রোহিত–কোহলি: দুটি পাতা ঝরার আগের গল্প
Published: 20th, February 2025 GMT
বসন্ত এসে গেছে। গাছে গাছে নতুন কুশি। রঙিন পাতা হবে একসময়। পাশেই তাদের জায়গা করে দেওয়ার প্রস্তুতি। রং ফুরিয়ে বেশ ধূসর হয়ে পড়া দুটি পাতা দিন গুনছে ঝরে পড়ার। একটির নাম রোহিত শর্মা, অন্যটির বিরাট কোহলি!
পাতা দুটিকে আঁকড়ে ধরে রাখা গাছটি প্রকাণ্ড। এর বীজ কে বা কারা কবে রোপণ করেছিল, অজানা থাকায় লোকের মুখে বয়সের গাছপাথর নেই। একটু ডাগর হয়ে ওঠা থেকে ধরলে ১৪৮ বছর চলছে।
আরও পড়ুনভারতের ৪০ বছর আগের রেকর্ড ভেঙে দিল যুক্তরাষ্ট্র১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫বিবিধ বিবর্তন ও অভিযোজনে টিকে থাকা এই গাছের পাতাদের রং বাহারি, ফারাক উজ্জ্বলতায় ও টিকে থাকায়। সবাই ইচ্ছেমতো থাকতে পারে না। সামর্থ্য, প্রকৃতির খেয়াল ও মানুষের সিদ্ধান্তের প্রভাব তো থাকেই। কিন্তু যেসব পাতা এসব বাধা ডিঙিয়ে, সৌন্দর্যে ও নান্দনিকতা ছড়িয়ে টিকেছে নতুন কুশির উঁকি দেওয়া পর্যন্ত, তারপর একদিন ঝরে পড়েছে আপন ইচ্ছায়; তারা আসলে ওই গাছেরই স্পন্দন।
লোকে সেসব স্পন্দনের নাম রেখেছে ডোনাল্ড ব্র্যাডম্যান, গ্যারি সোবার্স, শেন ওয়ার্ন, ওয়াসিম আকরাম, শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা…রোহিত ও কোহলি।
পথিকের ফিসফাস, ঝরে পড়ার আগে শেষ দুটির স্পন্দন থেমে যাবে গাছের একটি বিশেষ অলিন্দে—নাম তার ওয়ানডে!
তারপর একদিন থামবে মূল স্পন্দনও। গাছ ও শাখার সঙ্গে বন্ধন ছিঁড়ে নেমে আসবে মাটিতে।
ওয়ানডের ইতিহাস আরও রঙিন করেছেন রোহিত–কোহলি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর
* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।
* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।
* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।
শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।
এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।
আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।
গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।
টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল