অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে শাহ মতিন টিপুর কবিতার বই ‘রোদ্দুর ভুলে গেছে বৃষ্টির গান’। বইটিতে স্থান পেয়েছে ৫১টি কবিতা। ‘রোদ্দুর ভুলে গেছে বৃষ্টির গান’ বইটি প্রকাশ করেছে চন্দ্রছাপ প্রকাশনী। বইমেলায় এটি পাওয়া যাচ্ছে ৫৯-৬০ নং স্টলে। 

শাহ মতিন টিপু তার কবিতা ভাবনা সম্পর্কে রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘কবিতার সৃষ্টি সমসাময়িক জীবনবোধ থেকে। আমার জীবন, আমার গ্রাম, আমার আত্মোপলব্ধি, এসব বর্ণনার মাঝে একটা ম্যাসেজ দেওয়ার চেষ্টা থাকে। আর আমি কবিতাকে সাধারণের বোধগম্যতায় রাখতে সচেষ্ট থাকি। আমার কবিতার পাঠক যেন তার চারপাশকেই দেখতে পান, নিজ জীবনকে আমার চোখের মধ্য দিয়ে দেখতে পান-এমন একটা ভাবনা আমার মধ্যে থাকে। আসলে আমার কবিতা শৈশব থেকে এ পর্যন্ত যে সামাজিক পরিমণ্ডলে বিহার করেছি -তারই প্রতিচ্ছবি। আমার প্রথম কবিতার বই 'ছায়া ও ঘুণপোকা', দ্বিতীয় কবিতার বই 'জল জোছনার গান', আর এই তৃতীয় কবিতার বইয়ের কবিতাগুলোর সৃষ্টি একই পরিমণ্ডল থেকে। সবগুলোতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে আমারই পরিবেশ ও প্রতিবেশ।’’

শাহ মতিন টিপু পেশায় সাংবাদিক। ১৯৮৫ সালে সাংবাদিকতায় প্রবেশ করেন। সাংবাদিকতা জীবনের উল্লেখযোগ্য ও দীর্ঘ সময় কেটেছে বাংলাবাজার পত্রিকায়। এখানে বেশ কিছুটা সময় সাহিত্য পাতা ও ছোটদের পাতার দায়িত্ব পালনের সুবাদে তার একটা ভিন্ন পরিচয় গড়ে ওঠে। একসময় তিনি নাটক ও শিশু সংগঠনেও জড়িত ছিলেন। জড়িত ছিলেন লিটলম্যাগ আন্দোলনেও। শাহ মতিন টিপু জাতীয় প্রেস ক্লাবের একজন স্থায়ী সদস্য।

আরো পড়ুন:

স্বীকৃতিহীনতা এক অর্থে লাভজনক: রাসেল রায়হান

প্রসঙ্গ: আত্মকথা ইতিকথা

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ হ মত ন ট প

এছাড়াও পড়ুন:

নোয়াখালীতে পলাতক আওয়ামী লীগ নেতাকে আশ্রয় দেওয়ায় তাঁতী দলের নেতা বহিষ্কার

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলাউদ্দিনকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগে জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত মোহাম্মদ সৈকত উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি ছিলেন। আজ শুক্রবার বিকেলে জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা তাঁতী দলের আহ্বায়ক ইকবাল করিম সোহেল ও সদস্যসচিব মোরশেদ আলমের যৌথ স্বাক্ষরিত চিঠিতে বহিষ্কারের আদেশ দেওয়া হয়।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি মূল্যায়নে ব্যর্থ হওয়ায় হাতিয়া উপজেলা তাঁতী দলের দক্ষিণ কমিটিকে সতর্ক করা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোরে হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের জোড়খালী গ্রামে সৈকতের বাড়ি থেকে সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হাতিয়া থানা–পুলিশ। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ১০টি ককটেল উদ্ধার করা হয়। আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ সৈকত সম্পর্কে ফুফা–ভাগনে।

এ বিষয়ে মোহাম্মদ সৈকত প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে অনেকগুলো পরিবার থাকে। আমি ব্যবসার কাজে দিনের বেশির ভাগ সময় বাইরে থাকি। আলাউদ্দিন কখন বাড়িতে এসেছেন, তা আমার জানা নেই। আমাদের ঘর থেকে তাঁর শ্বশুরদের ঘর অনেক দূরে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমাকে জড়ানো হয়েছে।’

নোয়াখালী জেলা তাঁতী দলের সদস্যসচিব মোরশেদ আলম বলেন, আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাকে আত্মগোপনে থাকার সুযোগ করে দেওয়ায় মোহাম্মদ সৈকতকে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের তাঁতী দল কমিটিকেও সতর্ক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনহাতিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে পালিয়ে থাকা সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গ্রেপ্তার৩১ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ