্ধন ছিঁড়ে নেমে আসবে মাটিতে।

ওয়ানডের ইতিহাস আরও রঙিন করেছেন রোহিত–কোহলি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।

জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।

আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ